আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অবশেষে বিপ্লবের ছোয়া মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনেও...

বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। [১৭:৮১-পবিত্র কুরআন] মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নারীদের হিজাব পরে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা বা সংবাদ উপস্থাপনার ক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল অবশেষে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই ১৯৬০ সাল থেকে যখন মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চালু হয়, তখন থেকেই এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। গত রবিবার দুপুর ১২ টার সংবাদে হিজাব পরে প্রথমবারের মতো সংবাদ উপস্থাপন করে ফাতমা নাবিল, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলে আসা এই নিষেধাজ্ঞার ইতি টানলেন।

এ সময় তার মাথায় ছিল ক্রিম কালারের স্কার্ফ এবং গায়ে ছিল কালো রঙের কোট। হোসনি মুবারকের স্বৈরশাসনের আমলে নারীরা হিজাব পরে রেডিও কিংবা টেলিভিশন স্টেশনে কাজ করতে পারতেন কিন্তু তারা এ হিজাব পরে পর্দার সামনে আসতে পারতেন না। হোসনি মুবারকের আমলে মিশর ছিল সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। অনেকেই এ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে মামলা করে জয়ী হয়েছিলেন, কিন্তু তারপরেও তৎকালীন সেক্যুলার স্বৈরশাসক আদালতের রায় উপেক্ষা করে এ নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখে। গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি মিশরে গণবিপ্লবের মুখে এ স্বৈরশাসকের পতনের পর দেশটির টেলিভিশন চ্যানেলে নারীদের জন্য হিজাব পরে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা কিংবা সংবাদ উপস্থাপনার পথ খুলে গেছে।

মিশর বিপ্লবের পর এখন দেশটির শাসন ক্ষমতায় রয়েছে মুসলিম ব্রাদারহুড (ইখওয়ানুল মুসলিমিন) এবং সে সুবাদেই সেখানে নারীদের জন্য হিজাব পরে টেলিভিশনে অনুষ্ঠান করা সহজ হয়েছে। টেলিভিশন কর্মকর্তা ফাতিহ্ বলেন যে, নাবিলের এ ঘটনায় অনেকেই উৎসাহিত হবে যারা চাকরী হারানোর ভয়ে হিজাব পরিধান করা থেকে বিরত থাকতেন। এদিকে, টেলিভিশনে সংবাদ উপস্থাপনের পর ফাতমা নাবিল বলেছেন, "শেষ পর্যন্ত মিশর বিপ্লব দেশের মিডিয়ায় পৌঁছেছে। " সরাকরী ভাষ্যমতে প্রায় ৭০ শতাংশ মিশরীয় নারী হিজাব পরে থাকেন। তবে, বিপ্লবের পর দিন দিন এ সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তথ্যসূত্রঃ Egypt's veiled presenter in breakthrough TV appearance Egypt state TV lifts ban on veiled presenters মিশর টিভিতে প্রথম হিজাবধারী নিউজ প্রেজেন্টার ফাতমা ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।