আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বই দোকানদার হাসান বলেন, “ভাই, ওরা কাফের, কুরআন শরীফের কথা বলেও রক্ষা পাইনি আমি। আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তাতেও।”

... সোমবার সকালে পল্টন মোড়ে পুড়ে ছাই হওয়া বইয়ের দোকানের সামনে কথা হচ্ছিল হাসানের সঙ্গে। এ সময় পাশের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মজিদ দৌড়ে এসে এভাবেই অনুরোধ জানাতে থাকেন। বইয়ের দোকান ‘হাসান বুক’ বাঁচাতে প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়েছেন হাসান। “কোরআন শরীফ রয়েছে, এগুলো পোড়াবেন না” বলে বাঁচাবার চেষ্টা করেন হেফাজতের আগুন থেকে। কিন্তু কিছুতেই শোনেনি হেফাজত ওরফে হেকারত কর্মীরা।

লাঠি দিয়ে হাসানের দুই পায়ে ও শরীরে উপুর্যপরি আঘাত করেছে। হেফাজতের কর্মীরা পবিত্র কোরআনসহ প্রায় ৫০ হাজার টাকার বই পুড়িয়ে দিয়েছে। হাসান বলেন, “ভাই, ওরা কাফের, কুরআন শরীফের কথা বলেও রক্ষা পাইনি আমি। আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তাতেও। ” শুধু আব্দুল মজিদ আর হাসান নয়, শতাধিক ব্যবসায়ী হেকারতের ভয়ংকর তাণ্ডবের বর্ণনা দেন।

১৬ বছরের কিশোর জুয়েল সব হারিয়ে পথে বসেছে। বইয়ের দোকানের পাশাপাশি পান-বিড়ির দোকানটিরও কোনো চিহ্ন নেই। কোরআন শরীফের পোড়া অংশ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার এয়ারপুর গ্রামের বিধবা মা আনোয়ারার সংসার চলে এই কিশোর জুয়েলের আয়ের ওপর। সারা মাস আয় করে তা পাঠিয়ে দেয় মায়ের কাছে।

জুয়েল জানায়, ছোট ভাই সাইফুল ক্লাস ফোরে পড়ে আর বোন বৃষ্টি ক্লাস থ্রি-তে। আরো একটি সাড়ে তিন বছরের ছোট বোন রয়েছে সংসারে। বাবা আব্দুল মালেকের মৃত্যুর পর পান-বিড়ির দোকান আর বইয়ের ছোট্ট এই দোনটির আয়েই পাঁচ বছর ধরে সংসার চালায় সে। এখন কী করবে জানে না। দুপুরে হয়তো কোনো দোকানদারের কাছ থেকে টাকা নিয়েই চলতে হবে তাকে।

বই ব্যবসায়ী সেলিম জানান, কোরআনসহ অন্য বইগুলো র‌্যাক থেকে ফেলে দিয়ে আগুন দিয়েছে হেফাজত কর্মীরা। একইভাবে মাসুম ইউসুফ, দেলাওয়ারসহ সবার বইয়ের দোকানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। কমরেড ফরহাদ-মনি সিংহ টাওয়ারের নিচের বইয়ের দোকান আর আশপাশে আগুন জ্বালিয়ে উল্লাস করেছে হেফাজতের কর্মীরা। বাংলা নিউজ ২৪ থেকে...... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।