আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিস স্টোরি ইজ আন্ডার কন্সট্রাকশন-২

আকিকুন্নেসা বেগম তার অর্ধেক বয়েসি এক ছেলের সাথে ড্রইং রুমে নাচছেন। এরকম দৃশ্য সহ্য করার মতো নয়। তাজহারুল সাহেব সহ্য করলেন। পয়ত্রিশ বছরের দাম্পত্য জীবনে এমন অনেক দৃশ্যই সহ্য করেছেন তিনি। অফিস থেকে ফিরে এরকম দৃশ্য দেখেই তাকে বেডরুমে যেতে হল।

কিছুক্ষণ পর আকিকুন্নেছা বেগমও বেডরুমে প্রবেশ করলেন। তাজহারুল সাহেবের সাথে ইদানিং তার খুব বেশি কথাবার্তা হয় না। যে টুকু কথা হয় তার বেশির ভাগই অর্থ সংক্রান্ত। আকিকুন্নেসা বেগম দীর্ঘ দশ বছর ধরে সংগীত চর্চা করছেন। সংগীতের পেছনে তিনি অর্থ ও শ্রম দুটোই ব্যয় করছেন সমান তালে।

এর সুফলও পাওয়া শুরু করেছেন ইদানিং। বিভিন্ন প্রাইভেট টিভি চ্যানেলে তার গান নিয়মিত সম্প্রচার হচ্ছে। আগামী ঈদে তার গানের প্রথম মিউজিক ভিডিও এলবাম বের করতে যাচ্ছেন। মোট বারোটা গানের একক এলবাম। গীতিকার অলরেডি সিলেক্ট করা হয়ে গেছে।

প্রতিটি গানের জন্য গীতিকার বিশ হাজার করে এডভান্স নিয়েছেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে বারোটি গান নামাবেন তিনি। তবে গানের সুরকার নির্বাচন হয় নি এখনো। দুইজন বিশিষ্ট সুরকারের সাথে কথাবার্তা চলছে। মিউজিক ডিরেক্টর, ড্যান্স ডিরেক্টর ইত্যাদি ঠিক করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিদ্যুতের উপর।

বিদূত এ প্রজন্মের মিউজিক ভিডিও জগতের জনপ্রিয় নাম। অনেকগুলো মিউজিক ভিডিও তে মডেল হয়েছে সে। আকিকুন্নেছা বেগম নিজের গানে নিজেই মডেল হবেন। পুরুষ মডেল হবে মিউজিক ভিডিও জগতের জনপ্রিয় নাম বিদ্যূত। ড্রইং রুমে বিদ্যূতের সাথেই ড্যান্স প্র্যাকটিস করছিলেন আকিকুন্নেছা বেগম।

এখনকার দিনে নাচ ছাড়া গান অচল। মানুষ গান শোনার চেয়ে দেখার উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। দর্শকের চাহিদার কথা চিন্তা করে প্রতিটি গানের চিত্রায়ন হবে আকর্ষনীয় লোকেশনে। আপাতত ভারতের রাজস্থান আর নেপালের কাঠমুন্ডুর কথা ভাবা হচ্ছে। তবে বাজেটে পোষালে ইউরোপের দু একটা লোকেশনের কথাও চিন্তা করা যেতে পারে।

অবশ্য বাজেটের অর্ধেক টাকাই ইতিমধ্যে খরচ হয়ে গেছে। খরচের বেলা আকিকুন্নেছা কোনরূপ কার্পন্য করছেন না। সামান্য টাকার জন্য তার এলবামে কোনরূপ ঘাটতি থাকুক তা তিনি চান না। দরকার হলে বাজেট বাড়ানো হবে। আকিকুন্নেছা বেডরূমে ঢুকে তাজহারুল সাহেবের সাথে এ প্রসংগেই কথা বলা শুরু করলেন।

“আমি চাচ্ছি শুটিং টা ইন্ডিয়াতে না করে, ইউরোপের কোথাও করতে। ইন্ডিয়া তো এদেশের মানুষের কাছে ডাল ভাত হয়ে গেছে। ” তাজহারুল সাহেব কোন কথা বললেন না। “ইউরোপে শুটিং করলে আমাদের বাজেট প্রায় ডাবল করতে হবে। ইউরোপের লোকেশনগুলো বেশ দামী।

আর এয়ার ফেয়ার ত আছেই। তবে এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হয়ে যাবে। আমাদের ইউরোপ বেড়ানো ও হয়ে যাবে। তোমার তো ইউরোপ বরাবরই ভালো লাগে। কি বল…” “পাখী একটাই মার।

আমার ইউরোপ বেড়ানোর শখ নেই । তোমার শখ তুমি পূরণ কর। অই হিজড়াটাকেই নিয়ে যাও। ” “তুমি যাবে না ভালো কথা। আমার সহশিল্পীদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করবেনা।

ষ্টার কি জিনিস তা তো জানোনা। সারাদেশের মানুষ বিদ্যুতকে ষ্টার হিসেবে একনামে চিনে। ” “তো ঠিক আছে ষ্টারের সাথে মাখামাখি করে তুমিও স্টার হয়ে যাও। ” “ছি, এসব কথা বলতে তোমার রুচিতে বাধে না? তোমার মত রুচিহীন মানুষের সাথে আমি আর কথা বলতে পারব না” আকিকুন্নেছা তার বেডরূম থেকে বেরিয়ে গেলেন। গত পর্ব >>>> গত পর্ব ।

। দিস স্টোরি ইজ আন্ডার কন্সট্রাকশন -১ চলবে...। মন্তব্য করলে ধন্য হব। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।