বয়স্ক মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হচ্ছে পক্ষাঘাত বা স্ট্রোক। অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন, যা তাঁদের জন্য দুঃখজনক পরিণতি ডেকে আনে। তবে বয়স বাড়লেই এসব রোগ ধরে ফেলবে, তা ঠিক নয়। সচেতনতার মাধ্যমে বয়স্ক ব্যক্তিরাও এ রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারেন। এ বিষয়ে লিখেছেন ইউনাইটেড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ডা. নাজমুল কবীর কোরেশী।
করণীয়
১. ধূমপান, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। ফল ও সবজি বেশি খান।
২. ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ওজন নিয়মিত মাপুন ও নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
৩. অনিয়মিত হূৎকম্পন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি পাঁচ গুণ বাড়ায়। সঠিক চিকিৎসা নিন।
৪. প্রতিদিন ২০ মিনিট হাঁটুন। সপ্তাহে দুই ঘণ্টা হাঁটলে ঝুঁকি ৩০% কমে।
৫. প্রতিদিন ৭ ঘণ্টা ঘুমান। পরপর ১০ দিন অনিদ্রা স্ট্রোকের ঝুঁকি ৬৩ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।
৬. নিয়মিত পটাশিয়ামযুক্ত খাবার যেমন আলু, মিষ্টি আলু, কলা, টমেটো খান, যা পক্ষাঘাতের ঝুঁকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমায়।
৭. হঠাৎ বেশি রেগে যাওয়া, উত্তেজিত হওয়া ভালো নয়। সহজে অস্থির না হয়ে সংযত থাকতে চেষ্টা করুন।
৮. যাঁরা বিষণ্নতায় ভুগছেন, অন্যদের তুলনায় স্ট্রোকের ঝুঁকি তাঁদের প্রায় আড়াই গুণ বেশি। তাই বিষণ্নতার লক্ষণ ও কারণ সম্পর্কে সচেতন হোন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা নিন।
লক্ষণগুলো চিনে নিন
১. মুখের হা অসম মনে হওয়া, গালের এক পাশ ঝুলে পড়া বা অবশ লাগা;
২. কথা বলতে কষ্ট হওয়া, উচ্চারণ অস্পষ্ট লাগা।
৩. হাত বা পা অথবা উভয়ই দুর্বল বা অবশ লাগা, হাঁটতে অসুবিধা হওয়া;
৪. যদি হঠাৎ এই লক্ষণগুলোর কোনো একটা দেখা দেয়, দ্রুত হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
(সংগৃহীত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।