দেশের হয়ে নিজের শততম ম্যাচে মাঠে নামার অপেক্ষা। তাও আবার ‘ঐতিহাসিক’ মারাকানা স্টেডিয়ামে। বেশ ভাগ্যবানই বলতে হয় ইতালীয় প্লেমেকার আন্দ্রেয়া পিরলোকে।
ব্রাজিলীয় ফুটবলের ‘তীর্থভূমি’তে শততম ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে পিরলো নিজেও আনন্দিত। ৩৪ বছর বয়সী এই ফুটবলারের কাছে এটি স্বপ্নপূরণের মতোই, ‘মারাকানা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছে স্বপ্ন।
আমি খুশি। আশা করছি, ভালোভাবেই তা উদযাপন করতে পারব। ’
বাংলাদেশ সময় আজ রাত একটায় কনফেডারেশনস কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মেক্সিকোর মুখোমুখি হচ্ছে ইতালি। এর মধ্য দিয়ে ইতালির ইতিহাসে পঞ্চম ফুটবলার হিসেবে ১০০তম ম্যাচ খেলার কৃতিত্ব অর্জন করবেন পিরলো। ইতালির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার কৃতিত্বটা ফ্যাবিও ক্যানাভারোর।
১৩৬টি ম্যাচ খেলেছেন সাবেক এই ডিফেন্ডার। এরপর আছেন জিয়ানলুইজি বুফন (১২৬), পাওলো মালদিনি (১২৬) ও দিনো জফ (১১২)।
রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামকে বিবেচনা করা হয় ব্রাজিলীয় ফুটবলের অন্যতম কেন্দ্রস্থল হিসেবে। এই স্টেডিয়ামেই হাজারতম গোল করে ইতিহাস গড়েছিলেন ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি পেলে। গারিঞ্চা, জিকো, রোমারিওর মতো কিংবদন্তি ফুটবলারের চারণভূমি ছিল এই মারাকানা স্টেডিয়াম।
এখানেই ১৯৫০ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে উরুগুয়ের মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল। ১৯৯২ সালে ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামের কিছু অংশ ধসে পড়ে। এতে তিনজন নিহত ও অর্ধশতাধিক দর্শক আহত হন। এরপর থেকে দফায় দফায় সংস্কারকাজ চলে মারাকানা স্টেডিয়ামের।
২০১০ সালে নতুনভাবে শুরু হয় মারাকানা স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ।
নবরূপে সজ্জিত এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ডিসেম্বরে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারেনি ব্রাজিল সরকার। অবশেষে এ বছরের এপ্রিল মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় মারাকানা স্টেডিয়াম। নতুনভাবে নির্মিত এই স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা প্রায় ৭৯ হাজার। ২০১৪ বিশ্বকাপের অন্যতম প্রধান ভেন্যু এই মারাকানা।
বিশ্বকাপের ফাইনালসহ মোট সাতটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এই স্টেডিয়ামে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।