থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।
সূত্রঃ বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে জনগণ আস্থা হারাবে : সংসদে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের তীব্র সমালোচনা করলেন সরকারদলীয় এমপিরা
এইবারে নিজেদের দলের থেকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া বিচারকদের উপরে ক্ষেপেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা। ঘটনার সূত্রপাত বেশ আগে। বিচারপতি শামছুদ্দিন চৌধুরি মানিক তার এক আদেশে স্পিকারের রুলিংকে অবৈধ বলে রায় দেন।
এ নিয়ে পাল্টা-পাল্টি কেস চলতে থাকে।
তারই রেশ ধরে গত ২৪ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে স্পিকারের জাতীয় সংসদে দেয়া রুলিং ‘অকার্যকর ও আইনগত ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেন। গেল ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট পূর্ণাঙ্গ অভিমত ও নির্দেশনাসহ রায়টি প্রকাশিত হয়।
এইখানে বেরিয়ে আসে মজার সব কেচ্ছে। তোফায়েল আহম্মদ এমপি সংসদে বলেন, বিচারপতি আলতাফ হোসেন বিচারপতি হওয়ার আগে বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিকের কোর্টে এএজি ও ডিএজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
উনার কথা থেকে আরো জানা যায় যে, বিচারপতি আলতাফ হোসেন কয়েক দিন আগে বিচারক হয়েছেন।
সংবিধানের ৯৫(২) বলা হয়েছে, কমপক্ষে ১০ বছর প্রাকটিস করার পর বিচারক হতে হয়, কিন্তু তার দশ বছর সার্ভিস নেই। যেহেতু রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হয়, এজন্য তিনি বিচারক হয়েছেন। অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ভাইয়ের মেয়ের জামাইকে বিচারক করা হয়।
কি সাংঘাতিক কথা! এতো সরাসরি সংবিধানের লঙ্ঘন।
তোফায়েল আহমদ আরো জানিয়েছেন, বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক ব্রিটিশ নাগরিক, দ্বৈত নাগরিক।
হয়ত এ মুহূর্তে তাকে ব্রিটেনে পাবেন।
তিনি আরো বলেন যে, একজন বিচারক লন্ডনে গিয়ে আক্রমণের শিকার হলেন, রাজনীতিতে জড়ালেন। সংবিধান সকলের ঊর্ধ্বে।
তা হলে ব্যাপারটা কি? এই বিচারপতির আরো কিছু কীর্তি আছে যা তোফায়েল আহম্মদ ফাঁস করেছেন। তিনি জানাচ্ছেন, ব্রিটেন থেকে একজন ব্যারিস্টার বার কাউন্সিলে সনদ নিতে এলে বার কাউন্সিলের ৩ জন বিচাররকের একজন ছিলেন শামসুদ্দিন চৌধুরী।
তিনি ওই সনদপ্রার্থীকে ভাইভা বোর্ডে মিথ্যুক, বাটপাড়, টাউট, হারামজাদা ইত্যাদি গালাগাল করে তার সার্টিফিকেট ছিনিয়ে নেন এবং পাসপোর্ট নিয়ে আসতে বলেন। না হলে তাকে দশ বছরের জেল খাটাবেন বলে হুমকি দেন। পরের দিনই সেই ব্যারিস্টার ভয়ে দেশ থেকে চলে যান।
মাঝে মাঝে আমাদের বেশ কিছু সিনিয়র আইনজীবী বলেন যে উচ্চ বিচারালয়ে ভাল বিচারপতির অভাব আছে। এখন তো সরকার দলের সংসদ সদস্যরাই সেই কথা প্রমাণ হিসাবে এতো কিছু জানালেন আমাদের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।