পৃথিবীটা যদি একটা বিশাল নদী হয় , তবে আমি ভাববো পৃথিবীর উপর আমি একটি ভাসমান নৌকা । যার ধর্মই হচ্ছে বয়ে চলা । থ্রিজি নেটয়ার্ক নিয়ে আমাদের সবার মনেই আছে কিছু জল্পনা কল্পনা । দেশে কবে থ্রিজি চালু করা হবে , আমরা সেই আপেক্ষায়ই আছি । থ্রিজি নিয়ে আমাদের অনেক কৌতহল ।
আসুন জেনে নেই এই থ্রিজি সম্পর্কে কিছু তথ্য ঃ -
থ্রিজি প্রযুক্তিকে বলা হয় তৃতীয় প্রজন্মের তারবিহীন প্রযুক্তি। এটি পূর্বের তারবিহীন প্রযুক্তি গুলোর চেয়ে অনেক দিক থেকে উন্নত একটি প্রযুক্তি। যেমন- দ্রুত গতির তথ্য আদান প্রদান ক্ষমতা, উন্নত মাল্টিমিডিয়া সুবিধা, বিশ্বব্যপী রোমিং সুবিধা। থ্রিজি প্রযুক্তিটি মূলত ব্যবহার করা হয় মোবাইল ফোনগুলোর সাথে।
থ্রিজি কেন উন্নত প্রযুক্তি?
টু-জি অথবা টু পয়েন্ট ফাইভ জি প্রযুক্তির তুলনায় থ্রিজি প্রযুক্তি উন্নত এবং কিছু বিশেষ কারণে এগিয়ে আছে।
যেমন:
১। অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ তথ্য আদান-প্রদান ক্ষমতা
২। অডিও এবং ভিডিও হিসেবে তথ্য আদান-প্রদান সুবিধা
৩। ভিডিও কনফারেন্স সামর্থন
৪। উচ্চগতি সম্পন্ন ওয়েব এবং ওয়াপ ইন্টারনেট ব্রাউজিং
৫।
আইপিটিভি (ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিভি দেখা ইত্যাদি
থ্রিজি-র প্রাযুক্তিক পর্যবেক্ষণ:
দ্রুত গতিতে চলমান থ্রিজি প্রযুক্তি ব্যবহৃত যন্ত্রে তথ্য আদান প্রদান ক্ষমতা ১২৮ থেকে ১৪৪ কিলোবাইট পার সেকেন্ড, কম গতিতে চলমান যন্ত্রে তা ৩৮৪ কিলোবাইট পার সেকেন্ড এবং স্থির যন্ত্রে গতি ২ মেগাবাইট পার সেকেন্ড।
ডব্লিউ-সি ডি এম এ (W-CDMA), ডব্লিউ এল এ এন (WLAN) এবং সেলুলার রেডিও এরকম অন্যান্য আরো প্রযুক্তির সম্মিলিত সংস্করণ হলো থ্রিজি প্রযুক্তি।
থ্রিজি প্রযুক্তি ব্যবহারে ব্যয় কেমন?
থ্রিজি প্রযুক্তিটি খুব সাশ্রয়ী ব্যবস্থা নয় কিন্তু প্রযুক্তিটির সঠিকভাবে পরিকল্পিত ব্যবহার হলে তা সাধারণের নাগালের মধ্যে আনা সম্ভব। থ্রিজি প্রযুক্তিতে তথ্যগুলো সাধারণত ইন্টারনেটের মতো প্যাকেট আকারে চলাচল করে। থ্রিজি প্রযুক্তির ব্যয় নির্ধারণ করা হয় সাধারণত ব্যবহারকারী কত কিলোবাইট বা মেগাবাইট তথ্য (প্যাকেট আকারে) আদান-প্রদান করেছে তার উপর।
অর্থাৎ ব্যবহারকারী তথ্য আদান-প্রদান করতে (যেমন কথা বলা/ইন্টারনেট ব্রাউজ/ইন্টারনেট টিভি দেখা) যে পরিমাণ কিলোবাইট বা মেগাবাইট খরচ করেছে তার উপর নির্ধারণ করা হয় তার খরচের পরিমাণ। যেমন এর খরচের একটি উদারহণ- ব্যবহারকারীকে এক গিগাবাইট (১০২৪ মেগাবাইট) তথ্য একটি প্যাকেজ আকারে ব্যবহার করতে দেয়া হল, যার মূল্য সমান্তরাল অর্থাৎ নির্দিষ্ট এবং এর পরবর্তী ব্যবহার খরচ মিনিট হিসেবে কত মেগাবাইট ব্যবহার করা হল তার উপর নিধার্রণ করা।
আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।