আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চ্যাটিং স্টোরী: পথ চলার গল্প

স্ট্যাটাস: কেবল মুঠোয় বন্দী কফির একলা কাপ, ডিপ্রেসনের বাংলা জানি 'অনেক মন খারাপ'! : ডিপ্রেসন? : হুম। : ক্যান? : জানি না। : ঘুমান না কেন? : ঘুম আসে না যে। : কারণ কি? : জানি না। : সুখের অসুখ? : একদম না।

মাঝে মাঝে এরকম হয়। : ইদানিং বেশী হচ্ছে ... : তা ঠিক। : একটা টোটকা দিই । : দিন। : হেটে আসুন : হা হা হা হা।

অ্যাসিডিটির সমস্যা না কিন্তু। : পিচঢালা রাস্তায়। : রাত কত হয়েছে খেয়াল আছে? : খালি পায়ে। : হিমু? : না। : অবশ্যই।

: আপনি আপনিই, আপনি হিমু হবেন কেন? : :/ : শেষ কবে হেটেছেন পিচঢালা রাস্তায়? : মনে নাই? : খালি পায়ে বাসার বাইরে? : অনেক আগে। গ্রামের বাড়িতে। : গুড। : ছাই। কাদা পাড়িয়ে যেতে হয়েছিল।

: হা হা হা হা : : পিচ ঢালা রাস্তায় হাটার অভিজ্ঞতা অন্যরকম। : আপনি হেটেছেন কবে লাস্ট? : গত মাসে। শ্রীমঙ্গলের রাস্তায়। : হিংসা। : চলে আসেন, আপনাকে খালি পায়ে পিচ রাস্তায় হাটা শিখিয়ে দিই।

: মাথা খারাপ। দেড়টা বাজে। : জেগেই তো আছেন। : সম্ভব না। এই স্ক্রিনে বসে থাকা ছাড়া হাটাহাটির সুযোগ নেই।

: ওকে। সেভাবেই না হয় শুরু করলাম। : ভার্চুয়াল হাটাহাটি? : হুম। রুমের বাতিটা নিভিয়ে দিন। : পাগলামি।

: কোথায় হাটবেন? : ভার্চুয়াল হাটাহাটি আবার কি? : লালমাটিয়ায় না বাসা? : হ্যা। : আড়ং এর সামনে চলে আসুন। কতক্ষন লাগবে? : হা হা হা। : রেডি হয়ে নিন। : কিরকম? : হাটতে বেরোচ্ছেন, রেডি হবেন না? : স্যান্ডেল কি রেখে আসবো? নাকি হাতে নিয়ে হাটবো? : রেখে আসুন।

: কি পড়বো? : শাড়ি। : আয়রন করা নেই। : আপনার যা ইচ্ছা। : লাল কামিজ, সাদা হিজাব? : এই রাতে লাল কেন? : তবে? : যা ইচ্ছে। : সাদা কামিস, নীল ওড়না।

: হিজাব বাদ? : ওড়নাই হিজাব। : গুড। ৫ মিনিটের মধ্যে আসছি। থাকবেন। : আচ্ছা : আছেন? : ... : হ্যালো? : ... : আপনি সত্যি সত্যি চলে আসছেন নাকি? চ্যাটিং চলছে কিন্তু, ভার্চূয়ালি হাটার কথা আমাদের, রিয়েল ওয়ার্ল্ডে না... আছেন? : ভুলে যান ও কথা।

: কি ব্যাপার রিপ্লাই দিচ্ছেন না কেন? কি ভুলে যাবো? : ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড। আপনি এখন আড়ঙ এর সামনে। : হা হা হা : স্যান্ডেল পড়ে এসেছেন কেন? আশ্চর্য। : বাসা থেকে খালি পায়ে বের হবো নাকি? পানি জমে আছে, গোটা দশেক ইটের উপর পা দিয়ে আসতে হয়। : তো? : শুরুতেই যদি পায়ে হাটার ব্যাপারে বিতৃষ্ণা চলে আসে তো কেমনে হবে? কিন্তু আপনার হাতে এটা কি? : কই? : ফুল মনে হল! : ওহ ফুলই তো।

আপনার জন্য। : থ্যাঙ্কু। কেমনে হল?ম্যাজিক? : উহু। আপনার আর আমার সম্মিলিত ইচ্ছেশক্তির ফল। : ভাব্।

আসুন হাটি। : স্যান্ডেল? : এখানে রেখে যাচ্ছি, ফেরার সময় লাগবে। : পিচ রাস্তায় খালি পায়ে হাটার সবচে বড় সমস্যা জানেন? : কি? : পায়ের নিচে ছ্যাপ পড়বে। : ইয়াক। : এটা আমার বন্ধু ডাক্তার ইমরানের থিওরী।

মসজিদ থেকে স্যান্ডেল চুরি হওয়ার পরে এই থিওরী দিয়েছে সে। : হা হা হা : তার মতে, এমনিতে স্যান্ডেল ছ্যাপে পরে না, কিন্তু খালি পায়ে হাটলে একটু পর পরই ছ্যাপ-এ পা পড়বে। : খালি পায়ে হাটার উৎসাহে এখন বাধা দিচ্ছেন- এইটা কিন্তু ঠিক না। : সংসদ ভবনে ঢুকেছেন কখনো? : না। : বসেছেন ফুটপাতে? : না।

: চলুন বসি। : আজ নয়, আজ শুধু হাটবো। আরেকদিন। : কেমন লাগছে? : শৈশব শৈশব অনুভূতি। : আকাশে চাদ নেই আজ, যেদিন চাদ থাকবে, বাতাস হবে সেদিন আরেকটা টোটকা দেব।

: আজ নয় কেন? : আজ চাদ নেই তাই। : তাই বলে জানবো না? আরেকদিন যদি আমার হাটতে ইচ্ছে হয়? : সেদিন বলে দেবো। : সেদিন তো আপনার সাথে নাও হাটতে পারি। : হাটবেন। : কেন? : আমি সাথে না থাকলে তো আপনি হাটার আনন্দ পাবেন না।

: বোগাস। : একদম নয়। পিচ রাস্তার সাথে মিশে আছি আমি। : ইমপ্রেস করার চেষ্টা করছেন? : হু। : কেন করছেন? : পিচ রাস্তায় হাটার জন্য আপনি আমাকে চান, তাই।

: মিথ্যে কথা। : সত্যিটা কি? : জানি না। : আমি জানি। : কি? : আমি আপনার সাথে হাটতে চাই। : আমরা কি হাটছি না? : আরও হাটতে চাই - এখানে, ওখানে, আজ কাল পরশু।

: ... ... :কিছু বলবেন না? : আমার মন খারাপ হয়ে গেছে। আমি এখন যাই। =============================== পাগড়ি শেরওয়ানী পড়া ছেলেটা স্যান্ডেল খুলে স্টেজে বসা মাত্রই কতগুলো কিশোর কিশোরী স্যান্ডেল নিয়ে কোথায় ছুটে পালাল। : স্যান্ডেল হাওয়া : পয়সা ফেলো, পেয়ে যাবে। : পুরান কথা।

নতুন কিছু বল। : আমারগুলোও লুকিয়ে ফেলেছি। খালি পায়ে যাবো আজ। যে সকল মানবী ফেসবুকে চ্যাটিং-এর মাধ্যমে এই ধরনের গল্পগুলো লেখার উপকরণ সরবরাহ করছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।