আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মরক্ষার নামে যখন নারীই ধর্মান্ধের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু

নহি দেবী, নহি সামান্যা নারী। সামহোয়্যারইন ব্লগ দেশের এবং দেশের বাইরের বাংলা ভাষাভাষীদের একটা প্রাণের ব্লগ। যেখানে প্রায় সোয়া লাখ নিক বর্তমানে ব্লগিং করছে। এতো বিশাল সংখ্যার এই নিক-এর পেছনের মানুষগুলোর মানসিকতাও বিভিন্ন রকমের হবে এটাই স্বাভাবিক। সেখানে বিভিন্ন সময়ে আমরা যেমন উচু দরের লেখা্ও পেয়েছি তেমনি ফান করতে যেয়ে নর-নারীর জৈবিক সম্পর্কের বিভিন্ন বস্তু নিয়েও রম্য / ফান পোস্টও পাবলিশ হতে দেখেছি।

ব্লগে এতো বেশি সংখ্যক ব্লগার থাকার কারণেই হোক বা নিজেকে কেউকেটা প্রকাশ করতেই হোক বা নোংরা, হিটাকাঙ্খী মানসিকতা থেকেই হোক ব্লগে বিভিন্ন সময়ে দেখা গেছে ছাগু, ছাগীয়তাবাদীর চরম ম্যাৎকার যখন সাধারণ ব্লগাররা মডারেশন প্যানেলের দিকে আঙ্গুল তুলেছে সামহোয়্যারইন নাকি ছাগু সমর্থিত ব্লগ। আবার যখন নাস্কিকতা প্রকাশ করতে গিয়ে মুলত নোঙরামী করা হয়েছে তখন রব উঠেছে সামহোয়্যারইন নাকি নাস্তিক সমর্থিত ব্লগ। আবার কখনো জাতীয়তাবাদী বা কখনো আ্ওয়ামী বাদী ব্লগ বলেও রব তোলা হয়েছে। সবচেয়ে মজার একটা বিষয় লক্ষ্য করার মতো। কোন সমস্যা শুরু হলেই রিপোর্ট করা বা ফিডব্যাকে মেইল করার চেয়ে সামহোয়্যারে অস্থিরতা ছড়াতে বৃষ্টি দেখে ছাতা মাথায় ধরার লোকের অভাব হয় না।

গতকাল যেই পোস্টটাকে নিয়ে এতো কাহিনী সেই পোস্টে যদি সবাই মিলে রিপোর্ট করা হতো এবং ফিডব্যাক মেইল করা হতো এবং শুধু সেই পোস্ট পর্যন্তই থাকতো তবে বিষয়টাকে মনে করা যেত আসলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঈমানের জোর আছে...তারা ধৈর্য্যশীল। কারণ মহান আল্লাহপাক তো ধৈর্য্যশীলদের পছন্দ করেন। আপনারা কতোটুকু ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে ঈমানের জোর দেখিয়েছেন তা গতরাত আর আজকের পোস্টগুলো থেকেই প্রমাণিত। আপনারা ধর্মের দোহাই দিয়ে গালিগালাজ করেছেন, জানার ছবিকে বাজে ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এগুলো কি ধর্মের দোহাই দিয়ে শিবিরের রগকাটা কাহিনীকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে না?! ফিউশন ফাইভের নির্বাচকদের কটাক্ষ করে যে পোস্ট দিয়েছিলেন তা কি আপনাদের চোখে পড়ে নি? তা্ও যদি না পরে তবে ওই পোস্টে যেয়ে ২৩৬ নম্বর মন্তব্য দেখে আসুন।

জানা কি এখন আপনাদের সবার পোস্টে যেয়ে বলে আসবে মডারেটর আর নির্বাচকদের পার্থক্য?! ব্লগাররা নিজেরা দায়িত্বশীল আচরণ না করে ব্লগকে অস্থিতশিীল করে তুলে ঠিক কি কারণে?! মডারেটররা কি দেরী হলেও সেই কুখ্যাত নিকটিকে ব্যান করেনি?? ব্লগকে অস্থিতিশীল বানিয়ে আপনাদের আসলে লাভ কি বলুন তো?! একদল আছে যারা সবসময়ই ব্লগের মডারেশনের উপর খড়গহস্থ থাকবেন বলে পণ করেছেন,তারা যেভাবেই হোক সব কিছুর দায়িত্ব শেষ করেন জানা আর আরিলকে গালিগালাজের মাধ্যমে বা মডারেশনের পিন্ডি চটকে। নিজেদের দায়িত্ব তারা শেষ করেন অন্যের ঘাড়ে রাইফেলটা বিশ্রামে রেখে। জামায়াত পন্থী ব্লগাররা সবসময়ই চান,সকল মতের মিলন মেলা হোক ওই খোয়াড়ে,ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়,এমন লোকের বাধ ভাঙ্গা আওয়াজে যেন মুখরিত না হয় সামহোয়ারইন। আমাদের মহান নবী করিম হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে নোংরা কুরুচিপূর্ন পোস্টের কারনে আজীবন ব্যান করা হোক ঐ সব নোংরা কীটদের। একইসাথ যারা ধর্ম বিক্রি করে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মায়ের জাতি(যাকে ইসলামে দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সম্মান)কে আক্রমন করে নোংরাভাবে প্রতিবাদের নামে ,তাদেরও ব্যান করা হোক।

মাহমুদুল হাসান কায়রো-র পোস্টে জানার বক্তব্য দেখুনঃ গত মধ্যরাতে যা কিছু ঘটেছে, আজ সকালে তা দেখার পর সবার মত আমরাও হতভম্ব হয়েছি। অত্যন্ত নোংরা ও উদ্দেশ্য মূলক ঐ পোস্টটি বরাবরের মতই মধ্যরাত/ছুটির দিন বেছে নেয়া হয়েছে। যাতে তা সহজে মডারেশন টিমের নজরে না আসে এবং কমিয়্যুনিটি অস্থির করতে যথেষ্ট সুযোগ পায়। ২৪ ঘন্টা মডারেশন এখনও সম্ভব নয় এবং মডারেশন প্যানেলের কলেবর নিয়ে অনেকবার বলেছি। তবুও তা নিয়ে মনগড়া কথাবার্তার চলছে/চলবেও।

ব্লগারদের একটি বড় অংশ মনে করেন, আমরা অর্থাৎ মডারেশন টিম/কর্তৃপক্ষ নাওয়া-খাওয়া, ঘুম বাদ দিয়ে দিবা-রাত্রি চব্বিশ ঘন্টা এখানে চোখ রাখতে বাধ্য। তা না হলে সম্মানিত প্রিয় ব্লগাররা আমাদের অপদস্ত করবেই আর আমরা তা চোখ-কান বুঁজে মানতে বাধ্য!! বিষ্মিত হয়েছি মানুষের রুচিবোধ, সম্মানবোধের অভাব আর নিজেকে কুৎসিতভাবে পরিচিত করার জন্য সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যাবার প্রয়াস দেখে। হযরত মুহাম্মাদ ( সা: ) কে নিয়ে যারা ঐসব নিম্নরুচির কার্যকলাপ করেছে আর সেই কার্যকলাপের আগুনে ঘি ঢালতে যাদের উৎসাহের সীমা নেই, যারা সেই কুকর্মকে কাজে লাগিয়ে সহিংসতা, হানা-হানি, জ্বালাও-পোড়াও করছে তারাও একইভাবে হীন। মহানবীকে নিয়ে বিদ্রুপ করে কোন পোস্ট নিঃসন্দেহে আপত্তিকর। সেজন্যে রিপোর্ট করা, মেইল করা ইত্যাদির সুযোগতো রয়েইছে।

তা কি সবাই জানেননা? তা না করে ধর্মপ্রাণ, দায়িত্বশীল, সুশিক্ষিত এবং নিষ্পাপ ব্লগাররা যেটা করেছেন সেটা আসলে কি ছিল? ধর্মানুভূতির প্রকাশ? ধর্মপরায়ণতা? কোনভাবেই কী ধর্ম চর্চার অংশ? একজন স্বল্প শিক্ষিত দীন-হীন মানুষ হিসেবে আমার অন্তত কিছুটা সময় লেগে গেল কিছু মানুষ(!!) এর ধর্মানুভূতি প্রকাশের প্রভাব সামলে নিতে। অসংখ্য পোস্টের কোনটাতেই কথা বলতে আগ্রহ হয়নি। কারণ আমার ধর্মানুভূতি ভঙ্গুর নয়। আমার বিশ্বাস, আমার আস্থা এবং আমার সিদ্ধান্ত- এর কোনটাই পলকা নয়। সুযোগ নিতে নয়, ক্ষমতা দেখাতে নয়, নোংরামী করতে নয় ...প্রকৃতই ব্লগটাকে ভালোবেসে ব্লগিং করুন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।