আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কুইজঃ যুদ্ধবন্দী সমস্যা

চারজন যুদ্ধবন্দী। সবাইকে ব্রাশফায়ারে মেরে ফেলার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে বিপক্ষদলের কমান্ডার এর সামনে। হঠাৎ খেয়ালী কমান্ডারের কি মনে হলো, সে বেচে যাওয়ার একটা শেষ সুযোগ দিল যুদ্ধবন্দীদেরকে। চারজনকে দাঁড় করানো হলো একটা নিরেট দেয়ালের দুপাশে। (নীচের ছবির মত করে) খেয়াল করুনঃ • ১ নং বন্দী তার সামনে শুধু দেয়াল দেখতে পাচ্ছে।

• ২ নং বন্দী ও শুধু দেয়াল দেখতে পাচ্ছে। • ৩ নং বন্দী দেখতে পাচ্ছে ২ নং বন্দীর মাথা এবং দেয়াল। • ৪ নং বন্দী দেখতে পাচ্ছে ২ ও ৩ নং বন্দীর মাথা এবং দেয়াল। এরপর সব বন্দীর চোখ বেঁধে তাদের মাথায় একটা করে টুপি পরিয়ে দেয়া হলো। টুপির রঙ সাদা অথবা কালো (ছবির মত করে)।

তাদেরকে বলা হলো দুটি টুপি সাদা এবং দুটি টুপি কালো। তারপর চোখ খুলে দেয়া হলো যাতে প্রত্যেকে তার সামনের অংশ দেখতে পায়। বন্দীদের একজনকে বলতে হবে তার নিজের টুপির রঙ কি। সঠিকভাবে বলতে পারলে সবাই মুক্তি পাবে। নিয়মাবলীঃ ১।

প্রত্যেকে শুধুমাত্র তার সামনে যা আছে তাই দেখতে পারবে। পেছনে বা পাশে তাকাতে পারবে না। ২। নির্দেশ ছাড়া কোন শব্দ উচ্চারন করা যাবেনা। ৩।

এক মিনিট পার হওয়ার পর সবাইকে একটি শব্দ উচ্চারন (প্রত্যেককে নয়, সবাই মিলে একটি) করার অনুমতি দেয়া হবে। সেই শব্দটি হবে “সাদা” অথবা “কালো”। উচ্চারনকৃত শব্দটি যদি উচ্চারনকারীর মাথার টুপির রঙ এর সাথে মিলে যায় তাহলে সব যুদ্ধবন্দীকে মুক্তি দেয়া হবে। কিন্তু যদি ভুল হয় তাহলে সবাইকে সাথে সাথে ব্রাশফায়ারে মেরে ফেলা হবে। চাইলে সবাই চুপ থাকতে পারে।

সেক্ষেত্রে আরো এক মিনিট সময় দেয়া হবে। ৪। প্রথম সুযোগ না নেয়া হলে দ্বিতীয় মিনিট পার হওয়ার পর আবার একটি শব্দ উচ্চারন করার সুযোগ দেয়া হবে। সব নিয়ম আগের বারের মত কিন্তু এবার সবাই চুপ করে থাকলে আরেকটি সুযোগ পাওয়া যাবেনা। তখন সবাইকে মরতে হবে।

৫। কোন নিয়ম কেউ না মানলে সাথে সাথে সবাইকে মেরে ফেলা হবে। আমাদের স্মার্ট যুদ্ধবন্দীরা কিন্তু এই চ্যালেঞ্জে সফল হয়ে মুক্তি পেয়েছিল কোন প্রকার ভাগ্যের সহায়তা ছাড়া শুধু বুদ্ধির জোরে। কিভাবে? কে উত্তর দিয়েছিল? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।