আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিজিটালে আরো এক ধাপ এগুলো বাংলাদেশ পুলিশ

আমি বাংলা'র, বাংলা আমার নথিপত্রে সমস্যা বা ফিটনেস না থাকার কারণে গাড়ির জরিমানার টাকা দেওয়ার জন্য এখন থেকে আর ট্রাফিক অফিসে যেতে হবে না। মোবাইল অপারেটর রবি’র ইজিলোড এবং প্রাইম ব্যাংকের মাধ্যমে এ টাকা পরিশোধ করা যাবে। আর জরিমানা পরিশোধের পর গাড়ির কাগজপত্র কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে মালিকের ঠিকানায়। ট্রাফিক পুলিশের এ নতুন ডিজিটাল ব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন সিস্টেম। ই-ট্রাফিক ব্যবস্থার প্রধান চারটি বিষয় হলো- ১/এসএমএস এর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ, ২/মামলা রুজু ও যথার্থতা নিরূপণ, ৩/জরিমানা আদায় এবং ৪/কাগজপত্র বিলি।

এসএমএস এর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ: যে কোনো নাগরিক ঘরে বসেই রবি’র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসএমএস করে ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, গাড়ির চেসিস নম্বর, ইঞ্জিন নম্বরের সত্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি ট্যাক্স টোকেন, রুট-পারমিট, ট্রাফিক মামলা সংক্রান্ত তথ্যাদি জানতে পারবেন। মামলা রুজু ও যথার্থতা নিরূপন: এ পদ্ধতিতে একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট বা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে ঘটনাস্থল থেকেই POS ডিভাইসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করবেন। এসময় তা‍ৎক্ষণিকভাবে এ ডিভাইসের মাধ্যমে মামলার রেফারেন্স সংক্রান্ত দুই কপি কেস স্লিপ প্রিন্ট করে এক কপি গাড়ির চালককে দেওয়া হবে এবং অন্য কপি ডিসি ট্রাফিক অফিসের প্রসিকিউশন শাখায় জমা হবে। POS ডিভাইসগুলো রবি’র মাধ্যমে ডিএমপি হেডকোয়ার্টারে রক্ষিত সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকায় তথ্যগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেখানে সংরক্ষিত হবে। এ তথ্য বিশ্লেষণ করে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করার স্থান, কারণ বা ধরন জানা যাবে।

এছাড়াও এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়নসহ ট্রাফিক সার্জেন্ট বা ইন্সপেক্টরদের কর্মদক্ষতা মূল্যায়ন করা যাবে। জরিমানা আদায় পদ্ধতি: এ ব্যবস্থায় ডিসি (ট্রাফিক) অফিসে না এসেই কোনো গাড়ির চালক বা মালিক নিকটবর্তী ৫০টি রবি সেবা পয়েন্টে ইজিলোডের মাধ্যমে বা প্রাইম ব্যাংক লি. এর ৪৬টি শাখায় নগদ টাকা জমা দিয়ে জরিমানা পরিশোধ করতে পারবেন। কাগজপত্র বিলি: জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তথ্যটি সেন্ট্রাল ড্যাটাবেইসে (তথ্যভাণ্ডারে) চলে যাবে। সেখান থেকে তথ্য পাওয়ার পর নামমাত্র চার্জের বিনিময়ে স্বল্পতম সময়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস ওই গাড়ির স্বত্বাধিকারীর ঠিকানায় জব্দ করা কাগজপত্র পৌঁছে দেবে। সেই সঙ্গে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে গাড়ির কাগজপত্র পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতিটি নথির বিপরীতে বীমা করা থাকবে ফলে কোনো কাগজপত্র হারিয়ে গেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সংশ্লিষ্ট গাড়ির মালিক উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন।

**তবে, এ ব্যবস্থার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ডিসি (ট্রাফিক) অফিসের জরিমানা আদায়ের কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে। ** ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন সিস্টেম ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।