আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফেইসবুকে জন্মদিনের দাওয়াত ,, অতপর ...............

ষোলতম জন্মদিনটি ঢাকঢোল পিটিয়ে করতে চেয়েছিল সে৷ এজন্য বন্ধুদের দাওয়াতও দিয়েছে ফেসবুকে৷ কিন্তু সেই ডিজিটাল দাওয়াত ‘প্রাইভেট’ ছিল না৷ ফলে কয়েক হাজার তরুণ-যুবা কিশোরীর জন্মদিনে হাজির হয়৷ নেদারল্যান্ডের হারেন নামক একটি ছোট্ট শহরের ঘটনা এটি৷ মাত্র ১৮ হাজার মানুষ বাস করে এই শহরটিতে৷ শহরটির এক কিশোরী ফেসবুকে বিপত্তি বাঁধায়৷ তার জন্মদিনের নিমন্ত্রণ খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে৷ বিশ হাজার মন্তব্য জমা পড়ে সেখানে৷ শুক্রবার জন্মদিনের দিন তাই হাজার চারেক মানুষ হাজির হয় কিশোরীর শহরে৷ অবস্থা বেগতিক দেখে, কিশোরী আগেভাগেই অন্যত্র সরে গিয়েছিল৷ অন্যদিকে অনাকাঙ্খিত অতিথিদের সামলাতে বেগ পেতে হয় শহররের বাসিন্দাদের৷ শুরু হয় হইচই, হট্টগোল, ভাঙচুর৷ কিশোরীর বাড়ির আশেপাশে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করে স্থানীয় প্রশাসন৷ এরপর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় অতিথিরা৷ শুক্রবার রাতের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে৷ অন্যদিকে, গ্রেপ্তার হয়েছে চার অনাকাঙ্খিত অতিথি৷ পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, তারা ঘটনার ছবি তুলে রেখেছে৷ এবং ছবি বিশ্লেষণ করে আরো কয়েকজনকে জেলে ঢোকানো হতে পারে৷ স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্রী মেলানি জোয়ামা এই বিষয়ে বলেন, ‘‘কিশোরী ফেসবুকে তার জন্মদিনের নিমন্ত্রণ পোস্ট করে, এরপর তার বন্ধুরা সেটি তাদের বন্ধুদের কাছে পাঠায় এবং এভাবে ইন্টারনেটে দাবানলের মতো নিমন্ত্রণটি ছড়িয়ে পড়ে৷ '' অবশ্য শুধু কিশোরীকে দোষ দিয়েও লাভ নেই৷ কয়েকটি অনলাইন চক্র তার ছোট ভুলের সুযোগ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে৷ এই চক্রগুলো জন্মদিনের নিমন্ত্রণটি অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়৷ এমনকি একটি ওয়েবসাইট জন্মদিনের উৎসবের সময় গণনা শুরু করে৷ সেই ওয়েবসাইটটির দাবি হচ্ছে, কিশোরীর জন্মদিনে যোগ দিতে দেড় লাখ মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে তারা! উল্লেখ্য, ফেসবুকে জন্মদিনের দাওয়াত নিয়ে বিপত্তি এটাই প্রথম নয়৷ এর আগে জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এরকম ঘটনা ঘটেছে৷ এর ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিও কম হয় না৷ সূত্র: এএফপি।  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।