আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এনায়েতপুরে খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ এম এম আমজাদ হোসেন এর চির বিদায়।

বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ, কেমনে দিই ফাঁকি ! আধেক ধরা পড়েছি গো, আধেক আছে বাকি । । চির প্রচার বিমূখ খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ এম এম আমজাদ হোসেন তাঁর বর্নাঢ্য কর্মময় জীবনের ইতিটেনে আজ মঙ্গলবার সকালে ইহজগতের মায়া ত্যাগ করেছেন। (ইন্নলিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। )।

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে পাক দরবার শরীফের পাশে আজ বিকেলে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। ডঃ এম এম আমজাদ হোসেন 1948 সালে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করে 1950 সালে তদানীন্তন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্মি মেডিকেল কোরে ডাক্তার হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর চাকরী ছেড়ে দিয়ে 1953 সালে বন্দর নগরী চট্রগ্রামে রপ্তানী ভিত্তিক ব্যবসা শুরু করেন। 1958 সালে তিনি প্রথম রপ্তানী ভিত্তিক শিল্প "পাকিস্তান গদি মিলস লিমিটেড স্থাপন করেন। 1962 সালে তিনি সেই সময়ের বৃহত্তম টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি "আলহাজ্ব টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড" এবং 1967 সালে " আলহাজ্ব জুট মিলস লিমিটেড" প্রতিষ্ঠা করেন।

উভয় প্রতিষ্ঠানের তিনি ছিলেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি । ডাঃ এম এম আমজাদ হোসেন 1980 সালে টঙ্গী শিল্প এলাকায় "ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড" নামে একটি ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাষ্ট্রি শুরু করেন যা বরতমানে বাংলাদেশের ষষ্ঠ বৃহত্তম ঔষধ শিল্প। 1998 সালে ATI লিমিটেড নামে একটি সফটওয়্যার উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন যা এখন দেশে বৃহত্তম সফ্টওয়্যার সংস্থার একটি। 2000 সালে ইতালি ও জার্মানির অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ATI সিরামিকস লিঃ নামে আরেকটি শিল্প গাজীপুর জেলায় স্থাপন করেন যা দেশে একমাত্র Granito টাইলস প্রস্তুত করে থাকে।

1956 সালে এনায়েতপুরে তাঁর মায়ের নামে অত্র এলাকার মেয়েদের একমাত্র স্কুল “মেহেরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়” প্রতিষ্ঠা করেন । প্রায় 100 একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত করেছেন আঁধ্যাতিক সাধক খাজা এনায়েতপুরী পীর কেবলার নামে “খাজা ইউনুছ আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল”। তিনি KYA foundation এর চেয়ারম্যান যার অধীনে একই ক্যাম্পাসে নির্মিত হচ্ছে KYA বিশ্ববিদ্যালয়। ডঃ এম এম আমজাদ হোসেন বাংলাদেশের শিল্পে অবদানের জন্য সরকার কর্তৃক 1998 সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (CIP) মনোনীত হয়ে আসছেন। প্রচার বিমুখ বলেই কিনা জানিনা তাঁর মৃত্যু সংবাদ পত্রিকার নিউজ আপডেটে কিংবা টিভি চ্যানেলের স্ক্রলে পাইনি।

পেলাম এক সাংবাদিক বন্ধুর মোবাইল কলে। আমরা তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। সূত্রঃ তাঁর প্রোফাইল সূত্র এখানে।  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।