ভালো।
রক্তশূন্যতা দূর করা, হজম ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করা, দাত ও ত্বকের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা, ভেজাল খাদ্যের বিষক্রিয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করা, পাকস্থলির ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা, উচ্চ ও নিুরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা, রক্তের সুগারের মাত্রা ঠিক রাখা, সেক্স হরমোনকে পুনরুজ্জীবিত করা, রক্ত ও লিভারকে পরিষ্কার করা, আলসার ও যক্ষ্মা রোগের নিরাময় করা, হাত-পায়ের গিটের ব্যথা সারানো, শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করা, জননাঙ্গের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ মানুষের শরীরের বিভিন্ন রোগের মহাওষুধ হিসেবে কাজ করে কচি গমের চারার জুস। কোন পিএইচডি কিংবা মাস্টার্স গবেষণার ফল নয়, অনেকটা শখের বসে নিজের আগ্রহে বিশ্বের বিভিন্ন বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের গবেষণা প্রবন্ধ জার্নাল পড়ে এবং নিজের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে গমের চারার ওপর দীর্ঘদিন গবেষণা করে কচি গমের চারার জুসকে মহাওষুধ হিসেবে দাবি করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর ড. এম এ সালাম। তার মতে, অত্যন্ত স্বল্প খরচে অনেক রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো এরকম টনিক তিনি আর কখনও দেখেননি।
জানা যায়, ২০১১ সালের শুরুতে ড. সালাম আমেরিকার টেক্সাস এ অ্যান্ড এম বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টোরাল গবেষণার জন্য যান।
সেখানে তিনি রোগ নিয়ন্ত্রণে গমের চারার জুসের উপকারিতা সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান লাভ করেন। পরে দেশে ফিরে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য গমের চারা উৎপাদন এবং তার জুস নিয়মিত সেবন করতে থাকেন। অল্পদিনের মধ্যেই তারা উচ্চ ও নিু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, রক্ত ও লিভারকে পরিষ্কার করা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও আলসারসহ বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পান। পরে তিনি নিজের আগ্রহ থেকে গমের চারার খুটিনাটি বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদ গবেষণা শুরু করেন। বিজ্ঞানীদের মতে, কচি গমের চারার জুসে শরীরের প্রয়োজনীয় সব খনিজ লবণ, শর্করা, প্রোটিন, চর্বি, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন এ, বি, সি, ই ও বি ১৭ রয়েছে।
তবে ওই জুসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ক্লোরোফিল, যা মানুষের শরীরে উল্লিখিত বিভিন্ন রোগের মহাওষুধ হিসেবে কাজ করে। সুইজারল্যান্ডের নামকরা বিজ্ঞানী ড. বিরচারের মতে, ক্লোরোফিল হচ্ছে এমন এক ধরনের টনিক যার সঙ্গে কোন কিছুর তুলনাই চলে না।
এ বিষয়ে ড. সালাম বলেন, মাঠে কিংবা ঘরের বারান্দায় ট্রে বা টবে সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী গমের চারা উৎপাদন করা যাবে। গমের চারার বয়স ১০ থেকে ১৪ দিন হলেই সেগুলো থেকে জুস তৈরি করতে হবে। বহির্বিশ্বে এ জুসের প্রচলন অনেক প্রাচীন হলেও বাংলাদেশে এখনও এর তেমন কোন প্রচলন হয়নি।
গমের চারা কেটে ফ্রিজে বেশ কয়েকদিন সংরক্ষণ করা যাবে। তবে একবার জুস তৈরি করলে ১৫ মিনিটের মধ্যে পান করতে হবে।
এর বেশি সময় রাখলে ক্লোরোফিলের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এই জুস ফলের জুসের সঙ্গে মিশিয়ে পান করা গেলেও দুধের সঙ্গে মিশানো যাবে না। এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই এবং প্রাথমিকভাবে দৈনিক ৩০ মি.লি. এর চেয়ে বেশি জুস পান করা উচিত নয়।
পরে এই মাত্রা কিছুটা বাড়ানো যাবে। দুই বছরের কম বয়সের শিশুদের ওই জুস পান করানো যাবে না। ৩০ মি.লি. জুসের জন্য গমের চারার প্রয়োজন হবে ৪০ গ্রাম। সকালবেলা খালি পেটে ওই জুস পান করা উত্তম। ইলেকট্রনিক জুইসার বা হাতে ঘুরানো জুস তৈরির যন্ত্র বা মাংসের কিমা বানানোর মেশিন হাতে ঘুরিয়ে জুস তৈরি করা যাবে।
এছাড়া চুইংগামের মতো চিবিয়ে চারার রস পান করা যায়। জুস তৈরিতে ব্লেন্ডার মেশিন না ব্যবহার করাই ভালো। কারণ এটি দ্রুত ঘোরায় জুসের মাঝে অক্সিডেশন শুরু হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।