আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিজাতিয়তাবাদী বাবাদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিঃ গঠনতন্ত্র ও জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন বিদ্রোহের আশঙ্কা

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। সবাই অছাত্র, চল্লিশোর্ধ শতাধিক বিবাহিত, সন্তানের বাবা গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা নেই, ত্যাগী নেতারা বাদ, বড় অঙ্কের লেনদেনের অভিযোগ: বয়সের ভারে ন্যুব্জ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি। কমিটি গঠনে মানা হয়নি গঠনতন্ত্র, তোয়াক্কা করা হয়নি কোন নিয়ম-নীতির। ত্যাগী ও পরিশ্রমী ছাত্রনেতারা বাদ পড়ে পদ পেয়েছেন পেশাদার খুনী, সরকারী চাকরিজীবী, মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ী, সংস্কারপন্থী, ব্যবসায়ী, দলের কর্মকান্ডে নিষ্ক্রিয় চল্লিশোর্ধ ও বিশেষ কিছু জেলার অছাত্ররা। কমিটিতে এদের অন্তর্ভুক্তির নেপথ্যে কয়েক কোটি টাকার বাণিজ্যের অভিযোগ করেছেন ঘোষিত কমিটিরই অনেক নেতা।

কমিটি ঘোষণার পর থেকেই তুমুল আলোচনার ঝড় বইছে দলের ভেতর-বাইরে সর্বত্র। এমতাবস্থায় সংগঠনটিকে নাম পাল্টে ‘অভিভাবক দল’ হিসেবে ঘোষণা করার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। ছাত্রদলের পাঁচ সদস্যের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়ে আকারে দাঁড়িয়েছে ২৯১ সদস্যের যা সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও নীতিবিরুদ্ধ। বড় আকারে কমিটি করার পেছনে পদ বেচাকেনায় কয়েক কোটি টাকার লেনদেনের মহাবাণিজ্য হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের একাধিক শীর্ষনেতা। এসব নিয়ে ছাত্রদলে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ।

যে কোন সময় ভয়াবহ বিদ্রোহের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অবদান রাখতে পারবে এমন ভাবনায় গড়া এ কমিটির বিদ্রোহ বিএনপির জন্য হিতে বিপরীত হয়ে দেখা দিতে পারে আশঙ্কা করছেন দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা। গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দীর্ঘ সাত মাস পর গত ১৫ এপ্রিল পূর্ণাঙ্গ করলেন ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব। বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর অনুপস্থিতিতে এ কমিটি ঘোষণা করায় ঘোষণাকারীরা অবাধ বাণিজ্য করতে পেরেছেন বলে মনে করছেন নেতৃবৃন্দ। তাদের মতে, পঞ্চাশের অধিক ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকে বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে কমিটিতে নাম অন্তর্ভুক্তি করিয়েছেন বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

কমিটি ঘোষণার সময় পরামর্শ নেয়া হয়নি পূর্বঘোষিত মূল পাঁচজনের কমিটির তিনজনেরই। এ নিয়ে ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক এস এম ওবায়দুল হক নাসির ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহসান চরম ক্ষুদ্ধ। এ কারণেই তারা কমিটি ঘোষণার পর বিএনপি কার্যালয়ে যাননি বলে জানিয়েছে একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র। এলাকার প্রাধান্য ॥ কমিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, শুধুমাত্র ছাত্রদল সভাপতির নিজ জেলা নরসিংদী থেকেই ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে শীর্ষপদ পেয়েছেন নয়জন। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই রয়েছে নানা অভিযোগ।

পাশাপাশি এদের মধ্যে ছাত্রদল থেকে চার বছর বহিষ্কার থাকা ও এক-এগারোর সময় বিতর্কিত আকরামুল হাসান পেয়েছেন যুগ্মসম্পাদক পদ। মাদকসেবী ও সংস্কারপন্থী হিসেবে সুপরিচিত এবং বর্তমানে নিষ্ক্রিয়দের মধ্যে নুরুজ্জামান লিংকন পেয়েছেন যুগ্মসম্পাদক পদ, সেলিনা সুলতানা নিশিতা, রাকিবুল ইসলাম রয়েল হয়েছেন সহসাধারণ সম্পাদক, ইমরান হোসেন ভূঁইয়া পেয়েছেন সহসাংগঠনিক সম্পাদক। এক সময়ের ছাত্রলীগার হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী কর্মকন্ডের অভিযোগে অভিযুক্ত বায়োজিদ আরেফিন হয়েছেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। এছাড়াও ৪৬ বছর বয়সী ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ের বাবা এবিএম পারভেজ রেজা পেয়েছেন সহসভাপতি পদ। আলোচিত হাসু হত্যা মামলার আসামি আহসান হাবীব প্রান্তও একই পদ পেয়েছেন।

ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর নার্গিসের বিরুদ্ধে রয়েছে অনৈতিক কর্মকন্ডের নানা অভিযোগ। আর্থিক লেনদেন ॥ বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রির সবচেয়ে জোরালো অভিযোগ খোদ সভাপতির বিরুদ্ধে। সংগঠন থেকে বহিষ্কার থাকার পরও সভাপতিকে ‘খুশি’ করে নরসিংদী নিবাসী আকরামুল হাসান বাগিয়ে নিয়েছেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদটি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাবেক এক সম্পাদকের মাধ্যমে আকরামুল হাসান টাকা লেনদেন করেছেন, এমন অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সেই সম্পাদক নিজেই ভাল পদ পাননি।

মাগুরা জেলার এ নেতা নবগঠিত কমিটির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমার বাড়ি বিশেষ এলাকায় হলে আমিও ভাল পদ পেতাম। ’ এছাড়াও অর্থের বিনিময়ে পদ পেয়েছেন এমন অভিযোগে অভিযুক্তরা হলেন, সহসভাপতি পদে বরিশালের গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লব, সিলেটের আব্দুল আহাদ খান জামাল, চট্টগ্রামের মনজুরুল আলম মঞ্জু। যুগ্ম সম্পাদক পদে এম কামরুজ্জামান, সহসম্পাদক পদে চট্টগ্রাম মহানগরের এস এম সালাউদ্দিন, সোয়েব খন্দকার, আব্দুল হান্নান মিয়া, খুলনার মাসুদ পারভেজ বাবু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক পদে জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, মাহবুব কাদির, সাফায়েত হোসেন রিপন, জাকির হোসেন খান, দফতর সম্পাদক পদে নাজমুল হাসান, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মামুন বিল্লাহ। ‘বিশ্বাসঘাতক’দের পুনর্বাসন ॥ এক-এগারোর সময় বিতর্কিত এবং বিএনপি-তারেক রহমানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে অভিযুক্তদের মধ্যে পদ পেয়েছেন সহসভাপতি আসাদুজ্জামান পলাশ, তরুণ দে ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী মোক্তার হোসেন, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক শামসুল আলম রানা। গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন ॥ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসংখ্যা হওয়ার কথা ১০১।

কিন্তু গঠনতন্ত্র ভেঙ্গে কমিটি করা হয়েছে ২৯১ সদস্যের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরাই কেবল জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য হতে পারবেন- এমন কথা গঠনতন্ত্রে উল্লেখ থাকলেও বিশাল কমিটিতে একজনও নিয়মিত ছাত্র নন। শতাধিক বিবাহিত নেতা রয়েছেন, যাঁদের সন্তানরা স্কুলছাত্র ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রদলের সদস্য হওয়ার যোগ্য। সরকারী চাকরিরত আছেন কমিটির সহ-স্কুল বিষয়ক সম্পাদক আদনান আলম বাবু। এসব বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র মধুর ক্যান্টিনে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।

সেখানকার অনেকের ভাষ্য, ছাত্রদলের নাম পাল্টে ‘অভিভাবক দল’ বা "বাবা দল" ঘোষণা করা হোক। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ১২ সহসভাপতি থাকার কথা থাকলেও বর্তমান কমিটিতে সহসভাপতি করা হয়েছে ৩১ জনকে। তাদের প্রত্যেকের বয়স চল্লিশের ওপরে এবং সবাই বিবাহিত। সবাই ’৯০ থেকে ’৯৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এক যুগেরও বেশি সময় আগে তাঁদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে।

এসব নেতার অনেকের ছেলেমেয়েই এখন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গঠনতন্ত্রে দু’টি যুগ্মসাধারণ সম্পাদকের পদ থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কমিটির বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ২১ জন। এরা সবাই ’৯৬ থেকে ’৯৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এবং কারোরই ছাত্রত্ব নেই। এঁদের সবার বয়স এখন ৩৫ থেকে ৪০-এর মধ্যে, সবাই বিবাহিত।

একইভাবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পাঁচ সহসাধারণ সম্পাদকের পদ থাকলেও করা হয়েছে ৩৪ জনকে। এরা ’৯৭ ও ’৯৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন, বয়স ৩২ থেকে ৩৩। কারুরই এখন ছাত্রত্ব নেই। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাত সহসাংগঠনিক সম্পাদক থাকার কথা থাকলেও আছেন ৩৯ জন। তাছাড়া বিভিন্ন সম্পাদকীয় পদ যারা পেয়েছেন, তাদেরও বয়স ৩০-এর ওপর।

২৯১ সদস্যের কমিটির কমপক্ষে ১৫০ জন বিবাহিত এবং এর মধ্যে ১০০ জনের সন্তানরা স্কুলে যায়। খোদ ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে বিশ বছর আগে। সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদের বয়সও চল্লিশোর্ধ। মাধ্যমিকে পড়া তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। সহসভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদও চল্লিশোর্ধ।

জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন ॥ কমিটি গঠনে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে, ১৫ জনকে ডিঙ্গিয়ে প্রথম যুগ্মসাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে আকরামুল হাসানকে, যিনি এর আগে কখনই কেন্দ্রীয় কমিটির কোন পদে ছিলেন না। এ নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। একইভাবে সহসভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহসাধারণ সম্পাদক করার ক্ষেত্রেও জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিজেদের লোকদের ভাল পদ দিতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ছাত্রনেতা।

বিদ্রোহের আশঙ্কা ॥ কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, গত কয়েক বছরে ছাত্রদলে যেসব উপদল হয়েছিল তাদের সবাইকে খুশি করতে তাদের পদ দেয়া হয়েছে। তাই নিয়মিত ছাত্রদের বদলে বিবাহিত, সন্তানের জনক, ঠিকাদার, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন মামলার আসামি এমন লোকজনই পদ পেয়েছেন। নির্বাচন সামনে রেখে রাজপথ সক্রিয় রাখতেই এমন কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শীর্ষস্থানীয় নেতারা। কিন্তু বিষয়টি মূল সংগঠন বিএনপি এবং ছাত্রদল দুইয়ের জন্যই হিতে বিপরীত হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। মঙ্গলবার রাতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে পদবঞ্চিত ও পদ পেয়েছেন এমন নেতাদের দু’গ্রপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত আটটায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এ সময় কেন্দ্রীয় নেতারা অনেকে তাদের বাধা ও ধাওয়া দিলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এর আগে দিনের বেলা বিএনপির পল্টন কার্যালয়ের সামনে পদবঞ্চিতদের কেউ কেউ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়। জেষ্ঠ্যতা লঙ্ঘন ও এসব গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিদ্রোহ ও সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন। সভাপতির বক্তব্য ॥ এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদল সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল বলেন, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, মেধা, তারুণ্য, দলীয় আনুগত্য এ সমস্ত বিষয় বিবেচনা করে কমিটি করা হয়েছে।

শিক্ষাঙ্গনগুলোতে যেন তারা সঠিকভাবে তাদের রাজনৈতিক কর্মকা- পরিচালনা করতে পারে সেদিকটাও দেখা হয়েছে। তাছাড়া বিবেচনায় রাখা হয়েছে পরবর্তী সব রাজনৈতিক কর্মসূচীকে। এ সময় যেন তারা রাজপথে থাকতে পারে, সে বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। তিনি এ কমিটিকে নিয়ে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচী সফলভাবে পরিচালনা করার আশাবাদ প্রকাশ করেন। আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, এ সবের কোন ভিত্তি নেই।

কেউ যদি কোন লিখিত অভিযোগ কিংবা কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারে তবে আমার কাছে নিয়ে আসবেন, কে অনিয়ম করেছে তা দেখে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। (গাধাও জানে ডকুমেন্ট নাই) সুত্র  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।