হুমায়ুন আহমেদ স্যারের একমাত্র আত্মীয়, স্ত্রী, শুভাকাঙ্খী, ভক্ত, পাঠক ইত্যাদি ইত্যাদি হলেন মেহের আফরোজ শাওন। বাংলাদেশের আর কারো কোনো অধিকার নেই তাঁর প্রতি। এটাই প্রমাণিত হলো। যথেষ্ট নাটকীয়তা করলেন শাওন! নাটকে এরকম অভিনয় আগে প্রায়ই করেছেন তিনি এবার করলেন বাস্তবে।
মানুষ মরণশীল।
এটা যেমন আমি আপনি জানি তেমনি জানেন শাওন। আর সেটা আরো ভাল জানেন শাওন। তিনি এটাও জানতেন যে, খুব শীঘ্রই তিনি বিধবা হতে যাচ্ছেন। এবং সেটাই হলো। কাজেই শাওন নিশ্চয়ই একটা বড় প্ল্যান করে ফেলেছেন এর মধ্যেই।
আর এর একটা বড় অংশই হলো স্যারের কবর নুহাস পল্লীতে হওয়া। নুহাশ পল্লীকে শাওন নিজের কুক্ষিতগত করছে। করুক, তাতে কিছু এসে যায় না। হয়তো এটা তাঁর অধিকার। কিন্তু কবরটা ঢাকায় হলে অসুবিধা কি হতো? অসুবিধা কি এটাই যে, তিনি তাঁর মত প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন না?
১৯ তারিখে একটা মানুষ মারা গেলেন, আর তাঁর লাশ দাফন হলো না এখনো অর্থাৎ ২৪ তারিখ পর্যন্ত।
কেন?
হুমায়ুন স্যারের মা বেঁচে থাকাকালীন অবস্থায় স্যারের মরদেহের প্রতি কি তাঁর কোনো অধিকার থাকবে না? শাওন তো তাই চায়। আজকের পরে নিশ্চয়ই স্যারের কবরের আশেপাশে যাবার জন্য যে কাউকে শাওন ম্যাডামের অনুমতি নিতে হবে, তাই না?
আপনাকে বলে রাখছি শাওন ম্যাডাম, স্যারের কবর আমাদের অন্তরেই হবে। আপনি সেটা নুহাশ পল্লীতে দিলেও আমাদের কিছু এসে যায় না। আমরা আপনার মতো ছোটলোক নই যে একটা মানুষ মরে যাবার পরও তাঁর লাশ নিয়ে টানাটানি করতেই থাকবো। আর হ্যাঁ, ভুলে যাবেন না, প্রকৃতি সবর্দাই প্রত্যেককে তার প্রতিদান দিয়ে দেয় এই পৃথিবীতেই।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি না যে, স্যারের স্মৃতি নিয়ে আপনি সারা জীবন বেঁচে থাকবেন। কিছু দিন গেলেই আরেকটা বিবাহ করবেন। এবং আপনার মৃত্যুর পরেও আপনার লাশ নিয়ে টানাটানি হবে। আল্লাহ যেন সে দৃশ্যটা দেখানোর জন্য আমাদের বাঁচিয়ে রাখেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।