দীর্ঘদিন হৃদরোগ আর কিডনি জটিলতায় ভুগে মারা গেছেন পল্লীকবি জসীম উদদীনের ‘আসমানী’ কবিতার বাস্তব চরিত্র আসমানী বেগম।
শুক্রবার রাত পৌনে ৩টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে মৃত্যু হয় তার। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছরের বেশি। তিনি পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।
বড় মেয়ে আলেয়া বেগম জানান, শনিবার জোহর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আসমানীকে তার স্বামী হাসেম উদ্দিন মণ্ডলের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত আসমানী গত জুন মাসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
এই নারীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন তার প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ।
পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ‘আসমানী’ কবিতাটি ১৯৪৯ সাল তার ‘এক পয়সার বাঁশি’ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত হয়। পরে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয় স্কুলের পাঠ্য বইয়ে।
জনশ্রুতি আছে, ১৯৪৬ সালে আসমানীর গ্রাম রসুলপুরে বসে তাকে দেখেই ওই জসীমউদ্দীন লিখেছিলেন- আসমানীরে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, রহিমুদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও/ বাড়ি তো নয় পাখির বাসা ভেন্না পাতার ছানি, একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি/... পেটটি ভরে পায় না খেতে, বুকের ক-খান হাড়/সাক্ষী দিছে অনাহারে কদিন গেছে তার।
পরিবারের সদস্য গ্রামের মানুষের মধ্যে আসমানী বযস নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সবাই বলেছেন, তার বয়স আশির বেশি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।