"এখন সময় যার, যুদ্ধে যাবার তার শেষ্ঠ সময় ।" অথবা "নিউটন বোমা বোঝ, মানুষ বোঝ না ।" অথবা "নিরাল্রয়ে পাচটি আঙ্গুশ তুমি নিদ্বিধায় বরন করে নাও হেলেন এ আঙ্গুল ছলনা জানে না ।" এমনই সব ধ্রূপদী কবিতার জনক হেলাল হাফিজ। আপনারা এই কবির সম্পকে যে যা জানুন, শেয়ার করুন। ...
" আমি না হয় ভালোবেসে ভুল করেছি, ভুল করেছি... নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে, পাঁচ দুপুরের নির্জনতা খুন করেছি....কি আসে যায়.... এখন তুমি কোথায় আছো, কেমন আছো... পত্র দিও "
আমি কিছু বলছিনা। তার মানে এইনা আমার কিছু বলার নেই। জননীর জৈবসারে বর্ধিত বৃক্ষের নিচে কাঁদতাম যখন দাঁড়িয়ে সজল শৈশবে, বড়ো সাধ হতো আমিও কবর হয়ে যাই,
আমি দলে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল বেরিয়ে যে আসে সে তো এভাবেই আসে, দুর্বিনীত ধ্রুপদী টংকার তুলে লন্ডভন্ড করে চলে আসে মৌলিক ভ্রমণে, পথে প্রচলিত রীতি-নীতি কিচ্ছু মানে না। আমি এক সেরকম উত্থানের অনুপম কাহিনী শুনেছি। এমন অনমনীয় পৃথক ভ্রমণে সেই পরিব্রাজকের অনেক অবর্ণনীয়...
শুধু স্বপ্ন দেখতে নয় , দেখাতেও ভালোবাসি :) :) :) "কথা ছিলো একটি পতাকা পেলে , আমাদের সব দুঃখ জমা দেবো যৌথ-খমারে, সম্মিলিত বৈজ্ঞানিক চাষাবাদে সমান সুখের ভাগ সকলেই নিয়ে যাবো নিজের সংসারে" - কবি হেলাল হাফিজ শুভ জন্মদিন
শুচি সৈয়দ শুচি সৈয়দ প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে যার বসবাস সেই নগর বাউল কবি হেলাল হাফিজ। চির তরুণ, সজীব, প্রাণবন্ত এই বাউল ৭ অক্টোবর পা রাখবেন তাঁর পঁয়ষট্টি তম জš§দিনে। ‘সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি’Ñ যিনি কবি, তার কবি হয়ে ওঠার পেছনে থাকে সকলের উপস্থিতি নীরবে-নিভৃতে, আÍার গহীন প্রদেশে। কবি...
শরীরে আচড়ের দাগ, নষ্ট হল বুঝি আবার মানবতা! তখন সময় উত্তাল। অশান্ত ঢাকার আকাশ বাতাস। অলিতে গলিতে, পাড়া মহল্লায়, চায়ের দোকানে, ষ্টেশনারীতে একই আলাপ, স্বৈরাচারের পতন। আগরতলা মামলার ঢেউ তখন সমস্ত রাজপথ প্রকম্পিত করে ছড়িয়ে দিচ্ছিল বিপ্লবের বিবর্ধিত মশাল। যখন রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে চলা...
বুকের সীমান্ত বন্ধ তুমিই করেছো খুলে রেখেছিলাম অর্গল, আমার যুগল চোখে ছিলো মানবিক খেলা তুমি শুধু দেখেছো অনল। তুমি এসেছিলে কাছে, দূরেও গিয়েছো যেচে ফ্রিজ শটে স্থির হয়ে আছি, তুমি দিয়েছিলে কথা, অপারগতার ব্যথা সব কিছু বুকে নিয়ে বাঁচি। উথাল পাথাল করে সব কিছু ছুঁয়ে যাই কোনো...
হিরনবালা তোমার কাছে দারুন ঋণী সারা জীবন যেমন ঋণী আব্বা এবং মায়ের কাছে। ফুলের কাছে মৌমাছিরা বায়ুর কাছে নদীর বুকে জলের খেলা যেমন ঋণী খোদার কসম হিরনবালা তোমার কাছে আমিও ঠিক তেমন ঋণী। তোমার বুকে বুক রেখেছি বলেই আমি পবিত্র আজ তোমার জলে স্নান করেছি বলেই আমি বিশুদ্ধ...
আমি কিছু বলছিনা। তার মানে এইনা আমার কিছু বলার নেই। আমার জীবন ভালোবাসাহীন গেলে কলঙ্ক হবে কলঙ্ক হবে তোর, খুব সামান্য হৃদয়ের ঋণ পেলে বেদনাকে নিয়ে সচ্ছলতার ঘর বাঁধবো নিমেষে। শর্তবিহীন হাত গচ্ছিত রেখে লাজুক দু’হাতে আমি কাটাবো উজাড় যুগলবন্দী হাত অযুত স্বপ্নে। শুনেছি জীবন...
কেবল আদর্শবান খেলোয়াড়রাই এখানে জয়লাভ করে আগুন আর কতটুকু পোড়ে? সীমাবদ্ধ তার ক্ষয় সীমিত বিনাশ।। মানুষের মতো আর অত নয় আগুনের সোনালী সন্ত্রাস।। আগুন পোড়ালে তবু কিছু রাখে কিছু থাকে।। হউক না তা ধূসর শ্যামল রং ছাই।। মানুষ পোড়ালে আর কিছু রাখেনা, কিচ্ছু থাকেনা।। ...
ফেরীঅলা কষ্ট নেবে কষ্ট হরেক রকম কষ্ট আছে কষ্ট নেবে কষ্ট ! লাল কষ্ট নীল কষ্ট কাঁচা হলুদ রঙের কষ্ট পাথর চাপা সবুজ ঘাসের সাদা কষ্ট, আলোর মাঝে কালোর কষ্ট ‘মালটি-কালার কষ্ট আছে কষ্ট নেবে কষ্ট । ঘরের কষ্ট পরেরর কষ্ট পাখি এবং পাতার কষ্ট দাড়ির কষ্ট ...
কোনো কোনো প্রেম আছে প্রেমিককে খুনী হতে হয় । যদি কেউ ভালোবেসে খুনী হতে চান তাই হয়ে যান উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায় । কেউ জানে না আমার কেন এমন হলো। কেন আমার দিন কাটে না রাত কাটে না ... রাত কাটে তো ভোর দেখি না, কেন আমার হাতের মাঝে হাত থাকে না; কেউ জানেনা। নষ্ট রাখীর...
যতোদিন মানুষ অসৎ থাকে, ততোদিন তার কোনো শত্রু থাকে না; কিন্তু যেই সে সৎ হয়ে উঠে, তার শত্রুর অভাব থাকে না। বেরিয়ে যে আসে সে তো এভাবেই আসে, দুর্বিনীত ধ্রুপদী টংকার তুলে লন্ডভন্ড করে চলে আসে মৌলিক ভ্রমণে, পথে প্রচলিত রীতি-নীতি কিচ্ছু মানে না। আমি এক সেরকম উত্থানের অনুপম কাহিনী...
জীবন মানে আজও বুঝি না তোমার সাথে কোন ব্যক্তিগত চেনাজানা নেই কোনদিন হয়তো হবেও না, তেমন সচেষ্ট কৌতূহলীও নই তবে ভিতরে তুমি আছো যেমন আছো কোটি মানুষের প্রাণে এই ভাষার একজন হয়ে, এই বাঙালির একজন হয়ে তোমার যাপিত জীবন সব বুঝি না বুঝি খুব নাড়া দাও তুমি বেলায় বেলায় ক্ষণে ক্ষণে ...