পাগলাটে আজ,মন শুধু চায়,পাগল হয়ে যেতে,তোমায় কাছে পেতে.. ফ্রিল্যান্সিং হল টাকা আয়ের একটি স্বপ্নের নাম। এটি যেরকম টাকা আয়ের একটি স্বপ্নের নাম, তেমনি এটি একটি প্রতারণার ও নাম। জ্বি, প্রতারণার কথা প্রথমদিকেই আনছি কারণ ডোল্যান্সার এর মত কিছু কোম্পানি, কিছু পিটিসি সাইট বা কোম্পানি এবং কিছু ভুয়া কোচিং সেন্টার আমাদের তরুণ সমাজ কে পুরোই বিপথে ঠেলে দিয়েছে। আমরা এসেছি সে পথ কে ঠিক করে দিতে।
ফ্রিল্যান্সিং ব্যপারটা আসলে কি?
আপনি টাকা আয় করতে চান আপনার পিসি বা ল্যাপটপ এবং নেট কানেকশন দিয়ে।
কিভাবে করবেন তা ই হল ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং। যদি করতে পারেন তাহলে আপনি হলেন ফ্রিল্যান্সার।
বাংলাদেশের তরুণ সমাজের মধ্যে আছে প্রতিভা। আপনারা জানলে অনেকেই অবাক হবেন, প্রতি দিন হাজার হাজার ডলার ঘরে বসেই আয় করছে আমাদের সোনার ছেলে মেয়েরা। আমরা জানি আপনারাও পারবেন, দরকার শুধু একটু দিক-নির্দেশনা।
এ দিক নির্দেশনা কিন্তু আপনার কোন ক্ষতি করবে না, এটি আপনাকে ভুল পথে যাওয়া থেকে বাঁচাবে।
ফ্রিল্যান্সিং কি, কিভাবে করে, আয় করা যায় কিভাবে, আমিও কি পারবো আয় করতে ইত্যাদি হাজারো প্রশ্ন আছে আপনার মনে আমরা জানি। সব প্রশ্নের জবাব আপনি পেয়ে যাবেন এ ফ্রি ক্লাস টি করলে।
একজন ক্ষুদ্র ফ্রিল্যান্সারের গল্প শেয়ার করি>
আমি তখন ক্লাস ১০ এ পড়ি। একদিন একটা ব্লগে দেখলাম অনলাইন আয় নিয়ে একটা লেখা।
পড়লাম। সব কিছু ভাসাভাসা লেখা ছিল। লেখা পড়ে মনে হল লেখক নিজেই সব ভাসা ভাসা জানে। কিছু বন্ধুদের সাথে ব্যপারটা শেয়ার করলাম। অনলাইনে আয় করা যায়।
ওরা আমাকে গাধা ভাবলো।
আমি লেগে থাকলাম। আরো লেখা খুঁজতে থাকলাম। যা পেলাম না তা নিজে ঘেটে ঘেটে বের করলাম। কিছু মার্কেটপ্লেস চিনলাম।
আমি বোকা ছিলাম না, আমি মার্কেটপ্লেস গুলো ঘাটাঘাটি শুরু করলাম। স্কিল খুব কম ছিল আমার। রাইটিং পারতাম ভালই, তবে শুধু ইংলিশ লিখতে পারলেই রাইটিং এর কাজ করা যায় না। প্রয়োজন প্লাগিয়ারিজম সহ সব ব্যপারগুলো তে দক্ষতা। ২-৩ মাস পাগলের মত খাটলাম।
তখন বাংলালায়ন- কিউবি আসে নি। জিপি নেট চালাতাম, যে আমার ১ জিবি তেই হয়ে যেত মাস সেই আমি কিছুদিন পর পর ৩৫০টাকা রিচার্জ করি নেট এর জন্য। কিন্তু লাভ হল না, সব চিনলাম কিন্তু কাজ পেলাম না।
একটা গ্যাপ পড়লো, আশাহত হয়ে গেলাম। এবং আবার, ২ মাস পর ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে একটা লেখা পড়লাম, কিভাবে একটা বাংলাদেশি মাসে ৩০০-৪০০ ডলার করে আয় করছেন।
অবাক হয়ে গেলাম। আবার শুরু হল আমার ঘাটাঘাটি। আইডি খুললাম আবারো। এবার ভাগ্য ভাল ছিল।
সেই থেকে শুরু।
১ বছর পর থেকে দেখা গেল প্রায় প্রতি দিনই গড়ে ২০ ডলারের মত পাচ্ছি আমি, এখনো চলছে। সবাই দোয়া করবেন। (সমাপ্ত)
উপরের গল্প টা যেমন সফল হবার গল্প তেমনি ব্যর্থ হবার গল্প ও কম নেই এখানে। আশার কথা, আস্তে আস্তে ব্যর্থ হবার ঘটনা কমছে। আপনারাও অবশ্যই সফল হবেন।
আমরা কে আইটি বাংলাদেশ অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং এর উপরে একটি কর্মশালা করতে যাচ্ছি। আমরা অনলাইনেই কোচিং করাই এবং এ কর্মশালাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। পুরো পৃথিবীর যে কোন বাংলা ভাষাভাষী আগামী ৩ মে আমাদের অনলাইন কর্মশালায় যোগ দিতে পারে।
যা যা থাকবে
------------------------
ফ্রিল্যান্সিং কি, কিভাবে করে, আসলেই কি সম্ভব, আমি কি পারবো, কি কি জানা থাকতে হবে, টাকা আসে কিভাবে, কোথা থেকে শুরু করবো ইত্যাদি হাজারো প্রশ্নের উওর। সঙ্গে আমাদের কিছু নোটস ও পাবেন একদম ফ্রি।
** পুরো ব্যপারটি ফ্রি, এজন্য অবশ্যই আপনাকে একটি টাকাও খরচ করতে হবে না। শুধু নির্দিষ্ট সময়ে অনলাইন হয়ে জয়েন করবেন আমাদের সাথে।
এ পুরো কর্মশালাটি আয়োজিত কে আইটি বাংলাদেশ এর দ্বারা। আলোচনায় থাকবেন আমাদের টিচার রা এবং হয়তো কিছু প্রাক্তন স্টুডেন্ট ও বর্তমান স্টুডেন্ট।
এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
মিনিমাম ১০০ জন কর্মশালায় যোগ দিলেই আমরা কর্মশালাটি আয়োজন করবো, এটি একটি শর্ত।
আপনারা বুঝতে পারছেন এটি একটি মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি। জ্বি, আমরা কে আইটি বাংলাদেশ এর মার্কেটিং করছি কিন্তু আপনি ভেবে দেখুন তো, আপনার কি লাভ হবে না ক্ষতি?
আশা করি আমরা একটি স্বাবলম্বী জাতি পাবো খুব শিঘ্রই।
আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ, এ ইভেন্টে আপনাদের বন্ধুদের রিকয়েস্ট করুন জয়েন করতে। এতে অবশ্যই আপনার কোন ক্ষতি নেই, সবার ই লাভ।
কে আইটি বাংলাদেশ।
join link : Click This Link
Group Link: http://www.facebook.com/groups/kitbangladesh ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।