সদা নিরুপায় তবুও অকুতোভয় সত্য মিথ্যার আবডালে: আমরা এখন গ্যারাকলে..।
......
.....।
শাওন বলেছে "হুমায়ুন আমাকে বলে গেছে, আমার মৃত্যুর পর তুমি নুহাশপল্লীতে দাফন কইরো। আমাকে নিয়ে ওরা টানাটানি করবে। তুমি শক্ত থেকো.. ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা।
"
তার মানে তো হুমায়ুন আহমেদ তো বুঝতে পেরেছিলেন তাকে নিয়ে টানাটানি হবে। তাহলে এই কথা তিনি অন্য কারো কাছে কেন বলে গেলেন না? এমনকি তার খুব কাছের বন্ধু মাজহারকেও না কেন!
আমার জানামতে হুমায়ুন আহমেদ তো বোকা বা নির্বোধ বা কলহপ্রিয় ছিলেন না। তাহলে লাশ নিয়ে টানাটানি হোক এটা কি তিনি চেয়েছিলেন? নাকি তরুণী শাওন মিথ্যে বলেছেন?
নাকি হুমায়ুন আহমেদ আরেকবার পরিবারকে (নুহাশ, নোভা, শীলা, বিপাশা, ড. জাফর স্যার, মা আয়েশা ফয়েজ, আহসান হাবীব) বাঁশ দিতে চেয়েছিলেন? যেমনটি করেছিলেন ২০০৫ সালে!
আমি কালকে একটা লেখায় লিখেছি - হুমায়ুনের জন্ম সার্থক, নুহাশ নোভা শীলাদের মতো সন্তানদের জন্ম দিতে পেরেছিলেন। কারণ তিনি ওদের সঙ্গে যা করেছেন তা কোন সুস্থ মানুষ মেনে নেবে না। আমি মানবো? আমার বাবা আমারই এক বান্ধবীকে বিয়ে করে তিনটা বাচ্চারও জন্ম দিয়েছেন!
আমি আমার বাবাকে শ্রদ্ধার আসনে রাখতে পারবো? কোনদিন তাকে আর বিশ্বাস করতে পারবো?
আর শাওন তো মা হতেই পারেননি! না হয় একসময় তিনি শীলার বান্ধবী ছিলেন, এখন তো তিনি তার মা হোন! যে নুহাশ, শাওনকে একসময় আপু বলে ডাকতো, এখন তো সে তাকে 'মা' বলে ডাকে।
তো শাওন শীলা, নুহাশ, নোভাদের মতো সন্তানের দিকে চিন্তা করে তাদের ইচ্ছেটাকে প্রাধান্য দিলেন না!!
হায় কীর্তিমান! হায় তোমার কর্ম।
সাহিত্যিক হুমায়ুনকে শ্রদ্ধা করলেও, ব্যক্তি হুমায়ুনকে ঘৃনা করি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।