প্রবাসী জীবের উপর বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি প্রয়োগ বিদ্যা হল বায়োটেকনোলজী। এর সাথে জীব বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা যেমন জেনেটিকস, মাইক্রোবায়োলজী, মলিকুলার বায়োলজী, সেল কালচার, বায়োকেমিস্ট্রী ইত্যাদি বিষয়ের পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন শাখা যেমন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ন্যানোটেকনলজী, বায়োপ্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং, রোবোটিক্স ইত্যদি শাখাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। নীচের উদাহরন বায়োটেকনোলজীর গু্রুত্ব বোঝাতে যথেস্ট। মাত্র ১৫/২০ বছর আগে ডায়াবেটিস চিকিৎসার ঔষধ ইনসুলিন আরোহন করা হত শুয়োর থেকে। সে ইন্সুলিনের সমস্যা ছিল অনেক।
সে সমস্যাগুলোর সমাধান করা হয়েছে বায়োটেকনোলজীর মাধ্যমে প্রানঘাতী ই কলাই ব্যাক্টেরিয়ার কোষ ইঞ্জিনিয়ারিং করে। এখন সমস্ত ইনসুলিন উৎপাদন করা হয় ই কলাই ব্যাক্টেরিয়া দিয়ে।
চলুন দেখে নিই বায়োটেকনোলজীর এমন কিছু আবিস্কার যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে অদুর ভবিষ্যতে বিপ্লব ঘটাতে পারে
১) দাঁতক্ষয় প্রতিরোধক জীবানু- আমাদের মুখের ভিতরে স্বাভাবিক অবস্থাতে বসবাসরত কিছু জীবানু বা ব্যাক্টেরিয়া কার্বোহাইড্রেট থেকে ল্যাকটীক এসিড তৈরী করে। এই ল্যাকটিক এসিড দাঁতের এনামেলকে ক্ষয় করে ফেলে যাকে বলা হয় দাতের ক্যারিস (Caries) । যুক্তরাস্ট্রের ফ্লোরিডার ওনি বায়োফার্মা (ONI BioPharma ) কোম্পানী এমন এক প্রকার ব্যাক্টেরিয়ার উদ্ভাবন করেছেন যারা ল্যাকটিক এসিড তৈরী করে না এবং এরা একধরনের এন্টিবায়োটিক উৎপাদন করে থাকে যা ল্যাকটিক এসিড তৈরী করা ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলে।
দন্তচিকিৎসক এই ব্যাকটেরিয়াকে দাঁতে লাগিয়ে দিলেই তা কাজ করে যাবে আজীবন। বিজ্ঞানীরা এই ব্যাক্টেরিয়ার নাম দিয়েছেন SMaRT ।
২)কৃত্রিম লিম্ফনোড- আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ন অংশ হল লিম্ফ নোড বা লাসিকা গ্রন্থি। এখানেই উৎপাদিত হয় রক্তের শ্বেত কনিকা “লিম্ফোসাইট” জাপানের রাইকেন ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন কৃত্রিম লিম্ফনোড যা শরীরে প্রতিস্থাপন করলে তা রক্তে লিম্ফোসাইট যোগান দেবে। ফলে রক্তে শ্বেত কনিকা কমে যায় যে সমস্ত রোগ , যেমন রক্তের ক্যানসার এবং AIDS রোগের চিকিৎসা করা সহজতর হবে।
৩) এজমা সেন্সর- হঠাত শ্বাসকস্ট হয়ে জরূরী বিভাগে ভর্তি হওয়ার অন্যতম কারন হল এজমা বা হাপানী রোগ। হঠাত করে শ্বাসকস্ট হওয়ার কারন হল ফুসফুসে নাট্রিক অক্সাইডের পরিমান বেড়ে যাওয়া । যুক্তরাস্ট্রের পিটসবার্গ ইউনিভার্সিটিতে বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছেন চুলের ১ লক্ষ ভাগের এক ভাগের সমপরিমান কার্বন কোটেড ন্যানোটিউব। এই ন্যানোটিউব নাইট্রিক অক্সাইডের সামান্য বৃদ্ধি পেলেই তা জানান দিতে সক্ষম হবে ফলে একিউট এজমা বা হঠাৎ করে শ্বাসকস্ট শুরু হওয়ার আগেই চিকিৎসা দিয়ে তা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হবে।
৪) থুতু থেকে ক্যানসার ডায়াগনোসিস- ক্যানসার ডায়াগনোসিস করা হয়ে থাকে বায়োপসি বা অপারেশানের মাধ্যমে।
সম্প্রতি যুক্তরাস্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছেন মুখের ক্যানসার কোষের তৈরী করা এমন এক প্রোটিনের যা কিনা থুতু থেকে সংগ্রহ করে মাইক্রোস্কোপে পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা সম্ভব। ঐ কেন্দ্রের ইঞ্জিনিয়ার চি মিং হো দাবী করেছেন, থুতু থেকে মুখের ক্যানসার ছাড়াও আরো অনেক ক্যানসার ডায়াগনোসিস করা সম্ভব হবে।
৫) জৈবিক পেসমেকার- হার্টব্লক সহ হৃদপিন্ডের আরো অনেক রোগের চিকিৎসা হল কৃত্রিম পেসমেকার বসানো। মুশকিল হল পেসমেকার হৃদপিন্ডে বসাতে হয় অপারেশানে করে এবং এর ব্যাটারীর মেয়াদ ও শেষ হয়ে যায় কয়েক বছর পর। সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছেন পেসমেকার জীন- অর্থাৎ যে জীনের উপস্থিতির কারনে হৃদপিন্ডের নির্দিস্ট এলাকার কোষগুলো হৃদপিন্ডের গতি নিয়ন্ত্রন করে থাকে।
স্টেমসেলে ভরে সেই জীন হৃদপিন্ডে ইঞ্জেকশান করে দিলে সেই কোষগুলো হৃদপিন্ডের পেসমেকারের কাজ করে যাবে আজীবন। কুকুরের উপর প্রয়োগ এই ধরনের পেসমেকার করে আশাপ্রদ ফল পাওয়া গেছে।
৬) কৃত্রিম অংগ প্রত্যংগ – বর্তমানের কৃত্রিম অংগ প্রত্যঙ্গের একটা বড় অসুবিধা হল যে ব্যাবহার কারী ব্যাক্তি কৃত্রিম অঙ্গের অবস্থান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকেন না। একজন সাধারম মানুষ হাত বা পা দিয়ে এর অবস্থান সহ অনান্য অনেক অনুভুতি সম্পর্কে জানতে পারেন যা কৃত্রিম অঙ্গ দিয়ে সম্ভব হয় না। সম্প্রতি স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছেন এমন এক ধরনের কৃত্রিম অংগ যা কিনা পাশের স্বাভাবিক চামড়াকে জানিয়ে দেবে অঙ্গের অবস্থান এবং এর গতিবিধি, ফলে ব্যবহারকারী অনুভুতি অনুসারে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন এই অঙ্গের অবস্থান।
৭) স্মার্ট কন্টাক্ট লেন্স- চক্ষুরোগ গ্লুকোমা হল অন্ধত্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারন। গুকোমা হল চক্ষু গোলকের ভেতরের চাপ বেড়ে যাওয়া। ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের আবিস্কৃত কন্টাক্ট লেন্সে থাকছে এমন পরীবাহী তার যা চক্ষু গোলকের ভেতরের চাপ এবং পানির প্রবাহ মাপতে থাকবে সব সময় এবং জানিয়ে দেবে কম্পিউটারকে। এই কনটাক্ট লেন্স চাপের বাড়া কমা অনুসারে চোখে ঔষধ প্রয়োগ করতেও সক্ষম হবে।
8) ফোণেটীক স্পীচ ইঞ্জিন- ইলিনয়ের এম্বিয়েন্ট কর্পোরেশান এবং টেক্সাসের অডিওস যৌথভাবে উদ্ভাবন করেছেন এমন এক যন্ত্রের যা মস্তিস্ক থেকে স্বরযন্ত্রে আসা নির্দেশ গুলো বুঝতে পেরে পাঠিয়ে দেবে কম্পিউটারে এবং কপম্পিউটার বা সেল ফোন জানান দেবে রোগীর বক্তব্যকে।
ফলে বাকশক্তি হারানো ব্যাক্তিরাও কথা বলতে পারবেন।
৯) হৃদপিন্ডের স্টেন্ট- হার্ট এটাকের কারন হল হৃদপিন্ডের করোনারী ধমনীর সরু হয়ে যাওয়ার ফলে হৃদপিন্ডে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া। এর চিকিৎসা করা হয় করোনারী ধমনীতে স্টেন্ট বা রিং পরিয়ে দিয়ে। স্টেন্ট হল ধাতব নল যা ধমনীর মধ্যে বসিয়ে দিলে রক্ত সরবরাহ ঠিক থাকে। মুশকিল হল সে এই রিংও এক সময় সরু হয়ে যেতে পারে।
তা ঠেকাতে স্টেন্ট এর সাথে জুড়ে দেওয়া হল ঔষধ। এখন আবিস্কার করা হয়েছে এমন এক ধরনের স্টেন্ট যা আপনাআপনি মিশে যাবে ধমনীর সাথে এবং ধমনীকে পুনরায় বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে অনেক দিন।
১০) মাংশপেশীর উত্তেজক – হাড়ভাঙ্গা রোগের চিকিৎসা করা হয় প্লাস্টার দিয়ে। এখানে সমস্যা হল যে অংশে প্লাস্টার পরানো হয় সে অংশের মাংশ পেশী যায় শুকিয়ে। ইজরায়েলের বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করছেন ব্যাটারী চালিত মাংশপেশীর উত্তেজক যন্ত্র যা প্লাস্টারের ভিতরে যোগ করে দেওয়া যাবে এবং তা মংশপেশীকে উত্তেজিত করে তাকে শুকিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে।
তারা তাদের উদ্ভাবিত যন্ত্রের নাম দিয়েছেন MyoSpare, ।
১১) স্নায়ু তন্তু বর্ধক- স্পাইনাল কর্ড আঘাতে ছিড়ে গেলে রোগী হয়ে যান পক্ষঘাতগ্রস্থ । একবার স্নায়ু তন্তু ছিড়ে গেলে পুনরায় তা আর ফিরে আসে না। সম্প্রতি নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছেন "ন্যানোজেল" এটিতে থাকবে অতি সুক্ষ ন্যানোফাইবার। স্পাইনাল কর্ডে ইঞ্জেকশান দিয়ে দিলে তা ক্ষতিগ্রস্থ স্থানে গিয়ে বসে যাবে।
এতে থাকবে এক বিশেষ ধরনের পেপ্টাইড ঔষধ যা স্নায়ু তন্তু গুলোকে ওই ন্যানো ফাইবার গুলোর মধ্য দিয়ে পুনরায় বাড়তে সাহায্য করবে। পুনরায় স্পাইনাল কর্ডের ক্ষতিগ্রস্থ স্থানের মধ্য দিয়ে মস্তিস্কের সাথ যোগাযোগ স্থাপিত হবে।
১২) পতন নিরোধক জুতো- বুড়ো বয়সে হাড়ভাঙ্গার বড় কারন হল আছাড় খেয়ে পড়ে যাওয়া। নাসার মহাশুন্যচারীদের জুতোতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজীর লিবারম্যান উদভাবন করেছেন এমন এক জুতোর যা্র ইনসোল থেকে তথ্য পেয়ে ডাক্তারেরা রোগীর পড়ে যাওয়া প্রতিরোধের সম্ভাব্য উপায় বার করতে পারবেন।
১৩) স্মার্ট পিল- ক্যালিফোর্নিয়ার প্রোটিয়াস বায়োমেডিকেল উদ্ভাবন করেছে এমন এক সেন্সরের যা রোগীর চামড়াতে আটকে রাখলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটারকে জানিয়ে দেবে রোগী কখন ঔষধ খেয়েছে, রোগীর স্বাশ প্রশ্বাস,এবং হৃৎপিন্ডের গতি।
১৪) স্বায়ত্বশাসিত হুইলচেয়ার- ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজীতে বিজ্ঞানীরা উদভাবন করেছেন এমন এক ধরনের হুইলচেয়ার যা রোগী তার কথা দিয়ে নিয়ন্ত্রন করে , যেতে পারবেন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। রোগীর কথা শুনে ওয়াই ফাই নেটওয়ার্ক ব্যাবহার করে হুইলচেয়ার বুঝে নেবে তার অবস্থান। ভবিষ্যতের হুইলচেয়ারে থাকবে ক্যামেরা সেন্সর, লেজার ভিউ ফাইন্ডার এবং সঙ্ঘর্ষ এড়ানোর জন্য “কলিশান এভয়ডিং সিস্টেম। ফলে রোগী নিরাপদে শুধুমাত্র মুখের কথা দিয়ে স্বাভাবিকভাবে নিরাপদে চলাচল করতে পারবেন।
১৫) অন্ত্রনালীর লাইনার- অতিরিক্ত ওজন এবং স্থুলতা কমাতে ম্যাসাচুসেটসের GI Dynamics এর বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন এক লাইনারের ।
এটা মুখের ভিতর দিয়েই অন্ত্রনালীতে স্থাপন করা যাবে এবং অন্ত্রনালীর প্রথম দুই ফুটে থেকে খাদ্যকে রক্তে প্রবেশ করতে দেবে না। ফলে মোটা হয়ে যাওয়া রোধ করা সম্ভব হবে।
১৬) লিভার স্ক্যানার- লিভারের অনেক রোগের ডায়াগনোসিস করা হয় বায়োপ্সি করে। ফ্রান্সের EchoSens কোম্পানীর বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছেন এমন এক লিভার স্ক্যানারের যার সাহায্যে মাত্র ৫ মিনিটে বায়োপসি ছাড়াই রোগ নির্নয় করতে পারবেন। তারা এই যন্ত্রে ব্যবহার করেছেন আল্ট্রাসাউন্ড এবং স্থিতিস্থাপকতা নির্নয়ের ব্যাবস্থা এবং যন্ত্রের নাম রেখেছেন Fibroscan ।
১৭)ক্ষুদ্রাকৃতি এডহেসিভ- ম্যাসাচুসেটসে বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছেন এমন এক এডহেসিভের যা খাওয়ার পর পাকস্থালীর আলসার এ গিয়ে লেগে থাকবে । এর মধ্য দিয়ে পানি বা খাদ্য প্রবেশ করতে পারে না ফলে আলসার সেরে উঠবে আপনা আপনি আর ক্ষত সেরে যাওয়ার পর এই এডহেসিব নিজেই খসে পড়বে।
১৮) বহনযোগ্য ডায়ালাইসিস মেশিন- কিডনী ফেলিওরের চিকিৎসা হল ডায়ালাইসিস। সপ্তাহে সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে কিডনী ফেলিওরের রোগীকে ডায়ালাইসিস করতে হয়। যুক্তরাস্ট্রের লস এঞ্জেলসের বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছেন সহজে বয়ে নিয়ে বেড়ানোর উপযোগী ডায়ালাইসিস মেশিনের।
এটি রোগী বয়ে নিয়ে বেড়াবেন সর্বক্ষন এবং তা ২৪ ঘন্টা রক্ত ডায়ালাইসিস করে যাবে। এর ওজন হবে ২ কিলোগ্রাম এর চেয়ে সামান্য বেশী।
১৯) স্ট্রোক রোগীর পুনর্বাসন যন্ত্র। - ইংল্যান্ডের পোর্টস্মাউথের বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছেন এক ধরনের ট্রেডমিল যা পক্ষাঘাতগ্রস্থ রোগীর পুনর্বাসনে সহায়ক হবে। রোগী এই ট্রেডমিলে হাটার সময় টেলিভিশনে দেখবেন যে তিনি হাটছেন বাস্তব গতির চেয়ে ধীর গতিতে, ফলে রোগীর মস্তিস্ক আরো জোরে হাটতে রোগীকে উৎসাহিত করবে এবং স্ট্রোক রোগীর পূনর্বাসন হবে দ্রুততর।
২০) রকেট প্রযুক্তির কৃত্রিম হাত- কৃত্রিম হাতকে কাজ করানোর জন্য দরকার পড়ে বড়সড় আকৃতির ব্যাটারীর। ভ্যান্ডেরবিল্ট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী গোল্ডফার্ব ( Goldfarb ) রকেটে ব্যবহৃত পেন্সিলের সমান আকারের মোটর সিস্টেম ব্যবহার করে তৈরী করেছেন নতুন কৃত্রিম হাত। এই হাতে ব্যবহৃত হাইড্রোজেন পার অক্সাইড শক্তি যোগাতে পারে ১৮ ঘন্টা পর্যন্ত এবং এই হাত দিয়ে ২০ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন তোলা সম্ভব যা বর্তমানে ব্যবহৃত কৃত্রিম হাতের ৪ গুন।
সুত্র- এখানে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।