আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংস্কার/শেখ হাসিনা ও বিশ্বব্যাংক!!!

। অনেস্টি ইজ দ্যা বেস্ট পলেসি। মাননীয়, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সংস্কার নিয়ে আপনার উপলব্দীর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিতে পারলামনা বলে দুঃখিত। দেশকে এগিয়ে নিতে হোলে সংস্কার প্রয়োজন হয়। দলকে গণতান্ত্রিক করতে হোলে সংস্কারের প্রয়োজন হয়।

কোনো প্রতিস্ঠানকে গতিশীল রাখতে হোলেও অবশ্যই সংস্কারের প্রয়োজন হয়। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া সংস্কার বন্ধ হয়ে গেলে সবকিছু স্থবির হয়ে যাবে। তখন আর কেউ কোন কিছু নিয়ে গবেষণা করবেনা এবং পৃথিবীও আর উন্নতির পথে এগিয়ে যাবেনা। হে বঙ্গবন্ধু কণ্যা, গনতন্ত্রের মানস কণ্যা বলে খ্যাত জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনার কি মনে আছে এক এগারোর সেই সংস্কার পন্থিদের কথা?এখন কি আপনি বুঝতে পারছেন যারা দলের সংস্কার চেয়েছিলো তারা কোনো ভুল করেনি। কিন্তু সংস্কার চাওয়ায় তাদেরকে কি মূল্য দিতে হয়েছে আশা করি আপনি ভুলে যান নাই।

আপনি সজ্ঞানে সংস্কারপন্থী নেতাদের তিরস্কার করেছেন এবং বলেছেন আপনি তাদের কার্যকলাপ ভুলে যাবেন না। এর প্রতিফল তাদের অবশ্যই পেতে হবে। আপনি এই ব্যাপারে আপনার কথা রেখেছেন। তাদেরকে শুধু সরকার থেকেই না এমনকি দল থেকেও দুরে রেখেছেন:এমনকি কারো কারো রাজনৈতিক কেরিয়ার পর্যন্ত নিঃশেষ করে দিয়েছেন। অথচ এখন আপনি বিশ্বব্যাংক সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার "সংস্কার" চাইছেন!কি কারণে আজ বিশ্বব্যাংকের সংস্কার চাইছেন?বিশ্বব্যাংক, দূর্ণিতী হওয়ার আশন্কায় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্পে ঋণ দিতে চাচ্ছেনা, এবং এই ঋণ না পাওয়াটা আপনার সরকারের জন্য একটি বড় রকমের ব্যার্থতা হিসেবে পরগনিত হবে।

তাই আপনি যে কোন কিছুর বিনিময়ে আজ পদ্মাসেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকে ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছেন। এখন তাদের সব শর্ত মেনে নিয়ে হোলেও ঋণ পেতে মরিয়া হোয়ে উঠেছেন। অথচ প্রথম পর্যায়ে তারাও কিন্তু আপনার সরকারকে এক প্রকার সংস্কার করার কথাই বলেছিলেন এই প্রকল্পে। যা আপনি ও আপনার সরকার যথাযথ ভাবে পুরণতো করেননি বরং তাদেরকে এক প্রকার ধমক দিয়েছিলেন। এবং আপনার সরকারের সেই না মেনে নেওয়া সংস্কারের জন্যই কিন্তু বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্প হোতে পিছু হটে গিয়েছিলো।

অথচ এখন তাদের প্রেসক্রিপশন মেনে নিয়েই তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে সচেস্ট রয়েছেন। আশা করি বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পে ফিরে আসবে,কারণ কতিপয় মানুষের দুস্কর্মের ফল ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নকে ভেঙ্গে দিতে পারবেনা ইন্‌শা আল্লাহ। মাননীয়,প্রধানমন্ত্রী সরকার আসবে যাবে, কিন্তু সংস্কার কখনও বন্ধ হবেনা। সংস্কার সত্যিকার অর্থেই একটি চলমান প্রক্রিয়া বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন এই দেশকে এগিয়ে যেতে হলে সংস্কার চলতেই থাকবে। আমি, আপনি,আমরা কেউ যখন থাকবোনা তখনও এই বাংলাদেশ থাকবে এবং এক প্রকার সংস্কারের মধ্য দিয়েই এই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে সত্যিকারের সোনার বাংলা।

ধন্যবাদ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।