"সত্য যখন মিথ্যার সামনে দাঁড়ায় মিথ্যা বিলুপ্ত হয়, কেননা মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল" লাক্স-চানেল আই সুপারস্টারে অংশ নিয়ে আইবিএ’র ছাত্রত্ব হারালেন সোমা।
লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা ২০১২’এ অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব
হারালেন মেধাবী ছাত্রী সোমা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ)
শিক্ষাক্রম থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। সাদিয়া আর্জুমান্দ বানু সোমা এখন লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার
প্রতিযোগিতা ২০১২ এর সেরা ৫ এ রয়েছেন। এরই মধ্যে তাকে ব্যবহার করে বড় ব্যবসাও ফেদেছে ইউনিলিভার।
সোমাকে মডেল করে লাক্স-এর বিজ্ঞাপনও বানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার আয়োজকদেরপ্রতিযোগিতার একগুয়েমি ও গাফিলতির কারণেই মেধাবী শিক্ষার্থী সোমার শিক্ষা জীবনে নেমে এসেছে এই চরম খাড়া। বাংলানিউজের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এর চ্যাঞ্চল্যকর সব তথ্য।
এ ঘটনার পর সোমার অভিভাবক এবং আইবিএর শিক্ষকরা লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার আয়োজকদের ওপর ভীষণ ক্ষুব্ধ। এরই মধ্যে তারা এজন্য ইউনিলিভারের
কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ইউনিলিভারের আচরণকে অনৈতিক উল্লেখ করে তারা বলেছেন, লাক্স–
চ্যানেল আই সুপারস্টার আয়োজক কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীন আচরনের বলি হতে হলো মেধাবী ছাত্রী সোমাকে। বাংলানিউজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাদিয়া আর্জুমান্দ বানু সোমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) ১৮ ব্যাচের বিবিএর ছাত্রী। সোমার গ্রামের বাড়ি খুলনা সদরের মুন্সীপাড়ায়। ঢাকার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০০৭ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে এসএসসি এবং ২০০৯ সালে জিপিএ-৫ নিয়ে এইচএসসি পাস করেন। ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্যতার প্রমাণ রেখে পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে ভর্তি হন।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষে এসে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায়
টিকে গেলে তার নিয়মিত লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটতে থাকে। আইবিএর নিয়ম ভঙ্গ করায়
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তাকে ড্রপ আউট হিসেবে চিহ্নিত করে নোটিশ দেয়।
সোমা পুনরায় আইবিএতে ছাত্রত্ব রক্ষার আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ তার আবেদন নাকচ করে। ফলে তার আইবিএ‘র বিবিএর ছাত্রত্ব হারায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রেস্টিজিয়াস শিক্ষা কার্যক্রম থেকে সোমার এই মাঝপথে ঝড়ে পড়ার পেছনে দায়ী ওই সুপারস্টার প্রতিযোগিতা।
সোমার পরিবারের দাবি, আয়োজকদের গাফিলতি ও একগুয়ে নীতি প্রয়োগের কারণেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম করতে বাধ্য হন। প্রতিযোগিতার জন্য গ্রুমিংয়ের নামে মেধাবী ও শিক্ষায়
আগ্রহী এই মেয়েটিকে সম্পূর্ণ আটকে রাখা হয়। ফলে তার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটি নেওয়া বা কোনো ধরনের আবেদনপত্র জমা দেওয়াও সম্ভব হয়নি। এমনকি পরিবারের সঙ্গেও সোমা যোগযোগ করতে পারেন নি। ‘লিভ বিউটিফুল বা সৌন্দর্যে বাঁচো’- এ শ্লোগান নিয়ে ইউনিলিভার বাংলাদেশ
লিমিটেড ও চ্যানেল আইয়ের যৌথ আয়োজনে সপ্তমবারের মতো চলছে এ প্রতিযোগিতা।
আর কয়জন মেধাবী নারী অর্থলোভী মিডিয়া কর্মীদের কবলে পড়ে তাদের ছত্রত্ব হারাবে ?? নারীকে পন্য বানানোর এইসব প্রতিযোগীতাই বা আর কতদিন চলবে আমাদের এই সভ্য দেশে ??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।