তেরোর ব্লগ মানেই হাবিজাবি !! এই মুহুর্তে ক'টা বাজে তা আমার জানা জরুরী। আমি কতক্ষন ধরে এখানে বসে আছি তা নিয়ে আমিও সন্দিহান। একবার মনে হচ্ছে ৫ মিনিট আরেকবার ১০ মিনিট আবার মনে হচ্ছে আরো বেশি । আইনস্টাইন সাহেব কি জানি সময়ের আপেক্ষিকতা নিয়ে কি কি জানি বলেছিলেন তা আজকে টের পাচ্ছি। আশা করেছিলাম দেরী করাচ্ছে হয়তো চা-বিস্কুট কিছু দিতে পারে।
আমার অনুমানকে মিথ্যে প্রমান করে তারা কিছুই পাঠাচ্ছে না। আজকে আমার পোশাক আশাক ভালো। মনসুর পই পই করে বললো যে টাকাওয়ালা বাড়ি। ভালো হয়ে যেতে । আমি শার্ট প্যান্ট আয়রন করে চুল আচড়ে বাবু বাবু হয়ে এসেছি।
অন্তত একটু শুকনো টোস্ট বিস্কুট , ঠান্ডা চা আমি আশা করতেই পারি। সেই আশায় গুড়েবালি দিয়ে এখনো আসল কাজ ই হচ্ছে না। যে ঘরে বসিয়ে রেখেছে সে ঘরে দুটো ঘড়ি, হতাশার ব্যাপার হলেও সত্য যে ঘড়ি একটাও ঠিক না। দুটোতেই আমার কপালের মতো বারোটা বেজে আছে। দুটো ক্যালেন্ডার, কিন্তু ঠিক মাসে নেই।
ধুলো পড়ে যাচ্ছে কিন্তু পাতা উল্টাচ্ছে না। আমার খুব ইচ্ছে করছে উঠে গিয়ে ঠিক মাসে উলটে আসি। কিন্তু আগ্রহকে সংবরন করছি। বারান্দা থেকে উইন্ড চ্যামের টুং টাং শব্দ ভেসে আসছে।
এভাবে কাঁচুমাঁচু হয়ে বসে থাকার কতক্ষন পর যে আমাকে এখানে এনে বসতে বলেছিলো সে এসে বললো যে আজকে কেউ আপনার সাথে কথা বলবে না।
আপনি এখন আসতে পারেন।
আমি ফোস করে একটা নিঃশ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়ালাম।
আমার হচ্ছে কুফা কপাল। আমি যা করতে যাই তাতেই ধরা খাই। সকালে উঠে জুতা পড়বো দেখবো জুতা ছিড়ে গেছে।
ঘর থেকে বের হয়ে রিকশা নিবো দেখবো রিকশার চেইন পড়ে গেছে, ক্লাসে গিয়ে দেখি ফট করে পরীক্ষা। পরীক্ষা হলে দেখি ভুল সিলেবাস পড়ে বসে আছি।
কিঞ্চিত হতাশ হয়েই আমি বাড়িটা থেকে বের হয়ে আসলাম। রাগে মুখে শুধু থুতু আসছে। বাড়িটার সামনে দাঁড়িয়ে একদলা থুতু ফেললাম।
আমি অপদার্থ মানুষ। আমার পক্ষে এর থেকে বেশি কিছু করার সাহস নেই।
স্যাতস্যাতে একটা বিকেল। টুং টাং বেল বাজিয়ে একটা দুটো রিকশা চলে যাচ্ছে। সন্ধ্যা হবে হবে।
রাস্তাটা শান্ত। আমি কিছুদূর হেটে একটা পিলারে ঠেস মেরে দাঁড়ালাম। একটু দূরে ফুটপাথে দুটো মেয়ে বসে বাদাম চিবুচ্ছে। চশমাটা খুলে শার্টের কোনা দিয়ে মুছছি। চশমাটা খুলেই টের পাই মাত্র এক ফুট দূরের কিছু ও আমি ভালো করে দেখতে পারছি না।
দিন দিন চোখের অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে। আজকাল নিজের প্রতি ই নিজের হাসি আসে। গলি থেকে বের হয়ে বাসে উঠতে হবে। বিরাট পথ দিতে হবে পাড়ি। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে জোরে হাঁটতে লাগলাম।
এ নগরী ধৈর্য্যশীলদের পছন্দ করে। আমি চাই এ নগরী আমাকে পছন্দ করুক। আর কত ধৈর্য্য হলে এ নগরী আমাকে মেনে নিবে?!
বাসে আজ অন্যদিনের তুলনায় ভীড় কম। বাসে এক বৃদ্ধ উঠে মুহূর্তেই ঝর ঝর করে কেঁদে ফেললো। তার সাহায্য চাই।
কেউ দিচ্ছে না। এক ক্যানভাসার তার বইগুলো এর ওর কাছে গছাতে ব্যস্ত। দুনিয়ার সমস্ত জানা অজানা তথ্য সেই ১০ টাকার বইএর পাতায় পাতায় আছে । আমি জানালা দিয়ে বাইরে তাঁকিয়ে আছি।
.
.
.
শুনশান একটা শহরের সামনে আমাকে বাস টা রেখে চলে গেলো ।
ছাই রঙ এর আকাশ। আকাশের ছাই রঙ টা মাটিতে এসে মিশেছে। তিড় তিড়ে বাতাস। খুব দূর থেকে একটানা কাকের ডাকের শব্দ ভেসে আসছে। চারদিকে সব এক তালা ছোট ছোট বাড়ি।
চারদিকে জনমানুষের চিহ্ন নেই। হাঁটতে হাঁটতে একটা বাড়ি দেখতে পাই। বাড়িটার প্রতি এক তীব্র আগ্রহ অনুভব করি। আমি কাছে যেতে চাই। সেই মুহূর্তে দূর থেকে একটা শব্দ ভেসে আসে।
শব্দ টা আস্তে আস্তে খুব তীক্ষ্ণ হচ্ছে। আমি কান চেপে ধরলাম।
.
.
“ভাই, নামবেন না?” কি সব লোক যে বাসে উঠে। হুশ থাকে না।
আমি ধরফর করে উঠলাম।
নাহ আমি তো বাসে। তা স্বপ্ন ছিলো তাহলে। কিন্তু এতো বাস্তব !! আমি ঘোরের দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে থাকি।
“আরে উঠেন উঠেন। নামেন।
যত্তসব!”
নেমে পড়লাম বাস থেকে। আমার স্ট্যান্ড পার হয়ে গেছে। আবার উলটো হাঁটতে হবে।
.
.
বাসায় এসে ঘরে ঢুকলাম। ঢোকার আগে দেখলাম সবাই খেতে বসেছে।
আমাকে কেউ ডাকলো না। আমি হচ্ছি এই বাড়িতে ইনভিসিবল ম্যান। আমাকে কেউ ডাকার প্রয়োজন বোধ করে না। ছোটবেলা ঈদের জামা কাপড় আনা হলে আমার জামা কখনোই আসতো না। কেনো আসতো না আমি জানতাম না।
ঈদের বাজার শেষে বাবা আমাকে দেখে অবাক হতেন কারন তিনি এইবারো আমার কথা ভুলে গেছেন। ছোটবেলা বোকা ছিলাম বলে আমি বাবার মনোযোগ আকর্ষনের জন্য খুব তৎপর থাকতাম । বাবা ঘুম থেকে উঠলেই আমি দৌড় দিয়ে পেপার টা নিয়ে আসতাম, নাস্তার পর ঔষধের বাক্স নিয়ে আসতাম, নানান কাজ,অজুহাতে বাবা বাসায় আসার পর থেকেই ঘুরঘুর করতাম। যে অংক পারতাম সে অংক ও ভুল করে নিয়ে আসতাম। তাও বাবার মনোযোগ খুব একটা আকর্ষন করতে পারি নি।
সেই বছর ঈদেও বাবা আমার জন্য জামা আনতে ভুলে গেলেন। বাবার দেখাদেখি বড় আপা,ভাইয়া ও আমার সাথে এমন আচরণ শুরু করলো। ছোট বলে ব্যাপার গুলো ধরতে আমার বেশ সময় লেগেছিলো। কিন্তু একটা ব্যাপার আমি সেই বয়সেই ধরে ফেললাম যে আমি একটা ভয়ংকর দোষ করেছি। হয়তো সে জন্য আমাকে কেউ পছন্দ করছে না।
আমার সব বন্ধুদের মা ছিলো। আমার ছিলো না। তাহলে আমি তাকে জিজ্ঞাসা করতাম ব্যাপারটা। প্রায়ই বাবাকে দেখতাম পোষা বিড়াল মিনু কে কোলে করে আদর করতে। মিনুর তখন আনন্দে চোখ বুজে আসতো ! আমি প্রায়ই কেউ না থাকলে বিড়বিড় করে বলতাম “আল্লাহ আমাকে বিড়াল করে দেও।
আল্লাহ আমাকে মিনু করে দেও!” এখন মনে হয় নিশ্চয়ই তখন চারপাশের দেয়াল,জানালা,পর্দাগুলো খুব হাসতো। ভাগ্যিস তারা কথা বলতে পারে না। অবশ্য অনেক পরে আমি জেনেছিলাম আমি হবার ছয় মাস পর ই মা মারা যায় । মা চলে যাওয়ার পর সংসারে অনেক ঝামেলার সৃষ্টি হয়। সংসারে অভাব দেখা দেয় প্রচন্ড।
অন্যদের মতো মোটা মোটা বই পড়া আমার বাবার ও বিশ্বাস এসবের জন্য দায়ী আমি। আমি হচ্ছি তাদের কুফা সন্তান। আমি না হলে এসব কিছুই হতো না। সংসারে সুখের জোয়ার বইতো। আমাকে না পারতে পেলে পুষে বড় করছে উনি।
যখন ব্যাপার টা জানতে পারলাম তখন কিছু ছোটকালের রাগ ছিলো তা চলে গেলো। উনি তো আমাকে ফেলে দিলেও পারতো নয়তো এতিম খানাতেও রেখে আসতে পারতো তা তো করে নি। নিজের বাড়িতে রেখেছে,বড় হয়ার পর আমাকে একটি ঘর দিয়েছে। এজন্য বাবার কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ! মাস শুরুতে আপা গম্ভীরমুখে আমার হাতে কিছু টাকা দিয়ে যায়। সারা মাসে আপার সাথে এই আমার মুখোমুখি যোগাযোগ।
অবশ্য আমিও নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি।
তবে ইনভিসিবল ম্যান হয়াতে সুবিধা আছে। আমার কোনো কিছুতেই কেউ তেমন খবর রাখে না। তারা নানান প্ল্যান প্রোগ্রাম করে আমাকে ছাড়াই। ঘুরতে যায় আমাকে ছাড়া।
আমি আগে অপেক্ষা করতাম কোনো একদিন আমার ডাক আসবে। আপা এসে বলবে,"চল তো আমাদের সাথে। আজকে আমরা এই নাটক দেখতে যাচ্ছি। " একদিন বুঝতে পারলাম আমার ডাক আসবে না। মেনে নিলাম সত্যটা।
সত্যটা মেনে নেয়ার পর আর খারাপ লাগে না। আমি আনন্দেই আছি। আমি নিশ্চিত আমি ঘরে দু দিন না ফিরলেও তারা কেউ খেয়াল করবে না। খেয়াল করবে যখন দেখবে যে বাসায় ময়লার পঁচা গন্ধ তখন। কারন বাসার ময়লা ফেলার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি আমি ছোটবেলা থেকে নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছি।
যাইহোক, আমার ধারনা ঘরে খাওয়ার কিছু নেই । আজকে কিছু খাওয়াও হয়নি। ঝামেলাতে পড়ে গেলাম। ঢক ঢক করে পেট ভরে পানি গিলে শুয়ে পড়লাম। পেট খালি থাকলে তখন মনে হালকা দূঃখ জাগে।
আমার মনে বদ্ধ নর্দমার মতো অসংখ্য দূঃখ জমে আছে। বান ভাসা দূঃখ হলে একদিন সব ভাসিয়ে চলে যেতো। নর্দমা দূঃখ গুলো যায় ও না কোথাও, হঠাৎ হঠাৎ গন্ধ ছড়ায়।
.
.
.
এখন আবার সেই বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছি। সব বাড়িগুলো থেকে এই বাড়িটার আলাদা কোনো ব্যাপার আছে।
আমি তা ধরতে পারছি না। খুব অস্থির লাগছে। হঠাত করে কিছু একটা পা ঘেষে চলে গেলো। দেখলাম একটা কালো বেড়াল খুব হেলতে দুলতে বাড়িটার সামনের বারান্দায় গিয়ে বসলো । আমি বাড়ির ভেতর ঢুকতে চাই।
কিন্তু ভেতর থেকে কেউ যেনো চিৎকার করে মানা করছে । হঠাৎ প্রচন্ড ভয় জড়ো হতে থাকে চারপাশে। আমি কাঁপতে থাকি।
ঘুম ভেঙ্গে গেলো। দরদর করে ঘামছি।
সাধারনত আমার স্বপ্ন মনে থাকে না কিন্তু এখানে ব্যাতিক্রম মনে হচ্ছে। বাড়িটা কেমন জানি আলাদা, এই বাড়িটা আমি চিনি।
ঘর থেকে বের হয়ে দেখলাম যথারীতি বাবা,আপা,ভাইয়ারা মিলে টিভি দেখছে। কি আনন্দের একটা দৃশ্য। সবাই হো হো করে হাসছে।
চাইলেও আমি কোনোদিন এই দৃশ্যের অংশ হতে পারবো না । ইনভিসিবল ম্যানের সেখানে কোনো জায়গা নেই।
.
.
.
.
আবার বাড়িটার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। বেড়াল টা বারান্দাতে বসে লেজ নাড়াচ্ছে। একটা গিরগিটি সরসর করে সরে যায়।
আমি ভাবতে থাকি ঢুকবো নাকি ঢুকবো না। হঠাত খুব কাক ডাকতে থাকে। ছাই রঙ্গা আকাশ জুড়ে শুধু কাক আর কাক। আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। কি আছে বাড়িটায়?
.
.
.
আজকাল আমি প্রায়ই ঘুমিয়ে থাকি।
ঘুমোলেই আমি সেই ছাই রঙ্গা শহরে চলে যাই। অপূর্ব ধূসর এক শহর। ঠান্ডা ছায়া চারদিকে। সেখানে কেউ থাকে না। একলা একলা হাঁটতে থাকি, হাঁটতেই থাকি।
দূর থেকে একটানা কাকের ডাক কানে বাজে। মাঝে মাঝে পায়ের কাছে বিড়াল টা ঘুর ঘুর করে। হাঁটতে হাঁটতে দুপাশের বাড়িগুলো শেষ হয়ে যায়। তখন থাকে বিশাল মাঠ। কিন্তু শুরুটা এতো শান্ত ভাবে শুরু হলেও শেষটা এমন হয় না।
বাড়িটার সামনে দাঁড়ালে আমার প্রচন্ড অস্থির লাগে। তখন শান্ত শহরটা অশান্ত হয়ে যায়। আবার ভয় পেতে থাকি। আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। দরদর করে ঘামতে থাকি।
তবু ও আমি শুধু ঘুমোতে চাই। সেই বাড়ি,সেই শহরের প্রতি তীব্র আকর্ষন আমাকে ঘুমোতে বাধ্য করে।
.
.
.
সেদিন ক্লাসে ঘুমিয়ে গেলাম। মাঠের মাঝে তিরতিরে বাতাস খাচ্ছিলাম তখনি একজন ঘুম থেকে তুলে দিলো। স্যার আমাকে প্রচন্ড অপমান করে রুম থেকে বের করে দিলেন।
যদিও আমার কিছুই মনে হচ্ছে না। শুধু মাথায় ঘুরছে আমাকে আরো ঘুমোতে হবে। আমি লাইব্রেরীতে গিয়ে আবার ঘুমিয়ে গেলাম।
একদিন ক্লাসের একজন আমাকে বললো, আমি নেশা করছি নাকি?
আমি হাসতে থাকি। যে জিজ্ঞেস করলো সে ভয়ে ভয়ে কেটে পড়লো।
মনসুর একদিন বললো, “দোস্তো কিছুদিন ধরে দেখছি তোর কিছু হইছে। তুই কাউকে কিছু বলিস না। জানি আমাকেও কিছু বলবি না। দোস্তো নিজের খেয়াল রাখ”।
বললাম, “ভালো আছি দোস্তো ! অনেক ভালো আছি ! নতুন শহর পাইছি।
সারাদিন ঘুরি। অনেক আনন্দ। ”
মনসুর করুনার দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাঁকিয়ে থাকে। ফিসফিস করে বললো, "যেখানে সেখানে ঘুমায় যাইস না। দুনিয়া ভালো না!"
মনসুর ছেলেটা অদ্ভুত!
.
.
.
আজ ধূসর শহর টা কেমন জানি !! যদিও চোখের সামনের কোনো পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি না।
কাকের ডাকের সুর টা পর্যন্ত বদলায়নি। তবু ও আমি টের পাচ্ছি আজ শহর টা জীবন্ত। মাঠে বসে আছি । বেড়াল টা তার মাথা ঘষতে থাকে আমার হাতে। আমি উঠে বসি।
শহরে ফিরতে থাকি। প্রতিদিনের মতো আজকেও বাড়িটার দিকে এগোতে থাকি। এক পা এক পা করে যতই বাড়িটার কাছে যাচ্ছি ততই অদ্ভুত লাগছে। আজ একটু ও ভয় লাগছে না। ভয় গুলো সব অদ্ভুত এক আনন্দের বুদবুদ হয়ে চারপাশে ভাসছে ।
বাড়িটার সামনে এসে দাঁড়াই। অসম্ভব হলেও সত্যি আজ বাড়িটার দরজা খোলা। আমি অনুভব করি কেউ ভেতরে আছে। সে আজীবন সেখানেই আমার জন্য অপেক্ষা করছিলো। বুঝতে পারি সেখানে আমার জন্য ভয়াবহ আনন্দ অপেক্ষা করছে।
ধীর পায়ে হেঁটে যাই। টের পাই এক জোড়া আনন্দমাখা চোখ আমার দিকে তাঁকিয়ে আছে।
“নাহ এই শহর থেকে আর ফিরবো না”।
রহস্যময়ী প্রকৃতি আমাকে আর ঘুম থেকে ডেকে তোলেনি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।