আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

‘ফাঁকিবাজ’ মেসি!

এক দশকের ক্যারিয়ার। বিশ্বের সেরা তারকা বলেই নজরটাও তাঁর ওপর। কিন্তু এই এত দীর্ঘ সময়ে লিওনেল মেসি ‘পরমহংস’ হয়ে ছিলেন। বিতর্কের পূঁতিগন্ধময় জল লাগতে দেননি শরীরে। সেই মেসিকে নিয়ে উঠল গুরুতর অভিযোগ।

মেসি নাকি সুকৌশলে ফাঁকি দিয়েছেন কর। বার্সার এই মহা তারকা ও তাঁর বাবা হোর্হের বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার কর ফাঁকির অভিযোগ তুলেছে স্পেনের কর বিভাগ। অঙ্কটাও বিশাল—৫৩ লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৪২ কোটি টাকা।
অঙ্কটা যা-ই হোক, কর ফাঁকির অভিযোগটাই মেনে নিতে পারছেন না মেসি। মানতে পারছেন না তাঁর বাবা হোর্হেও।

বিস্ময় প্রকাশ করে বাবা-ছেলে দুজনই তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কাতালুনিয়ার কর অপরাধ বিভাগের দাবি, ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত আয়কর রিটার্নে ভুল তথ্য দিয়েছেন মেসিরা। গণমাধ্যমে তথ্যটা শুনে নিজের ফেসবুকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন টানা চারবারের ফিফা-ব্যালন ডি’অর বিজয়ী, ‘আমরা এই খবরে বিস্মিত! কারণ, আমরা কখনো কোনো আইন অমান্য করিনি। কর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে সব সময় কর পরিশোধ করেছি। এখন তাঁরাই ব্যাপারটা দেখভাল করবেন।


মেসির বাবা থাকেন আর্জেন্টিনায়। তিনিও খবরটা শুনেছেন গণমাধ্যম থেকে। স্প্যানিশ ক্রীড়াদৈনিক ‘এএস’কে হোর্হে বলেন, ‘নিশ্চয়ই কোথাও কোনো ভুল হচ্ছে। বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে। ব্যাপারগুলো আমি দেখভাল করি না।

আমি থাকি আর্জেন্টিনায়। ’
মেসির বাবা জানান, গণমাধ্যম থেকে কর ফাঁকির অভিযোগ শুনলেও এখনো এ নিয়ে ছেলের সঙ্গে কথা বলেননি। এর কারণও স্পষ্ট করেছেন হোর্হে, ‘অভিযোগটা ঠিক নয়। তাই মেসির সঙ্গে কথা বলার কোনো প্রয়োজন নেই আমার। কেন আমি এসব নিয়ে প্রশ্ন করে ওকে কষ্ট দিতে যাব?’
মেসি ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগটা দায়ের করা হয়েছে কাতালুনিয়ার আদালতে।

ওই এলাকায় থাকেন মেসি। কর অপরাধ বিভাগের করা অভিযোগের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা দেননি আদালত।
ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত যা-ই হোক, অভিযোগটা সত্যি হলে তা হবে লিওনেল মেসির জন্য যথেষ্ট ‘বিব্রতকর’। ২৫ বছর বয়সী এই তারকার খেলোয়াড়ি জীবন নিয়ে বিতর্ক নেই। বিতর্ক নেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও।

স্পেন কর বিভাগের এই অভিযোগটা তাই তাঁর কাছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো।
এ মাসেই ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বেশি আয় করা খেলোয়াড়দের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন সাময়িকী ‘ফোর্বস’। ওই তালিকায় লিওনেল মেসির অবস্থান দশম। বার্ষিক মোট আয় ৪১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।