আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মামু,তোরে নয় শুধু,তোর গু ও খামু।

হিন্দুরা একে অপর কে শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে গিয়েই বলেন, জয় গুরু। প্রকৃত পক্ষে এই গুরুর কতটুকু জয় হয়েছে আমার জানা নেই। প্রবীনদের কর্তৃক জানা যায় মুসলমানরা যখন ধর্মীয় ও মাদ্রাসা মক্তবের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল তখন এই হিন্দুরা ইংরেজদের সত্র ছায়ায় বাংলা ও ইংরেজীর প্রতি উদ্ভুদ্ধ হয়ে একাগ্রচিত্বে চর্চা এবং এই উপমহাদেশ তথা পূর্ব বঙ্গ ও পশ্চিম বঙ্গে তাঁদের আদিপত্য বিস্তার করে বিশেষত শিক্ষা ক্ষেত্রে। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই তাঁদের পান্ডিত্য ছিল। পরবর্তীতে বাংলা ও ইংরেজীতে মুসলমান ছেলেমেয়েদের উদ্ভুদ্ধ করে এবং তাঁদের এই শিষ্যদের কে গুরুর আসনে বসিয়ে অবসর নিতে থাকে।

এই ভাবে হিন্দুদের পান্ডিত্য ক্রমে হ্রাস পেতে থাকে। এদিকে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসন ও শোষনের ফলে মুসলমানরা মসজিদ মাদ্রাসার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। পর্দার আড়ালে থাকেনি মুসলিম মা বোনেরা। কবি সুফিয়া কামাল ও বেগম সাখাওয়াট হোসেন তারই উজ্জল দৃষ্টান্ত। পরবর্তীদের সনাতনী পান্ডিত্য ও মুসলিম ওস্তাদদের কট্টরতার মধ্যে যেমন দন্ড প্রতিফলিত হয় তেমনি পশ্চিম বঙ্গ কলকাতায় হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা চাঙ্গা হয়ে উঠে।

অতপর এই দ্বিজাতীতত্বের শীর্ষ হাল ধরেন কায়েদে আযম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ও জহুরলাল নেহেরু। অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনার ব্যক্তিত্ব মহাত্মা গান্ধীর বাণী তখন তেমন শ্র“তিমধুর লাগেনি কারো। ফলে ভারত ও পাকিস্তান নামে দ্বিজাতীতত্বের ভিক্তিতে দু’টি রাষ্ট্র জন্মলাভ করে। এদিকে পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ববঙ্গ তথা পূর্ব পাকিস্তানের অধিকাংশ মানুষ ধর্মে মুসলমান হলে ও সেই ঐতিহাসিক অমোঘ নিয়মে ভাষাগত তফাৎ এবং দ্বিজাতীতত্বের চিন্তা চেতনায় দু’দেশের মানুষের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। বায়ান্ন সালের ভাষা আন্দোলন তার উজ্জল দৃষ্টান্ত।

এই ভাষাগত পার্থক্যে একে অপরের প্রতি বৈষম্য,সন্দেহ ও শাসন শোষনের ফলাফলে অনু থেকে পরমাণূ বিভাজনের মত জন্ম নিল আমাদের এই বাংলাদেশ। বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ও সেই ঐতিহাসিক মাতৃভাষার জটিলতা আজো অবসান হয়নি। আমাদের সময়ে কিছু সংখ্যক সনাতনী গুরুর সান্নিধ্য পেয়েছি বটে কিন্তু বর্তমান প্রচলিত ”জয়গুরু” প্রথা তখন প্রচলিত ছিল না। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক আবুসায়ীদ বাংলাদেশ টেলিভিশনের এক সাক্ষাতকারে বলেছেন,” আমাদের সময়ে শিক্ষকের বেত্রাঘাতের ভয়ে ছাত্ররা সদা থাকত ভীত শংকিত। বর্তমানে কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রদের ভয়ে শিক্ষকদের ভীত শংকিত থাকতে হয়।

”পরবর্তীতে কলেজ ইউনিভার্সিটির ছাত্র ও শিক্ষকদের সান্নিধ্যে গেলে অধ্যাপক আবুসায়ীদ সাহেবের বক্তব্যের বাস্তবতা ল্ক্ষ্য করি। দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষার পাদপিট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদেশী দাতাদের অর্থের কাছে নতজানু হয়ে নিজের মেধা কে ব্যবহার করেন। এই সাম্রাজ্যবাদীদের দোসর হয়ে কার্যক্রম পরিচালনার কারনে আপন ছাত্রদের ও সন্দেহ দৃষ্টিতে ল্ক্ষ্য করেন এবং চোরের মনে পুলিশ পুলিশ ভাবের মত ভীত শংকিত হয়ে পড়েন। এই ছাড়া বর্হিঃবিশ্বের সংস্কৃতির সাথে উজ্জীবিত হয়ে তাঁদের যে লুইচ্যামী তা ছাত্রদের অনুকরনীয় ও বটে। লামা আলীকদম প্রেস কাব উদ্ভোধন, এই উদ্ভোধনে এসেছিলেন বান্দরবান ৬৯ পদাতিক ব্রিগেদের তখনকার ব্রিগেড কমান্ডার এম, শাখাওয়াত হোসেন।

প্রেস কাবে অন্যান্য নেতাদের সাথে মাতামুহুরী কলেজের প্রিন্সিপাল ও ছিলেন। ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন পৌঁছলে সবার সাথে করমর্দন করলে ও প্রিন্সিপলের সাথে তা করেননি। অধিকন্তু তিনি সবার সামনে অশালীন গালাগালি শুরু করেন। ”কি মিয়া,আমি লাখো কাজ ফেলে ধজার দিয়ে মাতামুহুরী কলেজের মাঠ উন্নয়ন করলাম, আর আপনি সেখানে ছেলেদের খেলাধুলার ব্যবস্থা না করে ধান লাগিয়েছেন, শালার বাঙালীদের চাহিদার কোন শেষ নেই। ” কমান্ডার কে এমন রাগান্বিত দেখে প্রয়াত আলহাজ্ব আলীমিয়া নোয়াখাল্যা আর ইংরেজী মিশ্রিত এমন কথা বলেন যা সবার মাঝে হাসির খোরাক হয়ে যায়।

এমনকি ব্রিগেড কমান্ডারের রাগ প্রশমন হয়ে হাসির রেখা ফুটে উঠে। আলহাজ্ব আলীমিয়ার এই ডায়ালক হাসির জন্য রেকড করার প্রয়োজন ছিল। এই যেমন; স্যারের কথা হানড্রেড পার্শেন্ট রাইট। বাট মাস্টর ইজ নট টর। আঙি কিন্তু টর পাইছি।

হেটে মাস্তার অইলেও ফার্মারের মত কাজ কইচ্ছে। ” ব্রিগেড কমান্ডারের ক্ষোভের কারন ছিল, চট্টগ্রামের জিওসি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান। এই উন্নয়ন বোর্ডের অর্থ দিয়ে মাতামুহুরী কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয় তাই তিনি চেয়েছিলেন জিওসি কে দিয়ে কলেজ উদ্ভোধন কিন্ত কলেজের পিন্সিপাল চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে দিয়েই কলেজ উদ্ভোধন করান। এদিকে প্রেস ক্লাবে আসার পথে তিনি কলেজে নামলে তাঁকে কেউ অভ্যর্থনা জানায়নি। তাই প্রেসকাবে প্রিন্সিপালকে দেখে তাঁর মেজাজ বিগড়ে যায়।

ক্ষোভ প্রশমিত হলে ব্রিগেডিয়ার এম,শাখাওয়াত স্বীকার করতে বাধ্য হন,”আলহাজ্ব আলীমিয়া শুধু লামার মুরুব্বী নন, আমার ও মুরুব্বী” । আলীকদমে আমাদের অধিকাংশ শিক্ষক ছিলেন মুসলমান। আলীকদম জুনিয়র হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন জনাব আবুজাফর চৌধুরী। স্কুল প্রতিষ্ঠালগ্নে অধিকাংশ অভিভাবক ছিলেন আদিবাসী। এই আদিবাসী ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দীক্ষায় উজ্জীবিত করার কারনে স্থানীয় নেতৃস্থানীয় বাঙালীদের কাছে চুক্ষুচুলে পরিনত হন।

তাঁকে এই আলীকদম থেকে বিতাড়িত করার পায়তারা চলে। কিন্তু আদিবাসীরা তারঁ এই জ্ঞানদানের উদারতার কারনে সদা সর্বদা তাঁর সহযোগী ছিল। পরবর্তীতে এই মহান শিককে সম্মান করতে গিয়ে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করেন। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান হবার পড়েই তাঁর মুখোছ খুলে যায়। আলীকদমে তাঁরই দীায় দীতি কলেজ ইউনিভার্সিটির পাহাড়ী বাঙালীর অনেক ছাত্র ছিল।

কিন্তু সেই পাহাড়ী বাঙালীর একটা ছেলেকেও বিশ্বাস করতে পারলেন না। তার পি,এস কে পযর্ন্ত অন্যত্র থেকে আমদানী করে নিয়োগ দিলেন। তাঁর শত ছাত্র থাকা সত্বেও কাউকে চাকুরীতে নিয়োগের চিন্তা করেননি বরং চকরিয়ার কাকারা তাঁর নিজস্ব গ্রাম থেকে ছেলেমেয়ে এনে শিক্ষক ও অন্যান্য পদে নিয়োগ প্রদান ও পূণবাসিত করেন । এদিকে তাঁর গড়া ছাত্ররাই বেকারত্ব অভিশাপে জর্জরিত। যারা স্কুলের আঙিনায় পা ও দে নাই এমন ছেলেমেয়েরাই তার আসল ও আপন হয়ে গেল।

উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ চলে যাবার পর তিনি চকরিয়ার ছেলে চকরিয়ায় চলে গেলেন। তাই তাঁর গড়া বেকারত্ব অভিশাপে জর্জরিত ছেলেরাই চিন্তা করে অন্ধ অর্থাৎ অশিক্ষিত থাকলে ভালই হত। অন্ধত্ব থেকে চোখের দৃষ্টি আসার পর দেখা গেল যে নিজের পাতের ঘ্রাস অন্যরা কেড়ে নিয়ে ভোগ করছে ,যা নিজেরা উপোস থেকে তা লক্ষ্য করতে হচ্ছে। এই যে প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে বসবাস করেও নিজেরা বঞ্চিত থাকা -কত বড় র্দূভাগ্য জীব আমরা তা বলা বাহুল্য মাত্র। বিড়াল কে বাঘের মাসি বলা হয়।

কিন্তু আমাদের বিড়াল কে বাঘের মামা হিসেবে প্রবাদ প্রচলিত আছে। এই বিড়াল পয়ঃময়লা ত্যাগ করার পর তা ছাই বা অন্যান্য দ্রব্য দিয়ে ঢেকে দেয়। প্রবাদ আছে এই বিড়াল বাঘ কে গাছে উঠার অনুপ্রেরনা যোগায় এবং প্রশিন দেয়। বিড়ালের অনুপ্রেরনায় ও প্রশিক্ষনে বাঘ গাছে উঠার পর সে অন্যত্র পালিয়ে যায়। এদিকে বাঘ গাছ থেকে নামার প্রশিন না থাকায় মহাবিপদে পড়ে যায়।

অত পর ”মরি কি বাচিঁ ” গাছ থেকে লাফ দিয়ে নামে এবং শপথ নেয়,মামু, তোরে নয় শুধু,তোর গু ও খামু। বাঙালীরা আমাদের কে শিক্ষা দিয়েছেন বটে কিন্তু অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখাননি। তাই এই অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে সেই বিড়াল আর বাঘের কাহিনীর মত হলে অবাক হবার কিছুই নেই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।