আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মৌটুসীর বিচ্ছুরিত আলোয় ...

মনের চেয়ে বড় মসজিদ, মন্দির নেই 'থম ধরানো নিঃসঙ্গতা কেমন যেন/বাগানের মৌটুসী পাখি দুর্নিবার আকর্ষণে/ফুলটাকে ছুঁয়ে চলে যাওয়ার পর/বিষণ্নতা যেমন হয় তেমন'_ সত্যিই মৌটুসী পাখি দেখতে অনেক সুন্দর। তার মধ্যে যেন এক অন্যরকম সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। আমাদের অভিনয় জগতেও রয়েছে এমন এক মৌটুসী, যার সঙ্গে সামনাসামনি কথা বললে যে কারোরই তার প্রতি মুগ্ধতা বেড়ে যাবে। তিনি হচ্ছেন বর্তমান সময়ের ছোট পর্দার অন্যতম অভিনেত্রী মৌটুসী বিশ্বাস। তার সরল সুন্দর গুছিয়ে কথা বলায় যে কেউ আকৃষ্ট হবেন।

খুলনার মেয়ে মৌটুসী বিশ্বাসের জন্ম, বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। বাবা সৌরেন বিশ্বাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যক্ষ। মা মঞ্জু দত্তও একসময়ে বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। মা-বাবার একমাত্র মেয়ে মৌটুসী বিশ্বাসের হঠাৎ করেই মিডিয়াতে আবির্ভাব ঘটে। মিডিয়াতে আসা প্রসঙ্গে মৌটুসী বলেন, 'চট্টগ্রামে অবস্থিত বিজ্ঞাপন নির্মাতা এজাজ মাহমুদের মাধ্যমে আফজাল হোসেনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।

তিনি মার্কস ফুলক্রিম মিল্ক পাউডারের বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে আমাকে নির্বাচন করেন। ১৯৯৭ সালে এ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেই আমার প্রথম মিডিয়াতে যুক্ত হওয়া। বিজ্ঞাপনটির মাধ্যমে পরে আফজাল হোসেনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তিনি আহির আলম অ্যাডভেঞ্চার বাংলাদেশ নামে একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করেন। এরপর আহির আলম তার পরিচালিত একটি নাটকে অভিনয়ের কথা বললেও তা আর করা হয়নি।

অবশেষে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর একান্নবর্তী নাটকের পলা চরিত্রে অভিনয় করি। এ নাটকে অভিনয় ছিল আমার জীবনের একটি টার্নিং পয়েন্ট। ' একান্নবর্তী নাটকের সেই পলা চরিত্রটি অনেক দর্শকের মনই জয় করেছিল। আর এ নাটকে অভিনয় দেখে সবাই যখন মুগ্ধ, তাকে নিয়ে নানামুখী চিন্তা-ভাবনা করছেন ঠিক তখনই আবার মিডিয়া থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এ যেন বিদ্যুৎ চমকের মতো ঘটনা।

বিদ্যুৎ যেমন হঠাৎ করে আলোর বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে নিমিষেই মিলিয়ে যায়, মৌটুসীও যেন অনেকটা তেমন। তবে মৌটুসী তার এ হারিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, 'বিয়ের পর স্বামী পলাশ দাসের চাকরিসূত্রে কিছুদিন তার সঙ্গে আমাকেও দিলি্লতে থাকতে হয়। ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে দিলি্ল চলে যাই। ফিরে আসি ২০০৮-এর ডিসেম্বর মাসে। এই এক বছর দিলি্লতে থাকলেও মন পড়ে থাকত সবসময় বাংলাদেশের মাটিতে।

' এক বছরের বিরতি শেষে আবার তিনি অভিনয় জগতে ফিরে আসেন। শুরু হয় তার অভিনয় জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়। ফারিয়া হোসেনের রচনা ও চয়নিকা চৌধুরীর পরিচালনায় নির্মিত তোমার অপেক্ষায় নাটকের মাধ্যমে তিনি ফের অভিনয় শুরু করেন। নাটকে তার সহশিল্পী ছিলেন অপূর্ব। দীর্ঘদিন পরে আবার নতুন করে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর অনুভূতি প্রসঙ্গে মৌটুসী বলেন, 'মাঝে এক বছরের বিরতি শেষে আবার ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে কিছুটা ভয় এবং সংকোচ কাজ করছিল।

তবে চয়নিকা চৌধুরী ও অপূর্বর সহযোগিতায় সে সংকোচ কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। ' তোমার অপেক্ষায় নাটকের পর মৌটুসী অভিনয় করেন ধারাবাহিক নাটক মামুলি একটা মানুষ চন্দ্রমগ্ন। হুমায়ূন আহমেদের রচনা ও অরুণ চৌধুরীর পরিচালনায় নির্মিত রুমালী এবং আবুল হায়াতের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত সুন্দরপুর কতদূর ধারাবাহিক নাটক দুটিতে অভিনয় করেন মৌটুসী। এ ছাড়া প্রায় তিন বছর পর একটি নামি কোম্পানির বিজ্ঞাপনের মডেল হন তিনি। মৌটুসী বর্তমানে রাফায়েল আহসানের পরিচালনায় ৬৯ পাতলা খান লেন চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন।

এ চলচ্চিত্রে তার সহশিল্পী ফেরদৌস। দ্বিতীয়বারের মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় প্রসঙ্গে মৌটুসী বলেন, 'ব্যাচেলর চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আমি বড় পর্দায় অভিনয় শুরু করি । এটি আমার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। ইতিমধ্যে চলচ্চিত্রটির প্রায় সত্তর ভাগ শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। পরিচালকের ইচ্ছা আগামী পহেলা বৈশাখে ছবিটি মুক্তি দেবেন।

মাঝে পায়ের লিগম্যান্টে ব্যথার কারণে কয়েকদিন বিশ্রামে ছিলাম। ছবির পরবর্তী অংশের শুটিং শিগগিরই শুরু হবে। ' ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.