আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আসুন রেষারেষি থেকে দূরে থাকি, সবার জন্যই লাভ

প্রাণ খুলে হাসুন তবে দাত যেন না বেরয়.. গত ক দিন ধরেই ব্লগ উত্তাল হয়ে আছে। এই আগুনের তাপ লেগেছে অনেকের গায়েই। কেউ পুড়ছেন দহনে, কেউ অন্তর্দহনে। তবে আঘাত যেই পাক সবটার যন্ত্রণাই সমান। অবশ্য এটা মানতে অনেকেই রাজি নন।

নিজের ওপর কিংবা নিজের প্রিয়জনের ওপর আঘাত লাগলেই কেবল তারা বিচলিত হন। বিশ্বে যখন নবীজি (সা.) কে অপমান করে বানানো ছবি ও কার্টুন নিয়ে তোলপাড় ঠিক তখনই সামু ওই ব্যাঙ্গাত্বক কার্টুন প্রকাশ করল। যা স্বাভাবিক ভাবেই নবী প্রেমিক বা ইসলাম মাইন্ডেটদের গায়ে লেগেছে। কিন্তু সামুর কর্তৃপক্ষ বা নির্বাচকদের মনে এটা কোনো প্রভাব ফেলেনি। যার কারণে ওই ইসলামবিদ্বেষী পোস্ট নির্বাচিত পোস্টে ঝুলেছে ৮ ঘন্টা।

মূলত দাড়িপাল্লা নামের ব্লগজগতের কলঙ্ক (কারণ পাছায় লাত্থি দিয়ে তাকে ব্লগ থেকে বিদায় করা হয়েছে) শয়তানটার পোস্টই উস্কে দিয়েছিল ব্লগের হাজারো বিবেকসম্পন্ন তরুণদের। তারা স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। আর সেই সাথে কিছু ব্যতিক্রম ঘটনাও যে হয়নি এমন নয়। অনেকে জানা-আরিলকে নিয়ে অশ্লীল পোস্ট দিয়েছেন। পতিতাদের ভাষা ইউজ করেও পোস্ট আসছে ‌'ওয়াদুদ' নামের ব্লগার থেকে।

এখন কথা হলো ওয়াদুদ এটা ঠিক করেছেন কিনা। প্রশ্নের উত্তর ক্লিয়ার, এটা মোটেও ঠিক নয়। এবং এটা সবাই বলবেন। সেটা বুঝেছেন নির্বাচকরাও। তারা তাই নিকটা ব্যান করে দিয়েছেন।

কিন্তু আমাদের সমস্যা হলো ওই 'জাতে মাতাল তালে ঠিক' এর মতো। নিজের ওপর যখন আঘাত আসল তখন সেটা বুঝলাম এটা কোনো বাক স্বাধীনতা নয়। এটা অপপ্রচার। কুতসা রটনা। তবে এটা নির্বাচকদের এত বড় মাথায় ঢুকল না যে মহানবীকে অপমান করাটাও কুতসা রটানো, অপ্রচার অবমাননা।

এটা ঠিক নয়, পোস্ট মুছে ফেলা উচিত। সেটা বুঝেছেন সময় গেলে। অনেকটা 'সময় গেলে সাধন হবে না রে মন' টাইপের গানের মতো। এখন প্রশ্ন থাকতেই পারে 'ওয়াদুদে'র উস্কানিটা মুহূর্তেই নির্বাচক/মডুদের মাথায় আসল কিন্তু রাসূলকে কটুক্তির বিষয়টা আসলা কেন? সামুর ইসলাম নিয়ে কোনো চুল্কানি আছে কিনা... এ বিষয়ে দুর্যোধনের স্টিকি পোস্টটা পড়লেই বোঝা যাবে। সেখানে একাধিক মানুষ এ বিষয়ে তাদের দির্ঘদিনের পর্যবেক্ষণের কথা তুলে ধরেছেন।

অথচ সামুর নীতিমালাতেই এর ব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে। ব্যক্তি কটুক্তি, আক্রমন, গালাগালি, অশ্লীল ছবি প্রদর্শনী এগুলো নিষিদ্ধ। প্রয়োজনে সামু এগুলোর ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলেও হুশিয়ার করেছে ব্লাগারদের। এখন প্রশ্ন হলো তারা আমাদের কে এমন নীতি শিখিয়ে নিজেরাই কেন স্ববিরোধীতা করে ইসলামবিদ্বেষ ছড়াচ্ছে... যাই হোক... সামু নিয়ে যেসব হচ্ছে বা ভবিষ্যতে হবে, তা আমাদের কাম্য নয়। সামু নির্ভয়ে নির্বিগ্ণে চালিয়ে যাক তার পথ এটাই কামনা।

এ জন্য তাদের মডারেশনকে স্বচ্ছ হতে হবে। এটা দাবিও উঠেছে স্টিকি পোস্টে। আর ব্লগনীতি স্বচ্ছ হলে ব্লাগার/কর্তৃপক্ষ দুইজনেরই লাভ। দুর্যোর পোস্ট নিয়ে কথা থেকেই যায়.. ব্লগে সামু যে কৃতীত্ব দেখাচ্ছে এটা এখন সবার কাছেই স্বচ্ছ। সম্প্রতি সেটা আরো প্রকট করেছে দাড়িপাল্লার পোস্ট।

সেখানে দুর্য়োর পোস্টটা প্রচণ্ড তৈলাক্ত আর দালালি পূর্ণ হযে গেছে। এটা অবশ্য আমার কথা নয়, সেই পোস্টর পশ্চাদদেশে এগুলো অনেকেই বলেছেন। পোস্টে সামুর পক্ষ থেকে বুঝানো হয়েছে সামুর এই কাজ করেনি। তাদের যুক্তি রাতে মডারেটররা থাকেন না। নির্বাচকরা থাকেন।

তারা পোস্ট নির্বাচিত করা ছাড়া পোস্ট সরানো বা কাউকে ব্যান করার ক্ষমতা রাখেন না। তাহলে জানাকে গালি দিয়ে যে পোস্টগুলো আসল সেগুলো সরাল কারা, কুরুচির নিকগুলো ব্যান করল কারা? এটার জবাব কি দিতে পারবে মডুরা?? সবমিলিয়ে এখন সর্বত্রই সামু সমালোচনা। সেই সমালোচনার তীর থেকে জানাস্বামী আরিলও নিরাপদ নয়। তিনি নাকি কোনো উদ্দেশ্য হাসিলে এই দেশে পড়ে আছেন এমন স্টাটাস এখন ফেসবুক জুড়ে। তাই মডারেটের প্রতি আবেদন থাকবে যত দ্রুতই পারা যায়, রাজপথে মিছিলের আগেই যেন সুন্দর বক্তব্য দিয়ে একটা স্টিকি পোস্ট দেয়া হয়।

এসব দুর্যোধন টন মার্কা দালাল লোকদের সবাই চিনে। চিনে রাখবে আগামী প্রজন্ম।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।