আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রতারকরা সব সময়ই সামনে রাখে অভিনব টোপ

দেশে যখন বেকার সমস্যা প্রকট তখন বেকারদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলা খুবই সহজ। কর্মসংস্থানের জন্য উদগ্রীব যুবসমাজ অধিকাংশ সময়ই বাস্তবতা ভুলে যায়। বাস্তবতার আলোকে বিচার বিবেচনা না করেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে। যুবক, নিউওয়ে, ডেসটিনিসহ হরেক নামে প্রতিষ্ঠান খুলে মাল্টি লেবেল মার্কেটিং তথা এমএলএম’র কথা বলে কীভাবে কাড়ি কাড়ি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে তা এখন সচেতনমহলের কাছে আর অস্পষ্ট নেই। বিলম্বে হলেও সরকারের সেদিকে দৃষ্টি পড়েছে।

প্রতারণার ফাঁদ ভাঙাই শুধু হয়নি, হাজার হাজার টাকা বিদেশে পাচারের বিষয়টিও ধরা পড়েছে। এ ধরনের প্রতারকদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার আইন প্রণয়নের কাজও শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই মন্ত্রিসভা এ সংক্রান্ত আইন অনুমোদনও দিয়েছে। অঙ্কের ধন্ধে ফেলে একাধিকচক্র দেশে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে। এ খবর যে একেবারেই পত্রপত্রিকায় প্রকাশ পায়নি তাও নয়।

তবে যুবসমাজকে সজাগ সচেতন করতে দায়ত্বশীল গণমাধ্যমগুলোর যতোটা কর্তব্য ছিলো অতোটা যে হয়নি তা বলাই বাহুল্য। সরকারের দায়িত্বশীলদের কুম্ভঘুম ভাঙতেও লেগে গেছে প্রায় এক যুগ। তা না হলে ডেসটিনি-২০০০ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এতোদিন লাগলো কেন? অধিকাংশ যুবক সচেতন হলেও অনেকেই যে ওই ডান হাত বাম হাতের হিসাব মেলানোর নেশায় মত্ত থেকেছে তা বলাই বাহুল্য। শুধু কি তাই? ব্রেসলেটের নামে কীভাবে প্রতারণা করা হয়েছে তাও পত্রিকার পাতায় ঠাঁই পেয়েছে। বলা হয়েছে, তাবিজ কবজের আধুনিক সংস্করণ ব্রেসলেট।

এরেডিয়েশন থেকে মুক্ত হয়ে সুস্থ থাকার কথা বলে ওই ব্রেসলেট মাল্টিলেভেল মার্কেটিং পদ্ধতিতে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা। ওই ধান্ধাবাজি দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি। সচেতনতা বৃদ্ধির কারণেই কিন্তু ধান্ধাবাজদের ধান্ধাবাজির ফাঁদ গুটিয়ে গেছে। প্রতারকরা সব সময়ই অভিনব কৌশল অবলম্বন করে। বিশ্বাস স্থাপনের মতো কিছু টোপ সামনে মেলে ধরে আড়ালে রাখে প্রতারণার ফাঁদ।

এ কারণে আইন দিয়ে যে সকল ধরনের প্রতারণা বন্ধ করা সম্ভব তা কিন্তু হলফ করে বলা যায় না। তবে প্রতারকচক্রের বাড় বাড়ন্ত রোধে আইন অবশ্যই সহায়ক হয়। আইন প্রণয়ন করলেই হবে না, তার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি দরকার সচেতনতা। বেকার সমস্যা তীব্রতর হয়ে উঠলে সচেতনতার প্রসঙ্গটিও হয়ে ওঠে অবাস্তব।

কবির ভাষায় যেমন ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি। ’ প্রতারকচক্রের অপতৎপরতা বন্ধে অবশ্যই দরকার অবাস্তব লোভ পরিহারের মতো সচেতনতা। পাশাপাশি দরকার পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের জোগান । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।