ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই গ্যাষ্ট্রিক এর সমস্যায় বেশ কষ্ট পাচ্ছিলাম। যা-ই খাই কিছুক্ষণ পর পর সেটারই ঢেকুর উঠতো। আর যে কোন খাবার খেতে গেলেই ১০ মিনিট ধরে ভাবি যে এটা আমাকে কতটা কষ্ট দেবে? বুক জ্বালাবে? নাকি সমস্যা হবে না। মাঝে মাঝেই খাওয়ার পরে এন্টাসিড প্লাস চুষে খাওয়া লাগতো। বেশ বড় ঝামেলাই মনে হচ্ছিলো।
এসব থেকে পরিত্রাণ পেতেনিজে নিজেই প্রতিদিন সকালে এক্সারসাইজ শুরু করলাম, সেই সাথে প্রচুর পানি পান তো আছেই। কার্ডিয়াক ব্যায়াম (দৌড়, হাটা, লাফ ঝাপ), বাসায় ফিরে পেটের ব্যায়াম।
এরই মধ্যে দৌড়াতে গিয়ে সন্ধান পেলাম এক কবিরাজের। তিনি রাস্তার পাশে একটি গাছ (শাল গাছের মতো) স্লাইস করে কেটে বিক্রি করছেন। গাছের মাঝ স্থানটি শাক আলুর মতো নরম, সাদা, কচকচা।
গাছের অভ্যান্তরের চারপাশটা সুন্দর নকশা করা। প্রাকৃতিক ভাবেই এটি চিত্রিত নাকি কোন কায়দা করে তৈরী করেছে বোঝার জন্য দাড়ালাম। দেখি লোকটি একটি করাত দিয়ে গাছটি স্লাইস করে কেটে এক একটি নক্শাদার স্লাইস কাগজে মুডিয়ে রাখছে বিক্রির জন্য। পাশে গিয়ে দাড়াতেই উনি বল্লেন এটা হলো ঢেঁকি গাছ। সিলেটে এটাকে বলে মুরসালিন গাছ।
এই গাছের গুনাগুন হলো এটি গ্যাষ্ট্রিক রোগ সারায়। প্রতিদিন সকালে বাসি পেটে এক টুকরা (ভিতরের সাদা অংশ) আর রাতে খাবারের পর একটুকরা সাত দিন খেতে হবে। ইনশাল্লাহ গ্যাষ্ট্রিক ভালো হবে। রোগ সারাবেন আল্লাহ, আমি উছিলা মাত্র, হাদিয়া ৩০ টাকা। আমি মনে মনে বল্লাম, আরে! এই মহৌষধই তো আমি খুজছি! গ্যাষ্ট্রিকের যন্ত্রণায় প্রতিদনি সকালের ঘুম নষ্ট কের ঘাম ঝরাই।
এটা অবশ্য খারাপ না। ৩০ টাকা খরচ করলাম। বাসায় এনে খাওয়া শুরু করলাম নিয়মি মতো।
নিয়মিত এক্সারসাইজ , প্রচুর পানি পান আর গাছের চিকিৎসায় আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে, যথেষ্ট ভালো আছি। কোন খাবার খেতে গেলে আগেই ১০ মিনিট চিন্তা করতাম, এখন আর তা করা লাগছে না।
একটি লেমিনেটিং করা কাগজে উক্ত গাছের গুনাগুনে সম্পর্কে উল্লেখ আছে যে উক্ত গাছে আছে ফলিক এসিড, ফাইলম্বিক এসিড, কারকোরাল, ক্যালসিয়াম, আমিষ, লৌহ ও শ্বেতসার। জানি না এসবে কিকি কাজ করে। তবে হয়তো কাজ করে।
বি: দ্র: অনেক্ষণ চেষ্টা করলাম ছবি আপলোড করার, কিন্তু হৈলো না .... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।