ফটোগ্রাফি, ভ্রমন, সিনেমা, ওয়ার্ডপ্রেস, এবং সব এলোমেলো ভাবনা
মানিকগঞ্জে যে তিনটি বিখ্যাত জমিদার পরিবার ছিল, তার মধ্যে অন্যতম তেওতার জমিদার পরিবার। পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত তাদের প্রতিষ্ঠিত তেওতা জমিদার বাড়ি। চমৎকার এবং সুবিশাল কমপ্লেক্সটিতে আছে ৫৫টি ঘর। সাথে ছিল মঠ এবং মন্দির। বাড়ির পাশের নবরত্ন মন্দিরটি এখনো নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আছে।
এই বাড়িটি হতে পারে মানিকগঞ্জের একটি চমৎকার পর্যটন সাইট। তেওতা জমিদার বাড়ি পরিদর্শন এবং সেই সাথে পদ্মানদীতে নৌকা ভ্রমন হতে পারে ঢাকার কাছে একটি আকর্ষনীয় ডে-আউট প্রোগ্রাম। নিঝুম ট্যুরস এর জন্য মানিকগঞ্জের জমিদার বাড়িগুলো পরিদর্শন এবং পদ্মায় নৌকা ভ্রমনের একটি ট্যুর প্যাকেজ ডিজাইন করার উদ্দেশ্যে গতকাল এই বাড়িটি পরিদর্শনে গেলাম। কিন্তু যা দেখলাম, তাতে প্রচণ্ড হতাশ হলাম।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে থাকা এই বাড়িটি তিলে তিলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
পুরো বাড়িটি দখল করে আছে ছিন্নমূল মানুষেরা। বাড়ির যায়গায় যায়গায় প্লাস্টার ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। গরু-ছাগল চড়ে বেড়াচ্ছে বাড়ির উঠানে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর শুধু একটি ১ ফুট সাইটের সাইজের নোটিশবোর্ড টাঙিয়ে তাদের দায়িত্ব সমাপ্ত করেছে। অথচ গাইডেড ট্যুর পরিচালনার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এই বাড়িটি সম্পূর্ণ সংস্কার করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে এনে এবং এর চারদিকে বাউণ্ডারী ওয়াল তৈরী করলে, এবং এই জমিদার পরিবারের স্মৃতিচিহ্নগুলো জোগাড় করে এখানে একটি জাদুঘর স্থাপন করলে তা সরকারের জন্য যেমন রাজস্ব জোগাড় করতে পারে, তেমনি কর্মসংস্থান তৈরী করতে পারে স্থানীয় ট্যুর কোম্পানীগুলোর জন্য।
ঢাকার মানুষ কাছাকাছি বেড়াতে যাওয়ার জায়গা পায় না। এই সাইটটি হতে পারে তাদের বিনোদন কেন্দ্র। কত টাকা প্রয়োজন হয় এই কাজটি করার জন্য?
ভাগাড় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে প্রাসাদের একটি অংশ
প্রাসাদে উদ্বাস্তুদের জবর দখল
আরেক অংশে উদ্বাস্তুদের বসতি
প্লাস্টার খসে পড়ছে প্রাসাদের গা থেকে
সংস্কার করা প্রয়োজন এখনই
সংস্কার করলে এই নবরত্ন-মন্দিরটি হতে পারে পুঠিয়া শীব মন্দিরের মতই আকর্ষণীয়
আসুন এই বাড়িটি সংস্কারের জন্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করি, যে যেখানে আছি সেখান থেকেই, যার যার ক্ষমতা অনুযায়ী। সাংবাদিকরা বাড়িটি সংস্কারের জন্য লিখতে পারেন তাদের পত্রিকায়। ব্লগে এবং ফেইসবুকে নিজেরা প্রচারনা চালাতে পারি আমরাই।
আসা করি সরকারের টনক নড়বে যদি আমরা সচেতন হই। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।