হুমায়ুনের মৃত্যুর পর সবাই শাওনের পিছনে লেগেছে। কেন রে ভাই? শাওনের অন্য পরিচয় যা-ই হোক, সে তো হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী। গুলতেকিন আহমেদের জন্য আমাদের সহানুভূতি থাকলে শাওনের জন্যও থাকা উচিত। সহানুভুতি থাকা উচিত শাওনের দুইটি ছোট ছোট বাচ্চার জন্য- যারা পৃথিবীর কিছু শেখার আগেই বাবাকে হারিয়েছে। হুমায়ুনের আগের পক্ষের ছেলে মেয়েদের মধ্যে কেউ-ই পিতার মত প্রতিভার অধিকারী হয়নি।
এখন দেখা যাক এই বাচ্চারা বড় হয়ে কি করে। তবে আমি ততোদিন বেঁচে থাকবো কিনা কে জানে!
হুমায়ুন বাধ্য হয়ে শাওনকে বিয়ে করেছেন, নাকি প্ররোচিত হয়ে বিয়ে করেছেন, নাকি নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছেন এটা কি আমাদের দেখার বিষয়? মানুষের ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা বললে, তাকে অসম্মান করা হয়। মেহের আফরোজ শাওন- হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী। একে অসম্মান করলে কি হুমায়ুনের সম্মান বাড়ে? ছোট ছোট বাচ্চাদুটো'র কি খারাপ লাগবে না যখন তারা জানবে যে তাদের মা'কে এভাবে নিন্দুকদের তোপের মুখে পড়তে হয়েছি?
আমি হুমায়ুন আহমেদকে শ্রদ্ধা করি জন্য তার স্ত্রী'দেরকেও শ্রদ্ধা করি। দ্যাটস অল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।