আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আর আসব না বিকেল বেলা।।

মানুষের আর কতটুকুই বা অনুভুতি থাকে, কত ভাল আর বাসতে পারে জীবনের এই অল্প সময়ে। তাই বারবার গভীর হৃদয়ের হাহাকার শুনি তোমায় আরো ভালবাসতে পারলম না বলে। আমার মনে হয়, এমন ভাল যদি বাসতে পারতাম- আমার ভালবাসা তোমাকে অস্থির করে দিত, তুমি অসহ্য হয়ে বলতে “এসবের মানে কি”….। কিন্তু যখন নিজকে তোমার কাছে বিলিয়ে দিতে চেয়েছি- তুমি আমাকে জোর করে থামিয়ে দিয়ে বলতে “কি হচ্ছে এইসব?!”তোমাকে তো এই অধিকার আমি দেয়নি। স্যরি ঠিক তাই কিন্তু আমি অ……… “আমি পাগল হয়ে যাবো, তুমি কি চাওনা আমি ঘরে ফিরে যাই?” তখন বলতে কখনও চাই, তবে……! কখনও না চাইনা… ঘরে আর ফিরে যাবনা! তোমার সামনে সারাটা জীবন এইভাবে স্থির হয়ে বসে থাকবে, যতক্ষন না আমার চোঁখ জলসে যায় তোমার প্রণয়ের অনলে! তুমি ভ্যাংছি মেরে বলতে, তাতে আমার কি! আসলেই তাই! আচ্ছা তুমি এত এলোমেলো হয়ে থাক কেন? আয়নায় নিজেকে একবার ওলট-পালট করে দেখতে পারোনা? শেখ সাদির গল্প কি ছোটকালে শোননি? পোশাক-রং-জাত মিথ্যা, তুমি ভুলে গেলে “সবার উপরে মানুষ সত্য”।

কিন্তু তবুও যখন……………। আমি কখনও অট্টহাসি দিতাম,কখনও বা খুব-ই মন খারাপ করতাম। আমি হাসতে হাসতে বলতাম, “হে চন্দ্র আজ আকাশে তোর আলোর প্রয়োজন নাই আমার প্রেয়সির অন্তরের আলো দিয়ে আজ পৃথিবী আলোকিত করব”। আমি কেঁদে কেঁদে বলতাম “হে অন্ধকার, তুই শুনে যা, তুর বুকে কত মানুষ স্বস্তি পেয়েছে তার হিসেব কি তুর আছে! তাই আমার প্রিয়তমার সৌন্দর্য্য আমাকে আলোকিত করে। জানি এসবের কোন উত্তর তোমার কাছে নাই।

মিথ্যাই বলতে তুমি আমাকে ঘৃণা করতে পারনা, আবার ভালবাসতেও পারনা। কেন মিথ্যা বলতে নিজকে আড়াল করার জন্য? নাকি মনে কর সব মেঘে বৃষ্টি হয়, মনে রাখ মেঘ রংধনুও সৃষ্টি করে। তুমি বলেছিলে আমাকে ভালবাস তো, “তুমি কি জান আমার পছন্দ অপছন্দ”। “না” আমার জীবন তো তোমাকে নিয়ে, কি শুনতে চাও? তখনি তুমি হয়তো রেগে গিয়েছিলে, তুলতুলে দুটো গাল ফুলিয়ে বলেছিলে “যার পছন্দ অপছন্দ জাননা তাকে ভালবাস?” এক প্রচন্ড ঘৃণায়। সপ্তপদীতে তারাশঙকর বন্দ্যোপাধ্যায় কি বলেছিল জান “তুমি যা চাও আমার মধ্যে, আমি যা চাই তা তোমার মধ্যে।

রূপ রস বর্ণ গন্ধ স্বাদ মন মাধুর্য স্নেহ প্রেম সান্তনা,এই-তো জীবনের কামনা। এ আছে জীবনের মধ্যেই। আর কোথাও নেই- আর কোথাও নেই”। সেদিন বিকাল বেলা এসএম হলের গেইটে আমার জন্য অপেক্ষা, পাশাপাশি হাঁটা, আজও আমি পুলকিত হয়। সেদিনের তোমার রূপের তুলনা কবিতায় খুঁজে পাওয়া যায় এইভাবে — “চুল তার কবেকার অন্ধকার বিধিশার দিশা, মুখ তার শ্রাবস্তির কারুকার্য্য………” সেদিন বন্ধুত্ব ছিল আজ আর নাই, যদিও বা মার্ক জুকারবার্গ সবাই কে Friend এর বন্ধনে বাঁধার আবদ্ধ করার চেষ্টায় আছেন।

Thanks মার্ক জুকারবার্গ! যদিও এটি ছিল বাড়াবাড়ি,বন্ধুর কাছে দেওয়া প্রতিজ্ঞা পূরণ। ভালবাসা পাইনি……… তাই কত ঈদ গেল…. কত বসন্ত গেল…… ভালবাসা দিবস গেল! আর আসবেনা বিকাল বেলা-আর কখনোই না। আমার বেঁচে থাকা কলা ভবন ও এক বন্ধু, যেখানে তোমার চপলা হরিণীর মত চঞ্চন রূপ দেখে বেঁচে থাকার প্রেরণা খুঁজে পাই। (যদি প্রচলিত আইনে কারও দিকে তাকিয়ে থাকা ইভ টিজিং। ) জানি আমার কোন যোগ্যতা নাই, আমি সাধারণ কিন্তু এই সাধারণ শব্দটা নিজের কাছে আজ অসাধারণ লাগে… এখন আর তোমার ভালবাসা পাব তা চাইনা, চাই তোমার সুখ অথবা শুনতে চাই তুমি সুখে আছ।

তোমাকে ভালবেসেছি…… ভালবেসে যাব…… ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।