বাঙলা কবিতা । । সূক্ষ্ণ প্রণয়, স্থূল চিরকুট । ।
------------------------------
মিষ্টিতমা, সুদর্শনা, ব্রজদেশের রানী,
তৃষ্ণাকাতর বাহু এবং মুগ্ধ দুটি চোখ
তোমায় ঘিরে উড়ুক, আমার হৃদয় তৃপ্ত হোক!
ছুঁড়ো না আর জ্বলজ্বলে ওই চুলের বর্শাখানি!
।
। ০২। ।
আশ্চর্য গানের পাখি, উড়ে এসো, উপস্থাপন করো সুর!
স্বর্গীয় দেবীদের প্রশস্তিগাথার পাশে আরও এক প্রাণ
মনে রেখো; তোমার সংগীতে তার নাম নিও, দেখিও সম্মান!
আর বোলো, সে না-এলে, ব্রজের প্রকৃতি এতো হতো না মধুর।
।
। ০৩ । ।
অবস্তু-বরফে গড়া সেই দেহ, সূর্যকেন্দ্রেও অগলনশীল!
কেশোদ্যান পুষ্পময়, চোখ দুটি ব্রহ্মাণ্ডের স্থির জাদুঘর;
সময়ের সাথে সবই গতিশীল, শুধু তার প্রণয়-নগর
ধ্রুব। সে আমাকে বানিয়েছে সমুদ্রের সেরা গাঙচিল।
। । ০৪ । ।
মহাকালের কন্যা এসে ব্রজরাজার দেশে, পুষ্পবিরান বনের মধ্যিখানে
প্রসূনদেবীর মতই বসেছিলো; অলিরা সেই অলৌকিকের বাগানখানি ঘিরে
স্বর্গমধু চাষ করেছে।
বাস করেছে হাজার পাখি আলোর গানে গানে;
আজকে যদি বিরূপ দ্যাখো, ভুল! এদিন চিরদিনের জন্য নয়__
বর্তমানের বিবর্ণতা ঘুঁচে, আনন্দজল-ঝর্নাধারা ছুটবে পাথর চিরে;
সূর্যসখা বলছে আবার হেসে, " সব বাগানেই ঋতু-বদল হয়! "
------------------------
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।