ভিয়েনায় কোকোর দুর্নীতির খবর নিয়ে প্রেজেন্টেশন হল। এছাড়া কোকোর পাচার করা ২০ কোটি টাকার বেশি অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও তাদের কাছের মানুষদের বিচারের মুখোমুখি হওয়াটা সচরাচর ঘটে না। কিন্তু এবার এমনটাই ঘটতে চলছে বলে মনে হচ্ছে। কয়েকদিন আগে দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে এ বছরের মধ্যেই দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায়ে প্রাপ্ত সাজা ভোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে ওই খবরে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া কোকোর বিদেশে পাচার করা অর্থও ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়া দ্রুত করতে অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় জাতিসংঘের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধবিষয়ক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ৩০-৩১ আগস্ট দুদিনের এ সম্মেলনে অংশ নিতে গত ২৯ আগস্ট ভিয়েনার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি। ইউএনওডিসির (ইউনাইটেড নেশন অফিস অন অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম) অ্যাসেট রিকভারি শাখার বিশেষ এই সম্মেলনের অন্যতম এজেন্ডা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত টাকা দ্রুত দেশে ফিরিয়ে নেওয়া।
এ ছাড়া কোকোকে দেশে আনার আইনি রাস্তাও ঝালিয়ে নেওয়ার কাজটি সারবেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
কোকোর মুদ্রাপাচার: সিঙ্গাপুরে ২০ কোটি টাকার বেশি অর্থের অবৈধ লেনদেনের দায়ে গত বছরের ২২ জুন কোকোকে ৬ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয় আদালত। সিঙ্গাপুর থেকে এই টাকার সমপরিমাণ অর্থ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে আদেশ দেয় আদালত। এ ছাড়া কোকোকে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের রায়ে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, টেলিযোগাযোগ খাতে সিমেন্সকে কাজ পাইয়ে দিতে এই টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন আরাফাত রহমান কোকো।
মামলার অপর আসামি সাবেক মন্ত্রী মরহুম লে. কর্নেল আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মনকে একই দন্ড দেয় আদালত। আদালত মোট জরিমানা করে ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা কোকো ও সায়মনকে অর্ধেক অর্ধেক করে দিতে হবে।
গত ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় দুদক এই মামলা করেছিলো। সিঙ্গাপুরে ২৮ লাখ ৮৪ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার এবং ৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৭২ ইউএস ডলার (সে সময়ের বাজারদর অনুযায়ী ২০ কোটি ৮৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫১৮ টাকা) অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
কোকোর অবস্থান: ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর কোকোকে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
২০০৮ সালের মে মাসে তাকে সাময়িক মুক্তি (প্যারোল) দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর কয়েক দফা এর মেয়াদ বাড়ানোর পর ২০১০ এর ১৪ আগস্ট প্যারোলের মেয়াদ শেষ হয়। ১৯ আগস্ট প্যারোল বাতিল করে ৩১ আগস্টের মধ্যে দেশে ফিরতে চিঠি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কোকোর পক্ষে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট ৪০ দিনের জন্য প্যারোলের মেয়াদ বাড়ালেও এর শর্ত ভঙ্গ করায় আপিল বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এরপর বিচারিক আদালত কোকোর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
কিন্তু এখনো তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। কোকো বর্তমানে কোথায় আছেন সে বিষয়ে ডেসটিনির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়াতে অবস্থান করছেন আরাফাত রহমান কোকো। সেখানে তিনি তার এক বন্ধুর বাসায় অবস্থান করছেন। তিনি দূতাবাসের নজরদারির মধ্যেই আছেন। খবরে বলা হয়, কোকো মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে শ্রমিক ভিসা নিয়েছেন।
গত ৪ বছরে মাত্র ৬ সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলেন তিনি। থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি পাওয়া কোকো মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে ব্যাংকক ত্যাগ করেন ২০১০ সালের ১৫ অক্টোবর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেসটিনিকে বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কোকোকে ফিরিয়ে আনা ও শাস্তি কার্যকরের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
সরকার চেষ্টা করে যদি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে কোকোকে শাস্তি ভোগ করাতে পারে তাহলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন ঘটনা ঘটবে। গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে বিচারের মুখোমুখি হবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
ভিয়েনায় কোকোর দুর্নীতির খবর নিয়ে প্রেজেন্টেশন হল। এছাড়া কোকোর পাচার করা ২০ কোটি টাকার বেশি অর্থ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশে শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও তাদের কাছের মানুষদের বিচারের মুখোমুখি হওয়াটা সচরাচর ঘটে না। কিন্তু এবার এমনটাই ঘটতে চলছে বলে মনে হচ্ছে। কয়েকদিন আগে দৈনিক ডেসটিনি পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে এ বছরের মধ্যেই দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায়ে প্রাপ্ত সাজা ভোগ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে ওই খবরে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া কোকোর বিদেশে পাচার করা অর্থও ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়া দ্রুত করতে অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় জাতিসংঘের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধবিষয়ক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ৩০-৩১ আগস্ট দুদিনের এ সম্মেলনে অংশ নিতে গত ২৯ আগস্ট ভিয়েনার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি। ইউএনওডিসির (ইউনাইটেড নেশন অফিস অন অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম) অ্যাসেট রিকভারি শাখার বিশেষ এই সম্মেলনের অন্যতম এজেন্ডা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত টাকা দ্রুত দেশে ফিরিয়ে নেওয়া।
এ ছাড়া কোকোকে দেশে আনার আইনি রাস্তাও ঝালিয়ে নেওয়ার কাজটি সারবেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
কোকোর মুদ্রাপাচার: সিঙ্গাপুরে ২০ কোটি টাকার বেশি অর্থের অবৈধ লেনদেনের দায়ে গত বছরের ২২ জুন কোকোকে ৬ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয় আদালত। সিঙ্গাপুর থেকে এই টাকার সমপরিমাণ অর্থ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নিতে আদেশ দেয় আদালত। এ ছাড়া কোকোকে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের রায়ে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, টেলিযোগাযোগ খাতে সিমেন্সকে কাজ পাইয়ে দিতে এই টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন আরাফাত রহমান কোকো।
মামলার অপর আসামি সাবেক মন্ত্রী মরহুম লে. কর্নেল আকবর হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মনকে একই দন্ড দেয় আদালত। আদালত মোট জরিমানা করে ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা কোকো ও সায়মনকে অর্ধেক অর্ধেক করে দিতে হবে।
গত ২০০৯ সালের ১৭ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় দুদক এই মামলা করেছিলো। সিঙ্গাপুরে ২৮ লাখ ৮৪ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার এবং ৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৭২ ইউএস ডলার (সে সময়ের বাজারদর অনুযায়ী ২০ কোটি ৮৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫১৮ টাকা) অবৈধ লেনদেনের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
কোকোর অবস্থান: ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর কোকোকে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
২০০৮ সালের মে মাসে তাকে সাময়িক মুক্তি (প্যারোল) দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর কয়েক দফা এর মেয়াদ বাড়ানোর পর ২০১০ এর ১৪ আগস্ট প্যারোলের মেয়াদ শেষ হয়। ১৯ আগস্ট প্যারোল বাতিল করে ৩১ আগস্টের মধ্যে দেশে ফিরতে চিঠি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কোকোর পক্ষে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট ৪০ দিনের জন্য প্যারোলের মেয়াদ বাড়ালেও এর শর্ত ভঙ্গ করায় আপিল বিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। এরপর বিচারিক আদালত কোকোর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
কিন্তু এখনো তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। কোকো বর্তমানে কোথায় আছেন সে বিষয়ে ডেসটিনির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়াতে অবস্থান করছেন আরাফাত রহমান কোকো। সেখানে তিনি তার এক বন্ধুর বাসায় অবস্থান করছেন। তিনি দূতাবাসের নজরদারির মধ্যেই আছেন। খবরে বলা হয়, কোকো মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে শ্রমিক ভিসা নিয়েছেন।
গত ৪ বছরে মাত্র ৬ সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলেন তিনি। থাইল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি পাওয়া কোকো মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে ব্যাংকক ত্যাগ করেন ২০১০ সালের ১৫ অক্টোবর। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডেসটিনিকে বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে কোকোকে ফিরিয়ে আনা ও শাস্তি কার্যকরের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
সরকার চেষ্টা করে যদি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে কোকোকে শাস্তি ভোগ করাতে পারে তাহলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি নতুন ঘটনা ঘটবে। গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে বিচারের মুখোমুখি হবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।