মনে ভেতর দ্বিধা, পা বাড়াতে বাঁধা, শেকল পড়া পায়, কদিন বাঁচা যায় । বেঁচে থাকা যে দায়। দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুল, মনের আগল খোল, রক্ত আবির অঙ্গে মেখে " সূর্যস্নানে চল " কিছুদিন আগে ব্র্যাক ব্যাংকের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান " বিকাশ " এর নামে অনেক সংবাদ প্রচার হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকও ওদের কার্যক্রমকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি সংবাদ প্রচার করে।
আসলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ প্রকাশের পেছনে " বাংলানিউজ২৪.কম " এর বিশেষ অবদান রয়েছে।
কিছুদিন পূর্বে অনেক নামি প্রতিষ্ঠানের নানা রকমের অনিয়মের সংবাদ উনারা প্রচার করেছিলেন। আর এই নামি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিকাশও ছিল ।
যাই হোক। " বিকাশ অবৈধ ব্যাংকিং করছে " এরকম একটা শিরোনামে বাংলানিউজ২৪.কম সংবাদ প্রচারের পর " বাংলাদেশ ব্যাংক" বিকাশের কার্যক্রম বৈধ বলে একটি সংবাদ প্রচার করে বিভিন্ন পত্রিকায়।
ঠিক তার পর মুহূর্তে বাংলানিউজ২৪.কম আরেকটি সংবাদ প্রচার করে যার শিরোনাম ছিল " বিকাশের কাছে নতজানু বাংলাদেশ ব্যাংক! " গুগলে সার্চ দিলেই লিঙ্কটি পাওয়া যাবে।
কিন্তু লিঙ্কে ক্লিক করলে আপনি চলে যাবেন " প্রগতি সরনী থেকে সরে গেছেন পোশাক শ্রমিকরা " ।
তার অর্থ হল এই সংবাদ বাংলানিউজ২৪.কম তাদের ওয়েব থেকে সরিয়ে ফেলেছে।
আজকে আরেকটা জিনিস চোখে পড়লো।
বাংলানিউজ২৪.কম এর ওয়েবসাইটে " বিকাশের" বিজ্ঞাপন।
আসলে আমি বুঝতে পারছি না " বিকাশের " কাছে কারা নতজানু।
বাংলাদেশ ব্যাংক নাকি হলুদ সাংবাদিকতার আরেক নাম বাংলানিউজ২৪.কম ।
ইদানিং অনেকেই অভিযোগ করছেন বাংলানিউজ২৪.কম নাকি মিথ্যা সংবাদ প্রচার করছে। প্রথম দিকে অনেক নির্ভরযোগ্য সংবাদ আমরা ওদের কাছ থেকে পেলেও এখন অধিকাংশ সংবাদই মিথ্যা। আর অনেক আলোচিত সংবাদ প্রকাশ করা হয় না। করলেও কিছু সময় রেখে তা মুছে ফেলা হয়।
যেমন ঃ চিরিরবন্দরে ৩০ হিন্দু বাড়িতে আগুন।
এরকম অনেক হলুদ সাংবাদিকতার পরিচয় খুবই স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে বাংলানিউজ২৪.কম এর মধ্যে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।