আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাজারে নতুন সিমেন্ট বসুন্ধরার

২০১০ সালে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বমানের আরো দুটি সিমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করার ঘোষণা দিয়েছিলো দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। উৎপাদন সমতা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও গুণগতমানের দিক থেকে প্লান্ট দুটি দেশের সবচেয়ে বড় সিমেন্ট কারখানা হবে বলে জানিয়েছিলেন গ্রুপটির কর্মকর্তারা। বসুন্ধরা গ্রুপের মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেডে উৎপাদিত জনপ্রিয় কিং ব্র্যান্ড সিমেন্টের পর দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সিমেন্টের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন এই প্লান্ট দুটি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিশ্বমানের সিমেন্ট উৎপাদনে বসুন্ধরার এই উদ্যোগে কারিগরি সহায়তা নেওয়া হয় জার্মানির বিশ্বখ্যাত সিমেন্ট, চুন ও জিপসাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান 'জিবর পিফিফার এজ' জার্মানি ও তার ভারতীয় অংশীদারের কাছ থেকে। এ উপলক্ষে বসুন্ধরা গ্রুপের কর্পোরেট অফিসে গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের উপস্থিতিতে ২০১০ সালে আয়োজিত এক চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তরা জানিয়েছিলেন, নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জে নতুন দুটি প্লান্টের একটি স্থাপন করা হবে।

অন্যটি খুলনার মংলা সমুদ্রবন্দর সংলগ্ন এলাকায়। ২০১১ সালের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে প্লান্ট দুটি পুরোদমে চালু হবে। এ দুটি প্ল্যান্টে দৈনিক ১২ হাজার টনেরও বেশি সিমেন্ট উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এতে সরাসরি পাঁচ হাজার ও পরোভাবে ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। উৎপাদন সমতা, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও গুণগতমানের দিক থেকে প্লান্ট দুটি দেশের সবচেয়ে বড় সিমেন্ট কারখানা।

সেই উদ্যোগের ফল হিসেবেই চলতি বছরের মার্চে বাজারে আসে বসুন্ধরা সিমেন্ট। প্রারম্ভিক পর্যায়ে বসুন্ধরা সিমেন্ট তৈরি হচ্ছে মংলা ফ্যাক্টরিতে। এ বছরের শেষে আসবে ঢাকা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মদনগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জের সিমেন্ট ফ্যাক্টরি থেকে। এই ফ্যাক্টরিতে রয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বাধুনিক ভিআরএম প্রযুক্তি। বর্তমানে মংলায় অবস্থিত মেঘনা সিমেন্ট মিলস লিমিটেড থেকে দৈনিক উৎপাদিত সিমেন্টের পরিমাণ ৩৫০০ টন (৭০,০০০ ব্যাগ)।

মার্চ থেকে মংলায় সিমেন্ট উৎপাদিত হবে দৈনিক ৬৫০০ টন (১৩০,০০০ ব্যাগ) এবং এ বছরের শেষে মদনগঞ্জ ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত হবে দৈনিক ৭০০০ টন (১৪০,০০০ ব্যাগ)। যার ফলে বসুন্ধরা গ্রুপের উৎপাদিত সিমেন্টের পরিমাণ হবে দৈনিক সর্বমোট ১৩,৫০০ টন (২৭০,০০০ ব্যাগ)। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূঞার সভাপতিত্বে গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় অধিদপ্তরের বার্ষিক সম্মেলন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান এমপি। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকৌশলীদের আলোচনা ও মতবিনিময় সভা শেষে বসুন্ধরা সিমেন্টের সৌজন্যে তথ্যাদি উপস্থাপন করা হয়। আলোচনায় বসুন্ধরার বর্তমান কিং ব্রান্ড সিমেন্ট ও নতুন ব্রান্ড বসুন্ধরা সিমেন্ট সম্পর্কে প্রকৌশলীদের ধারণা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, শিগগিরই বসুন্ধরা সিমেন্ট অর্ডিনারি পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট ও পোর্টল্যান্ড কম্পোজিট সিমেন্ট বাজারজাত করতে যাচ্ছে। এ ছাড়া বসুন্ধরা সিমেন্ট আগামী বছর বাংলাদেশে প্রথম ব্ল্যাস্টফার্নেশ সিমেন্টও বাজারজাত করবে। বসুন্ধরার সিমেন্ট কারখানাগুলোর উৎপাদন মতা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপারে প্রকৌশলীদের জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের পে ও বসুন্ধরা সিমেন্ট নিয়ে টেকনিক্যাল আলোচনা করেন সিমেন্ট সেক্টরের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাইফুল ইসলাম হেলালী ও মদনগঞ্জ সিমেন্ট ফ্যাক্টরির প্ল্যান্ট ইনচার্জ মো. সামসুদ্দিন। তথ্যসূত্র : দৈনিক কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজ২৪ডটকম ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.