“এই নুহাশ পল্লী আমার অনেক প্রিয় স্থান। এই মাটির প্রতিটি ইঞ্চির সাথে আমার স্বপ্ন জড়িত। এটা যাতে বিক্রি না হয়। ” “এটাকে বিক্রি করা মানে আমার স্বপ্নটাকে বিক্রি করা। নুহাশ পল্লী যাতে আমার ছেলে-মেয়েদের টানা-টানি, ভাগাভাগির শিকার না হয়” “আমি চাচ্ছিলাম, আমার মৃত্যুর পর কবরটা এখনে হোক।
পরে দেখলাম, এটা কবরস্থান হয়ে যাবে। এটা কবরস্থান হওয়ার স্থান নয়। এটা তখন গুলিস্থানে পরিণত হবে। এখানে দুনিয়ার লোক আসবে। ২১ শে ফেব্রুয়ারি ফুল দেওয়ার জন্য, ১৩ নভেম্বর ফুল দেওয়ার জন্য আসবে।
এটা হয়ে যাবে একটা কবরস্থান। এটা কবরস্থান বানানো যাবে না। ”
আর এদিকে হুমায়ূন আহমেদের এ সাক্ষাতকারের বক্তব্যের ঠিক উল্টো দাবি করছেন শাওন, যা নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর শাওনের খামখেয়ালীর কারনে মরদেহ দেশে নিয়ে আসতে দেরি করা নিয়েও। শাওন তার দু’ছেলেকে নিয়ে প্লেনের ইকোনমি ক্লাশে ভ্রমন করতে রাজি না হওয়ায় প্রখ্যাত এ লেখকের মরদেহ দেশে আনতে একদিন দেরি হয়।
পরে শাওনকে রাজি করতে না পেরে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শাওন ও তার দু’সন্তানকে একদিন পরে অতিরিক্ত ২৫ হাজার ডলারের বেশি (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২০ লাখ টাকা) খরচ করে বিজনেস ক্লাশের টিকেট কেটে হুমায়ূন আহমেদের মরদেহের সাথে দেশে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়। আর এখন দেশে আসার পর মৃত্যুর কিছুদিন আগে দেয়া হুমায়ূন আহমেদের সাক্ষাতকারের ঠিক উল্টো দাবি করছেন শাওন।
এদিকে হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী শাওনের আচরণে নিউইয়র্ক প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিজনেস ক্লাস ছাড়া উড়োজাহাজে ভ্রমণ না করার কথা চাউড় হয়ে পড়েছে কমিউনিটিতে। এ ছাড়া শুক্রবার ওজোনপার্কে শাওন স্থানীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় ফিনারেল হোমে হুমায়ুন আহমেদের মরদেহের ছবি তুলতে গেছে শাওন দৈনিক প্রথম আলোর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি ইব্রাহিম খোকন চৌধুরীর হাত মুচড়ে দেন এবং ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ক্যামেরার ছবি ডিলিট করে দেন। এ ঘটনা প্রসঙ্গে খোকন বলেছেন, শাওনের আচরণ ছিল মারমুখি। নিউইয়র্ক বাংলাদেশি কমিউনিটিতে খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে, বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ জুন থেকে হুমায়ূন আহমেদের অবস্থা অবনতি হয়। এ খবর গোপন রাখা হয়। এ দিনের পর থেকে হুমায়ুন আহমেদকে কেউ যেন দেখতে না পারে, এ ব্যাপারে শাওন কঠোর ভূমিকা পালন করেন।
বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিক মিডিয়ায় হুমায়ূন আহমেদের শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর ছাপা হলেও শাওন এবং অন্য প্রকাশের প্রকাশক মজহারুল ইসলাম এ খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। কিন্তু শুক্রবার হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চারিত হয়। বিশেষ করে শাওনের আচরণ নিয়ে নিউইয়র্ক প্রবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকরকম কথা এখন ভেসে বেড়াচ্ছে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশী কমিউনিটির বাতাসে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।