আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাহান্নামীরা কাদতে কাদতে তাদের চোখ দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হবে ।

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । ১. হযরত আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী করিম (সাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, 'হে লোক সকল ! তোমরা (আল্লাহর আযাবের ভয়ে) বেশী করে কাঁদ । আর যদি তোমরা এরূপ করতে না পার (কান্না যদি না আসে) , তাহলে অন্তত (ভয়ে) কান্নার ভান কর । কেননা, জাহান্নামীরা জাহান্নামে গিয়ে এমনভাবে কাঁদবে যে, তাদের অশ্রু তাদের মুখের উপর এভাবে গড়িয়ে পড়বে , মনে হবে এটা পানির নালা ।

এভাবে কাঁদতে কাঁদতে তাদের অশ্রু শেষ হয়ে যাবে এবং এর স্হলে রক্ত প্রবাহিত হতে শুরু করবে । তারপর (এ রক্ত ক্ষরণের দরুন) তাদের চোখে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে যাবে । ( এরপর এই ক্ষত স্হান থেকে আরো বেশী রক্ত বের হবে, তখন জাহান্নামীদের এই অশ্রু এবং রক্তের পরিমাণ এমন হবে যে,) সেখানে যদি অনেকগুলো নৈাকা চালিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে অনায়াসে চলতে পারবে । - শরহুস সুন্নাহ । ২. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত , রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এ আয়াতটি তেলাওয়াত করলেন, 'তোমরা আল্লাহকে যথার্থভাবে ভয় কর এবং এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ কর যে, মুসলিম না হয়ে তোমরা মরবেনা ।

' এরপর তিনি (আল্লাহকে এবং আল্লাহর আযাবকে ভয় করা প্রসঙ্গে ) বললেনঃ যাককুম (যার প্রসঙ্গে কুরআনে বলা হয়েছে এটা জাহান্নামে উৎপন্ন এক প্রকার গাছ এবং এটা জাহান্নামীদের খাবার হবে ) এর একটি ফোটা যদি এই দুনিয়ায় ছিটকে পড়ে, তাহলে পৃথিবীতে বসবাসকারী সবার জীবনোপকরণ বিনষ্ট করে দিবে । অতএব, ঐ ব্যাক্তির কি অবস্হা হবে যার খাবারই হবে যাক্কুম ?' - তিরমিযি । ৩. হযরত নুমান ইবনে বশীর (রাঃ) বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলূল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে সাবধান করে দিয়েছি, আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে সতর্ক করে দিয়েছি । তিনি এ বাক্যটি বার বার বলে যাচ্ছিলেন । বর্ণনাকারী সাহাবী নুমান ইবনে বশীর বলেনঃ (তিনি কথাটি এমন উচ্চ আওয়াযে বলছিলেন যে) তিনি যদি এ স্হানে থাকতেন , যেখানে আমি রয়েছি এবং এখান থেকে বলতেন , তাহলে বাজারের লোকেরাও তার কথা শুনতে পেত ।

( আর এ কথা বলার সময় তিনি এত আত্নবিস্মৃত হয়ে পড়ে ছিলেন যে) তার গায়ের চাদরটি নিজের পায়ের কাছে পড়ে গেল । - দারেমী । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।