আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অপরধ এবং অপরাধী নিয়ন্ত্রনে মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগ হতে যাচ্ছে অত্যাধুনিক যন্ত্র। ব্যটা চোর এইবার লাওঠেলা

মাত্রাতিরিক্ত রকমের জ্ঞেয়ানী জনেরা আমার ব্লগের উটকো অতিথি বলে বিবেচিত হবে। বাসা, অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বীমা, জুয়েলারি দোকান বা যেকোন জায়গা বা প্রতিষ্ঠানের সুরাক্ষা দিতে ডিএমপির পক্ষ থকে এক অভিনব প্রযুক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থার সাথে পরিচিত হতে যাচ্ছে ঢাকাবাসী জনগন। অপরাধী ধরতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগ হতে যাচ্ছে অত্যাধুনিক যন্ত্র। এই যন্ত্রের রয়েছে বিবিধ ব্যবহার; এ যন্ত্রের মাধ্যমে কোনো বাড়িতে চুরি-ডাকাতি বা আগুন লাগলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে জানতে পারবে পুলিশ কন্ট্রোল রুম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমপির ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তার নিকট থেকে জানা যায় যে, এই যন্ত্র ডিএমপির কন্ট্রোল রুমে ইতিমধ্যে বসানোর কাজ চলছে এবং খুব শিগিগরই ডিএমপি এলাকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ তথা অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পর অপরাধী সনাক্তকরন ও দ্রুত গ্রেফতার করতে এই অত্যাধুনিক ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায় যে, পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোতে অনেক আগে থেকেই এ ধরনের সিকিউরিটি সিস্টেম সংশ্লিষ্ট থানা এলাকার সাথে সমন্বয় করে কাজ করছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ফ্রান্স, বেলজিয়াম সহ অনেক উন্নত দেশের সাধারন জনগন এই প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের আভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধনে সমর্থ হয়েছে। বর্তমানে জার্মানের প্রযুক্তির 'ওয়াচম্যান ইন্টিলিজেন্ট সিকিউরিটি সিস্টেম' নামের এ যন্ত্রটি বাংলাদেশে প্রথবারের মতো নিয়ে আসা হয়েছে। এটি দেশে আমদানি করেছে ইজি গ্রুপ। আগামী ১৭ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যন্ত্রটি উদ্বোধন করবেন বলে ইজি গ্রুপের মার্কেটিং ম্যানেজার মিনহাজুল ইসলাম সিদ্দিকের নিকট থেকে জানা যায়।

ঐ কর্মকর্তা আরো জানান, উদ্বোধনের পর থেকেই এই সিস্টেম কাজ শুরু করবে। যাঁরা এই সিস্টেম বাসা বা প্রতিষ্ঠানে লাগাবেন তাঁরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে থাকতে পারবেন। সিস্টেমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এই সিস্টেমের মাধ্যমে চুরি-ডাকাতি সহজে রোধ করা যাবে। যেসব ভবনে এই সিস্টেম ব্যবহার করা হবে সেখানে চোর-ডাকাত ঢোকার মুহূর্তে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবাদ চলে আসবে। এমনকি ডিভাইসের মাধ্যমে চোর বা ডাকাতের ছবিও চলে আসবে কন্ট্রোল রুমে।

ফলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হবে। যেভাবে কাজ করবে এই সিস্টেম : চোর-ডাকাত যদি দরজা খোলে, কোনো গ্লাস ভাঙে বা কোথাও আগুন লাগলে এ সিস্টেমের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুলিশ খবর পেয়ে যাবে। সিস্টেমটির নাম দেওয়া হয়েছে 'ওয়াচম্যান ইন্টিলিজেন্ট সিকিউরিটি সিস্টেম'। এর মাধ্যমে বাড়ি, দোকান, গুদাম বা অফিসের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। যে বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে এই সিস্টেম বসানো হবে সেখানে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি প্রবেশ করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ওয়াচম্যান ওই সময়ই বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকের মোবাইল ফোনে ছবিসংবলিত ম্যাসেজ পাঠিয়ে দেবে।

শুধু মালিকের মোবাইলই নয়, ওই সিস্টেমে মোট ১০টি মোবাইল নম্বরে ম্যাজেস পাঠাতে পারবে সিস্টেমটি। কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক বিদেশে অবস্থান করলেও ম্যাসেজের মাধ্যমে এই খবর জেনে যাবেন তিনি। শুধু ছবিই নয়, ওই বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানে অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তি কারো সঙ্গে কী কথা বলছে তাও তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শুনতে পাওয়া যাবে। এ সিস্টেমের মাধ্যমে মোবাইল ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের মালিক বা অনুমোদিত ব্যক্তির ই-মেইল ঠিকানায়ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ম্যাসেজ পৌঁছে যাবে। এ ছাড়া এই সিস্টেমের মাঝে আছে ইমার্জেন্সি পেনিক বাটন।

এটি দিয়ে বিপদের সময় কারো সাহায্য চাইলে আগে থেকে সেট করে রাখা মোবাইল নম্বরে বাটন চাপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপদ সংকেত চলে যাবে। এমনকি ওই ঘরে যদি আগুন লাগে তাহলে মোবাইলে ছবি ও অ্যালার্ম পাওয়া যাবে, যা দেখে বাড়ির মালিক দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবেন। ইজি গ্রুপের মার্কেটিং ম্যানেজার জানান, একেকটি প্রধান ডিভাইসের দাম ৪৫ হাজার টাকা। এই ডিভাইসের মাধ্যমে ছবি তোলা, ম্যাসেজ পাঠানোসহ সব কাজই করা যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কোনো বাড়িতে যদি পাঁচটি রুম থাকে তাহলে যে রুমটিকে বেশি অনিরাপদ মনে হবে সেটিতে প্রধান ডিভাইসটি লাগানো যেতে পারে।

অন্য চারটি রুমের নিরাপত্তার জন্য চার হাজার টাকা মূল্যর ডিভাইস লাগিয়ে প্রধান ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত করে দিলেই পুরো ফ্ল্যাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি কেউ দোকান বা বাড়ি তালাবদ্ধ করে চলে যান তাহলে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সিস্টেমটি অন করে যাবেন। আবার নিজে ঢোকার সময় রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সিস্টেমটি বন্ধ করে দিলে আর কাউকে ম্যাসেজ পাঠাবে না। সুত্র হইল ভালো খবর। খবরটা যদি আপনাদের কাছে সত্যি সত্যি ভালো লাগে তাইলে ফেসবুকের এই পেজে একটা লাইক দিয়া যাইয়েন।

সকলকে শুভরাত্রি। বিদ্রঃ "উকিল সাহেব" নামক মাল্টি নিকধারী ব্লগারকে োদার টাইম নাই বিধায় খামোখা আমার পোষ্টে আইসা না গ্যেজানোর জন্য অনুরোধ করা গেল।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।