সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বাংলাদেশী ফিল্ম দ্যা চলচ্চিত্র তারকা অনন্ত জলিলের একটি মন্তব্য নিয়ে ঘানায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঘানা নিউজ এজেন্সি (জিএনএ) তাদের ওয়েবসাইটের খবরটি প্রকাশ করলে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী হয়। উল্লেখ্য, অনন্ত জলিল উক্ত টেলিভিশন অনুষ্ঠানটিতে একজন তরুণকে দেয়া তার লেসন দ্যা সবক বিবৃত করার সময় বিস্ফোরক কথাটি প্রকাশ পায় এবং ঘানার ধীরগতির অন্তর্জালিক প্রক্রিয়ার কারণে তারা পরে এ সম্পর্কে অবগত হয়। যে কথাটি নিয়ে এত আলোড়ন তা হল, "“আর ইউ পোম গানা?”, “ইউ থিং বাংলা ছবি হিরো মিনস দে আর আনএডুকেটেড?”"।
এই উক্তির মাধ্যমে ঘানার মানুষকে অপমান করা হয়েছে বলে মনে করেন তাদের তাদের প্রেসিডেন্ট জন দ্রামানি মাহামা।
তার ভাষ্যমতে "জলিল অশিক্ষার সাথে ঘানাকে যুক্ত করে যে বাক্যটি বলেছেন তাতে ঘানার সংগ্রামী মানুষকে কটাক্ষ করা হয়েছে। "
ঘানার পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্বী মুহাম্মাদ মুমুনির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এটা দুঃখজনক। তিনি ঘানা সম্পর্কে এমন কথা বলার অধিকার রাখেন না। এ ব্যাপারটার একটা সুরাহা হতে হবে। জলিল আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা না চাইলে দু দেশের মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দিক সম্পর্ক লোপ পেতে পারে"।
এদিকে ঘানার সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে একশত একজন বুদ্ধিজীবী একটি বিবৃতিতে অনন্ত জলিলকে তিরস্কার করে আগামী সাত দিনের মধ্যে তাকে ঘানার ইতিহাস মুখস্থ করার আহবান জানান। সাতদিন পরে একটি বিশেষ দল তার মুখস্থ পরখ করতে যাবেন, এবং ব্যর্থ হলে তাকে উঠিয়ে নিয়ে ঘানার জঙ্গলে ছেড়ে দেবার জন্যে জনমত গড়ে তোলা হবে বলে হুমকি প্রদান করেন তারা।
সাধারণ জনগণের মাঝেও ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়েছে। তারা জলিলের কুশপূত্তলিকা দাহ করার প্রাক্কালে সেটি মোটরসাইকেলে করে হেলিকপ্টার ধাওয়া করে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা হলিউডের চাক নরিস এবং তামিলুডের রজনীকান্তর এ্যাকশনধর্মী পোস্টার প্রদর্শন করলে জলিলের উড়ন্ত কুশপূত্তলিকা অবশেষে মাটিতে অবতরণ করলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘানাতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।