সততাই সর্ব উৎকৃষ্ট পন্থা। বর্তমানে আমাদের মূর্খ মুসলিম গুলো পাশ্চাত্যের জীবনের ভোগ বিলাস দেখে তা পাওয়ার আশায় নিজের রব-কে ভুলে গেছে, নিজের পরকালকে ভুলে গেছে। তাদের নারী স্বাধীনতার নামে নারী দেহকে অবাধ উপভোগ, অবাধ যৌনাচার আমাদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। তাদের উন্নত জীবনের লোভে মত্ত হয়ে মুসলিমরা ঐসকল আরাম-আয়েশের সকল বস্তু অর্জন করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ঐসকল আরাম-আয়েশকে পাওয়ার জন্য তারা পাগল প্রায় হয়ে গেছে।
ঐসকল আরাম-আয়েশকে পাওয়ার জন্য তারা ভাল-মন্দের পার্থক্য ভুলে গেছে। ফলে তারা ঐসকল আরাম-আয়েশকে পাওয়ার জন্য যে কোন প্রকার অপরাধও করতে কুণ্ঠিত হয় না। সুদ, ঘুষ, বেইমানী, আত্মসাৎ, চুরি, লুন্ঠন, দুর্নীতি, খুন এমন কাবিরা গোনাহ নেই যা তারা করতে দ্বিধাবোধ করে।
এই সমস্ত অপরাধ তারা কেন করে?
উত্তর একটাই- এই দুনিয়ার ভোগ-বিলাস পাওয়ার জন্য।
তারা ভুলেই যায় যে এই জীবনই শেষ নয়।
এই জীবনের পরেও একটা জীবন আছে। সেই জীবনে প্রত্যেকটি কাজের হিসাব দিতে হবে। আর সেই জীবনে কোন মৃত্যু নেই, সেখানে অনন্তকাল থাকতে হবে। কিন্তু কোথায় থাকব সেই চিন্তা কেউ করে না। সেই জীবনে থাকার জন্য তো আমাকে অবশ্যই বসতি নির্মাণ করে যেতে হবে, সেই বিষয়ে তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
বসতি নির্মাণ করে না গেলে কোথায় থাকব অনন্তকাল সেই বিষয়ে কি আমরা চিন্তা করি?
অনেকে আছে এই পার্থিব জীবনে সফলতা পাওয়ার জন্য অনেক মেহনত-পরিশ্রম করে থাকে। রাতের ঘুম হারাম করে পড়া-শোনা করে, যাতে এই পার্থিব জীবনে সফলতা পাওয়া যায়। কিন্তু রাত জেগে আল্লাহ্র কাছে কান্না-কাঁটি করতে দেখা যায় না। অনেকে অনেকে চাকুরী জীবনে প্রচুর পরিশ্রম করে, ওভার টাইম করে।
কেন?
উত্তর একটাই - এই দুনিয়ার ভোগ-বিলাস পাওয়ার জন্য।
অনেকে আছে এই পার্থিব জীবনে সফলতা পাওয়ার জন্য মিডিয়ায় ক্যারিয়ার গড়ার জন্য নাটক, সিনেমা, মডেলিং-এ সফলতা অর্জন করার জন্য নিজের মূল্যবোধ, নৈতিকতা সর্বস্ব বিকিয়ে দিচ্ছে। এই সাফল্যের পেছনে সকল প্রকার ত্যাগ স্বীকার করছে। নিজের সম্মান, আব্রু এমনকি শরীরটা সহ সর্বস্ব তুলে দিচ্ছে সমাজের হায়েনাদের কাছে, শুধুমাত্র এর বিনিময়ে ক্যামেরার সামনে পোজ দেওয়ার সুযোগ পাওয়ার আশায়, পত্রিকায় একটা সাক্ষাৎকার দেওয়ার সুযোগ পাওয়ার আশায়, মানুষের ঘরে ঘরে টিভি স্ক্রিনে শরীর দেখানোর সুযোগ পাওয়ার আশায়।
কেন তারা নিজের সর্বস্ব বিকেয়ে দিচ্ছে?
উত্তর একটাই - এই দুনিয়ার ভোগ-বিলাস পাওয়ার জন্য।
কিন্তু তাদের পরকালিন জীবনের জন্য তেমন কোন পরিশ্রম করতে দেখা যায় না।
যেখানে চিরকাল থাকতে হবে সে জীবন সম্পর্কে তারা এত উদাসীন কেন? নাকি তাদের পরকালের জীবনের প্রতি বিশ্বাস নেই?
বস্তুত উন্নত বিশ্বের এই চাকচিক্যময় জীবন বাহ্যিক ভাবে আপাত দৃষ্টিতে দেখতে লোভনীয় হলেও সত্যি কথা বলতে এতে প্রকৃত সফলতা নেই। এই দুনিয়ার জীবনে ক্ষণস্থায়ী। যদি কেউ এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে উপভগ করার জন্য অনেক পরিশ্রম করে অনেক সম্পদ অর্জন করেও তারপর সে এটা কতদিন ভোগ করবে?
৮০ বছর?
১০০ বছর?
বা তার চেয়ে কিছু বেশি।
কিন্তু এরপর তাকে মৃত্যুকে বরন করে নিতেই হবে।
মহান আল্লাহ বলেনঃ প্রত্যেক ব্যক্তির নির্ধারিত সময় যখন উপস্থিত হবে, তখন আল্লাহ কাউকে অবকাশ দেবেন না।
তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে খবর রাখেন। (সুরা মুনাফিকুনঃ ১১)
আর সে এই পার্থিব জীবনে আরাম-আয়েশ করার জন্য নিজের সময় গুলোকে এটা অর্জন করার কাজে ব্যয় করবে। পক্ষান্তরে পরকালিন জীবনের জন্য কিছু করার সময় পাবে না। পরকালিন জীবনের জন্য যদি সে আগে থেকেই না পাঠায় তবে সে ঐখানে গিয়ে কোথায় থাকবে?
অনেকে ভাবে থাকে আগে এই পার্থিব জীবনের আরাম-আয়েশের জন্য করি পরে বুড়ো কালে পরকালিন জীবনের জন্য করবো। আমি তাদের প্রশ্ন করতে চাই- আপনি কিভাবে জানলেন যে আপনি বুড়ো কাল পর্যন্ত বেঁচে থাকবেন?
মহান আল্লাহ্ তো বললেনঃ কেউ জানে না আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন দেশে সে মৃত্যুবরণ করবে।
আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত। (সুরা লুকমানঃ ৩৪)
আর আপনি যদি বুড়ো কাল পর্যন্ত বেঁচেও থাকেন তবে আপনি সেই সময় আপনি পরকালিন জীবনের জন্য যতটুকু করবেন সেটা বেশি হবে নাকি সারা জীবন ধরে পরকালিন জীবনের জন্য করলে সেটা বেশি হবে?
আর এটাতো সবাই বুঝে যে, যত পরিমানে পরকালিন জীবনের জন্য আমল করলে তার প্রতিদানও তত বেশি পাওয়া যাবে। আপনি একটু ভেবে দেখুন এই ক্ষণস্থায়ী পার্থিব জীবনের জন্য ভোগ-বিলাস বেশি পরিমানে পাওয়ার জন্য এত পরিশ্রম করেন আর সেই চিরস্থায়ী জীবনে কি বেশি নিতে চান না?
যদি চেয়ে থাকেন তবে কেন শুধু বুড়ো কালে পরকালিন জীবনের জন্য পরিশ্রম করতে চান?
আমরা এই পার্থিব জীবনে বিভিন্ন অমুসলিম, কাফেরদের প্রাচুর্য দেখে হতাশ হই, আফসোস করি। কিন্তু এটা মোটেও উচিৎ নয়। বরং আমাদের বোঝা উচিৎ যে এই পার্থিব জীবন আমাদের জন্য একটি পরীক্ষা, এই পৃথিবী হল পরীক্ষা কেন্দ্র, এটা কোন ভোগ-বিলাসিতা করারা জায়গা নয়।
আমাদের আসল ঠিকানা হচ্ছে জান্নাত। সেটাই আমাদের আসল বাড়ি।
এই পার্থিব জীবনে কাফেরদের উন্নতি দেখে, ভোগ-বিলাস দেখে, চাকচিক্য দেখে আমরা বিভোর হয়ে যাই। ফলে আমরা এই পার্থিব জীবনকে পরকালিন জীবনের চেয়ে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
যারা উন্নত বিশ্বের বিশেষ করে পশ্চিমাদের এই অবাধ চাল-চলন দেখে মোহে বিভোর হয়ে যায় তারা বুঝতে পারে না এর পরিণাম কত ভয়াবহ!
মহান আল্লাহ্ বলেন,
"দেশে-বিদেশে কাফেরদের অবাধ চাল-চলন যেন তোমাদিগকে ধোঁকায় না ফেলে।
এটা হলো সামান্য প্রাপ্তি-এরপর তাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম। কতই নিকৃষ্ট সে স্থান, অতি নিকৃষ্ট সে অবস্থান। কিন্তু যারা ভয় করে নিজেদের পালনকর্তাকে তাদের জন্যে রয়েছে জান্নাত যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে প্রস্রবণ। তাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে সদা আপ্যায়ন চলতে থাকবে। আর যা আল্লাহর নিকট রয়েছে, তা সৎকর্মশীলদের জন্যে একান্তই উত্তম।
(সুরা আলে ইমরানঃ ১৯৬-১৯৮)
"পার্থিব জীবনের উপর কাফেরদিগকে উম্মত্ত করে দেয়া হয়েছে। আর তারা ঈমানদারদের প্রতি লক্ষ্য করে হাসাহাসি করে। পক্ষান্তরে যারা পরহেযগার তারা সেই কাফেরদের তুলনায় কেয়ামতের দিন অত্যন্ত উচ্চমর্যাদায় থাকবে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সীমাহীন রুযী দান করেন। (সুরা বাকারাঃ ২১২)
অত্র আয়াত থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিৎ যে- এই দুনিয়ার লোভে পরে যারা অবাধ জীবন যাপন করবে তাদের পরিনাম কি হবে।
এই ভোগ-বিলাসের মায়া ত্যাগ না করতে পারার কারনেই বর্তমান সমাজের মুসলিমরা এই পার্থিব জীবনটাকে অনেক প্রাধান্য দেয়। যখন তাদেরকে আল্লাহ্র প্রতি আত্মসমর্পণের আহ্বান জানাই তখন তারা এই দুনিয়ার জীবনের অনেক দোহাই দিতে থাকে। তারা বলে, আমি না হয় আল্লাহ্র জন্য নিজের জীবনের সব ছেড়ে দিলাম কিন্তু আমার স্ত্রী-সন্তানদেরকে কে দেখবে? তাই আমার পরকালও দেখতে হবে দুনিয়াও দেখতে হবে। এই কথা বলে তারা দুনিয়ারা প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
“তোমরা ধন-সম্পদকে প্রানভরে ভালবাস।
কিন্তু এটা অনুচিত। যখন পৃথিবী চূর্ণ-বিচূর্ণ হবে এবং আপনার পালনকর্তা ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে উপস্থিত হবেন, এবং সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ উপলব্ধি করবে, কিন্তু এই উপলব্ধি তার কি কাজে আসবে? সে বলবেঃ হায়, এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু অগ্রে প্রেরণ করতাম! সেদিন তার শাস্তির মত শাস্তি কেউ দিবে না। এবং তার বন্ধনের মত বন্ধন কেউ দিবে না। (সুরা ফজরঃ ২০-২৬)
অতএব সেভাবেই জীবনটাকে পরিচালনা করুন যেভাবে সৃষ্টিকর্তা আমাদের জীবনটাকে পরিচালনা করতে বলেছেন।
নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য জীবন ব্যাবস্থা একমাত্র ইসলাম।
(সুরা আলে ইমরানঃ ১৯)
তাই আসুন নিজের মনগড়া পদ্ধতিতে জীবন পরিচালনা না করে সৃষ্টার ইচ্ছা মত জীবনটাকে পরিচালনা করি।
অতএব আসুন আমরা আল্লাহ্কে সন্তুট করে আল্লাহ্র নিকট ফিরে যাই।
মহান আল্লাহ্ বলেনঃ
“হে মানুষ! আল্লাহ্র প্রতিশ্রুতি সত্য। সুতরাং পার্থিব জীবন যেন কিছুতেই তোমাদেরকে প্রতারিত না করে এবং কোন প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই আল্লাহ সম্পর্কে তোমাদেরকে প্রবাঞ্চিত না করে। ” {ফাত্বির, আয়াত ৫}
অতএব পর্যাপ্ত পরিমানে নেকি সঙ্গে না নিয়ে আপনার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাত করিয়েন না।
এই চোখদুটো একবার বন্ধ হয়ে গেলে আর নেকি করার সুযোগ পাবেন না।
আপনি পর্যাপ্ত পরিমানে নেকি করেছেন কি???
নিজের প্রতিপালককে সন্তুষ্ট করেছেন কি?
এই পার্থিব জীবন আসলে কিছুই না। তারপরেও আমরা এই পার্থিব জীবনের মায়া ত্যাগ করব না।
আমরা এই পার্থিব জীবনকেই অধিকতর প্রাধান্য দেই। কিন্তু আমাদেরকে অবশ্যই এর মায়া ত্যাগ করতে হবে।
আল্লাহ্র আদেশকেই সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে যদি সেটা নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যায় তবুও। যদি নিজের কোন শখের বিরুদ্ধে যায় তবুও। তবেই আমরা আল্লাহ্র একজন ভাল অনুগত গোলাম হতে পারব।
মহান আল্লাহ্ বলেনঃ “হে প্রশান্ত মন, তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে। অতঃপর আমার অনুগত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।
এবং আমার জান্নাতে প্রবেশ কর। (সুরা ফজরঃ ২৭-৩০)
আল্লাহ্ তো আমাদের তার জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য আহ্বান করছেন। তারপরেও কি আমরা এই পরকালিন জীবনকে বাদ দিয়ে পার্থিব জীবনের পিছনেই পরে থাকব?
এই পার্থিব জীবনের মোহে সকলে পরকালকে ভুলে যায়।
কিন্তু এই পার্থিব জীবন আসলে কি?
পার্থিব জীবন ছলনাময় সম্পদ ছাড়া কিছুই নয়।
(সূরা আলে ইমরানঃ ১৮৫)
-------------------------
পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক ব্যতীত কিছু নয়, যারা সংযত হয় তাদের জন্য পরকালের আবাসই শ্রেষ্ঠতর।
তোমরা কি তা বোঝ না?
(সূরা আল-আন'আমঃ ৩২)
-------------------------
এই পার্থিব জীবন তো ক্রীড়া-কৌতুক ব্যতীত কিছুই নয়। পরলৌকিক জীবনই তো প্রকৃত জীবন।
(সূরা আল-আনকাবূতঃ ৬৪)
-------------------------
এই পার্থিব জীবন তো অস্থায়ী উপভোগের বস্তু এবং পরকাল হচ্ছে চিরস্থায়ী আবাস।
(সূরা আল-মু'মিনঃ ৩৯)
-------------------------
তোমরা জেনে রেখো, পার্থিব জীবন তো ক্রীড়া-কৌতুক, জাঁকজমক, পারস্পরিক গর্ববোধ ও ধন-জনে প্রাচুর্য লাভের প্রতিযোগিতা ব্যতীত আর কিছু নয়।
(সূরা আল-হাদীদঃ ২০)
-------------------------
এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে।
অতএব এদের শাস্তি লঘু হবে না এবং এরা সাহায্যও পাবে না।
(সুরা বাকারাঃ ৮৬)
-------------------------
“মানবকূলকে মোহগ্রস্ত করেছে স্ত্রী, সন্তান-সন্ততি, রাশিকৃত স্বর্ণ-রৌপ্য, চিহ্নিত ঘোড়া, গবাদি পশুরাজি এবং ক্ষেত-খামারের মত আকর্ষণীয় বস্তুসামগ্রী। এসবই হচ্ছে পার্থিব জীবনের ভোগ্য বস্তু। আল্লাহর নিকটই হলো উত্তম আশ্রয়।
বলুন, আমি কি তোমাদেরকে এসবের চাইতেও উত্তম বিষয়ের সন্ধান বলবো?-যারা আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহর নিকট তাদের জন্যে রয়েছে জান্নাত, যার তলদেশে প্রস্রবণ প্রবাহিত-তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল।
(সুরা আলে ইমরানঃ ১৪-১৫)
আল্লাহ্ সকলকে পরকালের প্রতি চিন্তাশীল হওয়ার তৌফিক দান করুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।