আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রেম যখন সহকর্মীর সাথে

আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ... জীবন চলার পথে অসংখ্য মানুষের সাথে দেখা হয় আমাদের। কেউ হয় ক্ষণিকের সঙ্গী, কেউ হয়ে ওঠে বন্ধু আবার কেউ হয়ে ওঠে অতি আপনজন, ভালবাসার মানুষ! আপনি আপনার মনের মানুষটিকে পেয়ে যেতে পারেন যেকোনো জায়গায়। পাশাপাশি অবস্থানের ফলেও গড়ে উঠতে পারে প্রেমের সম্পর্ক। যেমন অফিসে। কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘদিন একসাথে কাজ করার ফলে গড়ে উঠতে পারে সুসম্পর্ক এবং সেখান থেকেই হয়ে যেতে প্রেমের সম্পর্ক।

স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুর সাথে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠা যেমন স্বাভাবিক ব্যাপার, তেমনি কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর সাথেও গড়ে উঠতে পারে মনের সম্পর্ক। ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রভাব কর্মক্ষেত্রে : সহকর্মীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে প্রথমেই মনে রাখা উচিত, তা যেন কোনোভাবেই আপনার কর্মক্ষেত্রে, কাজের ওপরে কোনো নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে। তাহলে কোনো না কোনো সময়ে এই সুন্দর সম্পর্কটিই আপনার উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। একই সাথে অফিসে আপনার ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হবে। প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব : সহকর্মীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও কাজের ক্ষেত্রে পরস্পরের প্রতি প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব থাকবেই! কিন্তু তা যেন হয় সুস্থ প্রতিযোগিতা।

খেয়াল রাখুন যাতে এই মনোভাব ব্যক্তিত্বের সংঘাতে রূপ না নেয়! কারণ একজন আরেকজনকে টপকে যাবার মানসিকতা থাকলে সম্পর্কে অবশ্যই সমস্যা দেখা দেবে। অন্যান্য সহকর্মীর প্রতিক্রিয়া : সম্পর্কের কথা অফিসে জানাজানি হবার পর একেক সহকর্মী একেক ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, এটাই স্বাভাবিক। অনেক ধরনের মন্তব্য শোনা যাবে আপনাদের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে। ইতিবাচক মন্তব্যের পাশাপাশি অনেকে নেতিবাচক মন্তব্যও করবেন। সব ধরনের কথা শোনার মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে।

এসব কথা যেন কোনোক্রমেই আপনাদের সম্পর্কে আঁচ না ফেলে সেদিকে খেয়াল রাখুন। মুখরোচক এসব গসিপে কান দিলে বরং আপনার প্রিয় মানুষের আস্থা হারিয়ে ফেলতে পারেন। যে যেমন কথাই বলুক না কেন, এমন কোনো আচরণ করবেন না যাতে অন্যদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়। আচরণে সংযত : প্রেম-ভালবাসা চরম আবেগী একটি ব্যাপার। এর বহিঃপ্রকাশও হয় লাগামছাড়া, অসংযত আবেগে।

কিন্তু কর্মক্ষেত্রে এমন কোনো আচরণ করা উচিত হবে না যা দৃষ্টিকটু। এতে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ যেমন নষ্ট হবে, তেমনি বিব্রতকর পরিস্থিতিও সৃষ্টি হতে পারে। কাজের গতি : আপনাদের সম্পর্ক যেন কোনোভাবেই কাজের গতিতে ব্যাঘাত না ঘটায় সেদিকে নজর দিন। ব্যক্তিগত কারণে কর্মক্ষেত্র যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা আপনার দায়িত্বের ভেতরেই পড়ে। অনেক সময় মনোমালিন্য বা ঝগড়া হলে তার নেতিবাচক প্রভাব কাজের ওপরে পড়ে।

এটা কোনোভাবেই উচিত হবে না। আপনাদের সম্পর্কের ব্যাপারটি যেহেতু সবাই জানে, তাই এমন ব্যাপার আপনার জন্য অসম্মানজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। কাউকে ভালবাসা বা কারো সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলা মোটেও খারাপ কিছু নয়। তবে সব জায়গায় তার প্রকাশ ঘটানো খুব একটা ভালো দেখায় না, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে! আর তাছাড়া উন্নতি করতে হলে ব্যক্তিগত জীবন এবং পেশাগত জীবন আলাদা রাখাই শ্রেয়। তাই আপনার মনের মানুষটিকে ভালবাসুন, তবে তার প্রকাশ করুন একটু রয়েসয়ে! লেখা: http://www.priyo.com/2013/06/18/21452.html ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.