শানিত কর সংস্কৃতির চেতনায়
যারা অভদ্র তারা এখানে বসবেন। আমি বলছি যারা অভদ্র তারাই এই পোস্টে ঢুকবেন। তবে অভদ্র হয়ে যাওয়ার ভয়ে কেউ যদি না ঢোকেন তাতে আপত্তি নাই। অন্যদিক ভদ্র হয়েও যদি কেউ ঢোকেন তাতেও আপত্তি নাই।
এবার মূল গল্পে আসি।
গল্পটা আমার এক আত্মীয়ের কাছে শোনা। তিনি অনেক বৃদ্ধ ছিলেন। অনেকটা গল্প দাদুর মতই বলেছিলেন। বছর চারেক আগে তিনিও মারা গেছেন। তার গল্পটা ছিল এরকম-
কোন একটি গ্রামে ভদ্র পরিবার বলে একটি স্বচ্ছল ও প্রভাবশালী বংশীয় লোকেরা থাকত।
মানে তাদের নামের শেষে ভদ্র ব্যবহার করা হত বংশ হিসেবে। এখনও আছে। (অসীম ভদ্র নামে বিখ্যাত এক লোক আছে অনেকে চিনতে পারেন। ) প্রভাবশালী হওয়ার কারণে তারা একটু ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের কার্যাবলীতে অভ্যস্থ ছিল। (এখানে আমি ছাত্রলীগ লিখলাম না কারণ শিবির ছাত্রদল ক্ষমতায় নেই বলে অনেক কিছু করতে পারছে না।
সবাই তৈরী থাকুন শীগগীরই আসছে) গ্রামের যে প্রান্তে বাজার ছিল যেটা দুই গ্রামের মাঝামাঝি কোন জায়গায়। অন্যগ্রামের লোকেরা ভদ্র বংশীয়দের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিল। তারা প্রায়ই মারামারি কাটাকাটি করত। যা বাজারে গিয়েও ঠেকত। বাজারে ব্যবসায়ীরা এতে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হত।
কারণ কোথাও বসতে গেলে বংশীয় মর্যাদায় হানিকর ভেবে মারামারি শুরু করে দিত। তাই তারা একটি ব্যবস্থা নিল। দুই গ্রামের লোকদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা করল। মানে যারা ভদ্র বংশীয় নন তারা এখানে বসবে অন্যরা আরেক স্থানে।
আমার ওই পরিচিত সেই বাজারে গিয়েছেন একদিন।
গিয়ে দেখেন সাইন বোর্ডে লেখা অভদ্রদের জন্য সংরক্ষিত। এখানে অভদ্ররা বসবেন। তিনি ভাবলেন হয়ত নিচু বংশের কোন কিছু বোঝানো জন্য এমন লিখেছে। তাই তিনি অভদ্রদের স্থানে না বসে ভদ্রদের স্থানে বসলেন। কিছুক্ষণ পরে ভদ্র বংশীয় কোন নেতা গোছের কেউ হাজির।
এসে দেখলেন ভদ্র নয় এমন লোক তাদের স্থানে বসেছে। মারামারি শুরু হওয়ার কারবার। আগন্তুক কিছুই বুঝতে না পেরে বলল আমাকে কি অভদ্র মনে হয় আপনাদের। ব্যবসায়ীর হস্তক্ষেপে পরে বোঝাগেল ঘটনাটা। আগন্তক বাইরের লোক।
ভদ্র নন অভদ্র নন। তাই তাকে ক্ষমা করে দেওয়া যাক।
বাংলাদেশ এখন অভদ্রদের জন্য সংরক্ষিত। এখানে ভদ্র কেউ বসতে পারবে না। দেশের প্রায় সব লোকই মনে করেন কে আপনার কাছে প্রিয় নেতা, খালেদা না হাসিনা? জয় না তারেক?
চার সিটি কর্পোরেশনে জনগণ ঠিক কাজ করেছে।
শুয়োর হটিয়ে জানোয়ার এসেছে। এই ছাত্রলীগ থাকবে না। আবার দেখব খামারুদের বিকৃত উল্লাস। মানুষ হত্যা করে উল্লাস করে যারা তারাও নাকি যোগ্য নেতা। পার্থ নামে এক আধুনিক ভদ্র সংসদে গতকাল বক্তৃতা দিয়েছে তারেক বিমান বন্দরে নামার পর বুঝতে পারবেন কত লোক তাকে চায়।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছে আন্দালিব পার্থ ভদ্র। তারা বাবা নাজিউর রহমান মঞ্জুকে সবাই চেনে। কত ভদ্র মানুষের পোলা। এই তারেক ড্যান্ডি ডাইয়িংয়ের মাধ্যমে প্রায় শত কোটি লুট করেছিলেন। আদালত সমন দেওয়ার সময় তার আইনজীবী গত দুই মাস আগে বললেন, তারেক ওই ঋণ নিয়েছিল তবে তার কোম্পানির বিক্রি করে দিয়েছে।
এখন বর্তমান যিনি মালিক সে পরিশোধ করবে। কার কাছে তারেক বিক্রি করেছিল? সাইদ ইস্কান্দারের কাছে। কি চমেত্কার। যা আছে সব খামু আমি আর মামু।
আসলে মনে হয় পার্থরা ভদ্র, তারেক, আরাফাত, জয়, সেলিম, মাহি বি চৌধুরী এরাই ভদ্র।
ভদ্র হচ্ছে জানোয়ার শিবির, ছাত্রদল, ছাত্রলীগ। সব ভদ্র। আমরা সব অভদ্র। আরও ভদ্র আছে। পাপিয়া, রানু, শাম্মি, হিরা এরাও ভদ্র।
বাংলাদেশ এখন ভদ্রদের স্থান। এখানে কোন অভদ্ররা বসবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।