আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অমরত্ত্ব-ধর্ম-অধর্মে,বিজ্ঞান-অবিজ্ঞানে ও বিশ্বাস-অবিশ্বাসে।(একটি অতি আধ্যাত্মিক গবেষনা মূলক পোস্ট)০৩ পর্বে সমাপ্ত।আজকে প্রথম পর্ব

আমি কখনো যায়নি জলে,কখনো ভাসিনি নীলে,কখনো রাখিনি চোখ ডানা মেলা গাঙচিলে অমরত্ত্ব -মানুষের আজন্ম অধরা এক বস্তু। পরম আরাধ্য। মানুষ মরনশীল। জন্ম নিলে মৃত্যুবরন করতেই হবে এটা নতুন কিছু নয়। মৃত্যুর শীতল ষ্পর্শ সবাইকে পেতে হবে তবুও অমরত্ত্বের পিছনে মানুষের অবিরাম ছুটে চলা।

আসলে কি অমরত্ত্ব সম্ভব? আসুন দেখি ধর্ম-অধর্মের আলোকে- ইসলাম ধর্মে বলে -কুল্লু নাফসুন জায়কাতুল মউত- মানে প্রত্যেক প্রানীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। আবার ঠিক একই ভাবে বলা হয়েছে পূনর্জীবিত করার কথা,হাশরের ময়দানে সবাইকে আবার একসাথে পুনোরুথ্থান করা হবে....................তাহলে আসুন দেখা যাক আসলে মৃত্যু টা কি? আমরা দেখতে পাচ্ছি মৃত্যুর আগে বা পরে দুই জায়গায়ই জীবন আছে ,অনুভুতি আছে তবে দুইটা দুই অবস্হায়। মৃত্যু মানে ইন্তেকাল যার শাব্দিক অর্থ ট্রান্সফার বা পরিবর্তন। আমরা মৃত্যুর মাধ্যমে আসলে একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাই। যেমন আর একটু ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলি .......।

আসলে মৃত্যু হলো ইন্টারফেজের মতো-যারা কোষ বিভাজন পড়েছেন তারা বুঝবেন কোষ বিভক্তির একটা সময়ে ইন্টারফেজ নামে একটা ধাপ আসে যা মূলত রেস্টিং ফেজ। ধরেন মৃত্যুটা এমন একটা কিছু। আগে আমাদের সত্তাটা একটা রুপে বর্তমান ছিলো । এরপর জন্মের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন একটা সাইকেল এ প্রবেশ করি আবার মৃত্যুর পর সেই জগতেই ফেরৎ যাবো। তারমানে আসলে এটাই দেখাচ্ছে যে মানুষ মাত্রই অমর .........।

আর পৃথিবীর জীবন টা তার অসীম জীবনেরই একটি অংশেরই নামান্তর। ঠিক যেমন আপনি বাড়ী থেকে বাহিরে যেয়ে আবার বাড়ীতে ফেরৎ আসেন ঠিক তেমন এখানে বাড়ী থেকে বের হওয়া হলো জন্ম আবার বাড়ীতে ফেরৎ আসা হলো মৃত্য। বাড়ীর জীবনটা হলো অসীম। জন্ম যেমন স্বাভাবিক তেমনি মৃত্যুটাও স্বাভাবিক। আল্লাহ যেমন বলেছেন যে আমাদের মৃত্যু পরবর্তী জীবন অনন্ত অসীম তেমনি এটাও বলেছেন যে পৃথিবীটা আমাদের জন্য পরীক্ষা স্বরুপ।

এর ফলাফল ভোগ করতে হবে আখিরাতে। সুতরাং এতে ও প্রমানিত হয় যে জন্ম ও মৃত্যুটা হলো আসলে আসীম জীবনের পথে দুটি পর্যায় মাত্র। মানব জীবন আসলে অসীমই...........। আবার হিন্দু শাস্ত্রেও বলা হয়ে থাকে কর্মফলের উপরে নির্ভর করে পুনর্জন্মের কথা--------মানে এখানেও জীবনের পুনরাবৃত্তি। তাহলে পূনর্জন্মটা কি? এটার সাথে কি হাশরের ময়দানের পুনরত্থানের মিল পাওয়া যা্য়না? (পরবর্তী পর্ব আগামী কাল) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।