আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার ইংরেজি ব্লগিং ও গাদ্দাফির পুত্রবধূ এলাইন স্কাফের গোপন ছবি(কিঞ্চিত ১৮+)

যে মুখ নিয়ত পালায়......। । টেকি জিনিসের প্রতি আমার আগ্রহ আছে। ছোটবেলায় বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছা ছিল কি না! সার্চ ইঞ্জিন, ব্লগ(ইংরেজি),সোশ্যাল মিডিয়া এসব। অনেকদিন থেকেই ইচ্ছে ছিল ইংরেজিতে ব্লগ লেখার।

প্রো ব্লোগার থেকে জন চো ...ইংরেজি ব্লগিং টিপসের ব্লগ গুলো পড়তে পড়তে বানিয়ে ফেললাম নিজের ব্লগ। এটা eTa প্রায় এক বছরের ও কিছু আগের কথা। এই এতদিন পড়ায় এবং নড়া চড়ায় টেকী জ্ঞান কিছুটা(অল্প কিছু) জমা হল। এগুলো নিয়েই শুরু করলাম লেখা। সাথে ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স(!!!), এই সেই! নতুন সাইট ।

ট্রাফিক কম। তখন নিয়মিত নিয়ম করে ডেইলি মেল পড়ি। মেল পড়ে মানব জমিন পড়ার মত আনন্দ পাই। একদিন সন্ধ্যায় ডেইলি মেইলে দেখলাম আমার ব্লগিং লাইফের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া গাদ্দাফির ৩৬ বছর বয়স্ক পুত্র হানিবলের স্ত্রী মডেল এলাইন স্কাফ কে নিয়ে নিউজ। নিউজ টা মূল কথা হলঃ হানিবল এর একটা ল্যাপ্টপে সে আর তার লেবানিজ বউ এলাইন স্কাফের কিছু ছবি পেয়েছে ফটোগ্রাফার রা।

ছবিগুলা ১৮+। মিশরের একটা হোটেলে এলকোহল খেয়ে তারা ছবি গুলো তুলে.........। । বা এরকম কিছু......। ।

ডেইলি মেল ছবিগুলো প্রকাশ করে দেয় নিউজের নিচে......। নিউজ টা দেখেই মাথা গরম হয়ে গেল! এসব কি বা...ছাল? গাদ্দাফি ধরে নিলাম খারাপ তাই বলে তার পরিবারের সদস্যদের এরকম প্রাইভেট ছবি গুলো প্রকাশ করার অধিকার কে দিল এই পত্রিকাকে! মেজাজ খারাপের ফলে এল এক আগুন পোস্ট! আসলে তেমন আগুন না মাত্র দুই প্যারা অগ্নি! “মূলভাব একজন লোক খারাপ হতে পারে। তাই বলে তার পরিবারের বা তার গোপন পারিবারিক ছবি যে প্রকাশ করে সে আরো খারাপ। ডেইলি মেলের এই নোংরামির তীব্র প্রতিবাদ। ” আমি স্বাভাবিক ভাবেই লেখছিলাম! এক ফালি প্রতিবাদ।

কোন ছবি টবি ও নাই। তারপর কিছুদিন যাওয়ার পর ই শুরু হল আসল জিনিস। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম বিপুল পরিমাণ ট্রাফিক আসছে সাইটে। ঘটনা কি দেখতে একদিন গোগল এনালিটিক্স দেখলাম। মানুষ “পেরাইভেট পিকচার অফ ওয়াইফ”((!!) সার্চ দিলেই আমার পোস্ট এসে যায় গোগলের প্রথম পেইজে!! বিপুল পরিমাণ ট্রাফিক আসে।

এসে নিশ্চয়ই তারা চরম আশাহত হয়! দিন দিন এই ট্রাফিক বাড়তে লাগল। প্রতিদিন হাজার হাজারে গিয়ে ঠেকল। এডসেন্স ছিল সাইটে। বোঝাই যাচ্ছে অবস্থা ভালোই গেছে। আর ট্রাফিক পেয়ে পেয়ে উঠে গেল আমার ব্লগ।

আমিও মজা পেয়ে গেলাম ইংরেজি ব্লগিং এ। এখনো প্রচুর ট্রাফিক পাই এলাইন স্কাফের কল্যাণে। এটা মনে হয় আনলাইনে সর্বোচ্চ পঠিত আমার কোন লেখা। তাই আমার ইংরেজি ব্লগিং এ এলাইন স্কাফের পরোক্ষ অবদান আছে। ধন্যবাদ এলাইন স্কাফ।

তার জন্য প্রতিবাদ করতে গিয়েই ভালো হয়ে গেল। এজন্যই জ্ঞানীরা বলেছেন, অন্যায়ের প্রতিবাদ কর। সংযুক্তিঃ ১। এটা ফান পোস্ট। সাইটের বিজ্ঞাপনী কোন পোস্ট না।

তাই আমার ইংরেজি ব্লগের লিংক কোথাও যুক্ত নয়। ২। ডেইলি মেলের নিউজ টা যুক্ত করা হল না। পত্রিকায় গিয়ে খোঁজ দিলে বা গোগলে সার্চ দিলে পাওয়া যাবে। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.