শিখাইয়া পিরিতি, করিল ডাকাতি, ভুলিয়া রইয়াছে আমায় সখি কি করি কি করি উপায়!
সুখে থাকতে ভুতের কিল থেকে রক্ষা পেল না কলকাতার ভোটাররা। স্বার্থপর, হিংসুটে, চটুল, মুখরা, ইলিশ লোভী, নাটুকে কতই না অভিধায় অভিসিক্ত হলেন কলকাতার নতুন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মমতা ব্যানার্জী। হাতে লেগে থাকা খাটি ঘি এর গন্ধের মত বামফ্রন্ট সরকারের সুখের দিনগুলোর গন্ধ শুকেঁই বাকী দিনগুলো কাটাতে হবে কলকাতাবাসীর। দেখা যাক আগামীবার ভোটের দৌড়ে কে জেতে কে হারে।
বাজারে খবর রটেছে উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রশ্ন করায় এক কৃষককে প্রকাশ্য জনসভা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে খোদ মুখ্য মন্ত্রীর নির্দেশে।
সাথে জুটেছে মাওবাদীর তকমা। তদন্ত ছাড়াই মুখ্যমন্ত্রী ঐ কৃষকের প্রতি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে গেলেন - "এ নিশ্চয়ই মাওবাদী"।
ক'দিন আগে টিভির লাইভ অনুষ্ঠানে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব থেকেক্রোধ নিয়ে উঠে গিয়েছিলেন মমতা। ঐ টিভি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয়ে পুলিশী খোজ-খবর নেয়াও শুরু করা হয়েছিল। এইবার আবার প্রশ্ন করার অপরাধে (?) রাজ্যের একজন সাধারন কৃষককে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে দুই দফা গ্রেফতার করা হলো।
বিস্তারিত খবরঃ
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক জনসভায় প্রশ্ন করে ভালো বিপদে পড়েছেন রাজ্যের এক কৃষক। রাজ্যের কৃষকদের কল্যাণে মমতার সরকার কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চাওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খবর এনডিটিভির।
গত বুধবার এক সময়কার মাওবাদী অধ্যুষিত পশ্চিম মেদিনিপুরের বেলপাহাড়িতে জনসভায় বক্তব্য রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য শেষে সমবেত জনতার উদ্দেশে মমতা জিজ্ঞেস করেন তাদের কোনো প্রশ্ন আছে কি-না।
প্রতি সমাবেশেই জনতার কাছে মমতা এ রকম আহ্বান জানান।
এ সময় শিলাদিত্য চৌধুরী (৪০) নামে ওই কৃষক জিজ্ঞেস করেন, 'আপনি কৃষকদের জন্য কি করছেন? অর্থের অভাবে কৃষকরা মারা যাচ্ছেন। খালি প্রতিশ্রুতিতে কোনো কাজ হয় না। ' শিলাদিত্যের এ প্রশ্নে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মমতা। বিস্মিত ও রাগান্বিত মমতা এ সময় বলেন, 'লোকটি নিশ্চয়ই মাওবাদী।
' পুলিশ তখনই শিলাদিত্যকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সেদিনই ছেড়ে দেওয়া হলেও শুক্রবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে ফের গ্রেফতার করা হয় তাকে। এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা পণ্ড করার চেষ্টা করছিলেন। শিলাদিত্যের বাড়ি বেলপাহাড়িতে।
দৈনিক সমকাল
সমালোচনা তো দূরে থাক সাধারণ মানুষ, কৃষক, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্ন সহ্য করতে পারে না যে ব্যাক্তি সে ব্যাক্তি গলায় হিরক রাণী উপাধী যদি রাজ্যবাসী ঝুলিয়ে দেয় তাহলে কি তাদের বেশী দোষ দেয়া যাবে?
পরমত অসহিষ্ণু, সমালোচনায় ক্রোধান্ধ হওয়া এই মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে পশ্চিমবঙ্গবাসী কতটা সামনে অগ্রসর হতে পারে তা সময়ই বলে দেবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।