হুমায়ুন স্যারের দাফন নিয়ে যে ঘটনা গুলো ঘটছে তা সবার জানা দরকার। আশা করব আপনারা সবাই একটা মিথ্যা আবেগকে পাত্তা না দিয়ে সত্যটা জানবেন। আমি যা বলব তা একান্তই হুমায়ুন আহ্মদে স্যারের একদম কাছের একজন মানুষের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য।
প্রথম কথা হলো আপনারা সবাই শাওনের বর্তমান অবস্থ্যাকে দেখছেন...অথচ আপনারা এটা জানেন না হুমায়ুন স্যারের মায়ের অবস্থ্যাই সবচেয়ে খারাপ। উনি তার ছেলের শোকে অভিনয় করেননি...
আপনাদের এটাও জানা প্রয়োজন, শুধুমাত্র বিজনেস ক্লাসে চড়ে আসতে পারবেন্না বলে শাওন এবং তার পরিবার একদিন অপেক্ষা করেছে...অথচ জাফর ইকবাল স্যার এবং তার স্ত্রী একদিন আগেই দেশে এসেছেন।
এখানে একটা জিনিষ বুঝতে হবে জাফর ইকবাল স্যারও সরকারের দেয়া সুবিধাকে কাজে লাগাতে পারতেন...তিনি তা নেননি।
হুমায়ুন স্যার কোন জায়গাতেই লেখে জাননি তাকে নুহাশ পল্লীতে কবর দেয়া হোক...বরং প্রথম আলোতে তিনি পরিস্কার বলে গেছেন নুহাশ পল্লীকে যেন মাজার বা কবর স্থানে পরিণত না করা হয়।
হুমায়ুন স্যারের অসুস্থ্য মায়ের দাবী তার ছেলেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে দাফন করা হোক...যেন চাইলেই তিনি ছেলের কবর দেখতে যেতে পারেন...অথচ এটা সম্ভব হচ্ছেনা শাওনের ক্ষমতাশীল পরিবারের একান্ত ইচ্ছার কারনে। আজকে স্যারের দাফন হয়ে যাবার কথা ছিলো...যেটাকে জোর করে বন্ধ করে লাশ বারডেমের হিমঘরে রাখা হয়েছে। লাশের রঙ নীল হয়ে গেলেও...সেটার চাইতে এখানে ক্ষমতার জোরটাই বেশি।
জাফর ইকবাল স্যার, তার পরিবার, হুমায়ুন স্যারের মেয়ে নোভা, শীলা বা ছেলে নুহাশ...এই কথাগুলো মিডিয়াতে বলবেন না এটাই বাস্তবতা...তারা বাবা থাকতেও পায়নি। এমনকি শেষ সময়ে বাবার সাথে যোগাযোগের অন্যতম বাধা ছিলেন স্বয়ং শাওন।
এটা কোন মনগড়া গল্প নয়...হুমায়ুন স্যারের সবচেয়ে প্রিয় মেয়ের কাছ থেকেই প্রাপ্ত তথ্য। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।