আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্ল্যাসফেমি: খ্রিস্টান বালিকাকে ফাঁসিয়ে ইমাম গ্রেপ্তার

অচিন আমি অচিনপুরের । চিনতে চাই নিজেকে । চিনতে পারলামনা নিজেকে তাই , একলা একা এই আমি একলা থাকতে ভালোবাসি । পাকিস্তানে বিতর্কিত ব্ল্যাসফেমি-বিরোধী আইনে এক খ্রিস্টান বালিকাকে ফাঁসানোর অভিযোগে এক ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কোরআন পোড়ানোর অভিযোগে পাকিস্তানে দু’সপ্তাহ আগে গ্রেপ্তার হওয়া খ্রিস্টান বালিকা রিমসাহ মাসিহ’র ব্যাগে কোরআনের পোড়া পৃষ্ঠা ভরে রেখে ইমাম খালিদ চিশতি তাকে ফাঁসিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পাকিস্তানের পুলিশ কর্মকর্তা হুসেন জাফরি রোববার ওই ইমামের গ্রেপ্তার হওয়ার খবর জানিয়ে বলেন, তিনি (চিশতি) একটি কোরানের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে মাসিহ’র ব্যাগে ভরে রেখেছিলেন; কোরআনের সেই ছেঁড়া পাতাগুলো পোড়া ছিল; প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে এ অভিযোগ পাওয়ার পর চিশতিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে কোরআনের ওই পাতাগুলো রিমসাহ মাসিহ পুড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল স্থানীয় এলাকার ক্ষুব্ধ মুসলিমরা। মাসিহ পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠের একটি গ্রামের বাসিন্দা। অগাস্টে ব্ল্যাসফেমি আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাসিহ’র বয়স ও মানসিক অবস্থা নিয়ে বিতর্ক আছে।

কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে মাসিহ’র বয়স ১১ বছর এবং সে ডাউন সিনড্রোমে ভূগছে বলে জানানো হয়েছে। অপরদিকে, হাসপাতালের রিপোর্টে তার বয়স ৪ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং মানসিক বৃদ্ধি বয়সের তুলনায় কম বলে জানানো হয়েছে। মাসিহ গ্রেপ্তারের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দার ঝড় উঠেছে। দাবি উঠেছে তার মুক্তির। সোমবার মাসিহ’র জামিনে মুক্তি নিয়ে একটি শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

পাকিস্তানের ব্ল্যাসফেমি-বিরোধী আইনানুযায়ী কেউ ইসলাম ধর্ম ও নবী মোহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কে কোনো কটুক্তি করলে তাকে এই আইনের আওতায় বিচার করা হয়। এ আইনে অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড। এখানে দেখুন ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।