গালাগালি পাঠাতে srsnipun@gmail.com ফেসবুকে আমি http://www.facebook.com/mrlazy4200 আমি বাক্তিগত ভাবে শাকিব খানকে পছন্দ করি বলে, আমাকে নিয়ে অনেকে হাসাহাসি করেছেন। তাদের জন্য আমার এই পোস্ট। দয়া করে নিচের বিষয় গুলো একটু ভেবে দেখবেন। যারা শাকিব খানকে অপছন্দ করেন, তাদের কাছে আমার প্রথমেই প্রশ্ন। নিজেকে আধুনিক প্রমানের জন্যই কি শাকিব খানকে অপছন্দ করেন? নাকি আসলেই কোন কারন আপনি ব্যাখ্যা করতে পারবেন??
যদি আসলেই আপনি কোন কারন ব্যাখ্যা করতে পারেন, তাহলে আপনাকে আরও একটু ভাবতে হবে।
সত্যি করে বলুনতো, আপনি আসলে কয়টি শাকিব খানের চলচিত্র দেখেছেন?
শাকিব খান ঢালিউডে পদার্পণ করেন রফিকুল ইসলামের 'সবাই তো সুখী হতে চায়' ছবির মাধ্যমে। তিনি শাকিব খান নামে আবির্ভূত হন সোহানুর রহমান সোহানের 'অনন্ত ভালোবাসা' ছবির মাধ্যমে। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০১০ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পূরস্কার-এ ভূষিত করে, ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না ছবির জন্য।
এছাড়া চলুন দেখে নেওয়া যাক, তার চলচিত্রে অন্যান্য কিছু সম্মাননা।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ অভিনেতা - ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না (২০১০)
মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার
মনোনয়ন:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০০৬
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০০৭
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০০৮
মনোনয়ন:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০০৯
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০১০
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০১১
সি জে এফ বি পুরস্কার
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০০৮
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০০৯
ওয়ালটন বৈশাখী স্টার অ্যাওয়ার্ড
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০১১
লাক্স চ্যানেল আই পারফর্মেন্স পূরস্কার
মনোনয়ন:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০০৬ (সমালোচক)
মনোনয়ন:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০০৬
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০০৮
বি সি আর এ পুরস্কার
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০০৯
বিশেষ পুরস্কার
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০০৮
একতা পুরস্কার
মনোনয়ন:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০০৫
ঢালিউড চলচ্চিত্র ও সঙ্গীত পূরস্কার
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০০৯
বিনোদন বিচিত্রা পুরস্কার
বিজয়ী:শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার ' ২০১০
শাকিব খান বর্তমান ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ ভালো ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।
কিভাবে? ইন্ডাস্ট্রির চাকা সচল রেখে। শাকিব খানকে কেন্দ্র করে হলেও সিনেমা নির্মান হচ্ছে। একটা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে তার অস্তিত্ব পুরোটাই হুমকীর মুখে ঠেলে দেয়া। বসে পড়া একটা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে দাড়া করানো মোটেও সোজা কাজ নয়। বোধহয়, ৪০ বছর ধরে এই ইন্ডাস্ট্রির কার্যক্রম বিবেচনা করলে এটা বোঝা যাবে।
ইম্প্রেসের সিনেমা গুলোর কথা বলবেন? ইম্প্রেসের সিনেমা সিনেমা হলের জন্য বানায়না। তাই তারা সিনেমাহল আছে কি বন্ধ হচ্ছে সেদিকে নজর না দিয়ে নিজেদের চ্যানেলে রিলিজ দিয়ে বিজ্ঞাপনের টাকা দিয়ে মুভির খরচ উঠিয়ে নিচ্ছে।
শাকিব খান বাংলাদেশের একমাত্র অভিনেতা, যার আয়কে আন্তর্জাতিক মানে বিচার করা যায়। ছবিপ্রতি শাকিব খান সম্মানী নেন ৩৫ লাখ টাকার বেশি। সে হিসাবে তার প্রতিদিন গড় আয় ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকার বেশি।
অর্থাৎ খান সাহেবের প্রতি সেকেন্ডের মূল্য এখন ১ টাকা ৭০ পয়সার অধিক।
বাংলা সিনেমার অশ্লীলতার যুগে, হাল ধরার কেউ ছিল না, তখন এই সাকিব খানই মোটামুটি মানের সিনেমা করা শুরু করে। অন্তত বাংলাদেশকে অশ্লীলতার যুগ(২০০১-২০০৮) থেকে সরিয়ে নিয়ে আসে। যারা শাকিব খানের লিপিস্টিকের কথা বলতে আসবেন, তারা আগে একবার Twilight এর Robert Patinson না কিসের Son জানি তার কথা একবার ভাববেন।
হাবিবউল্যাহ ভাই এক বার আমার এক স্ট্যাটাসে এক বার মন্তব্য করেছিলেন,
“লিপিষ্টিক আমির শাহরুখ আর সালমান খান ও লাগায়...তবে একটু হালকা কালারের হয় বলে চোখে লাগেনা আমাদের..শাকিবের খুব বেশী লিপিষ্টিক দেয়া পিক ও আমার চোখে পরেনাই...তার ঠোট এমনিতেও কিছুটা লাল হওয়ার কথা...ফর্সা মানুষদের সাধারনত যেমন হয়ে থাকে...
আর তার মুভি ফ্লপ হলে পরিচালকরা তাকে নিয়ে গত ৫বছরে এত এত মুভি বানাইল কেন?সুতরাং সব মুভি ফ্লপ কথাটা মিথ্যা!
এখনো তারে নিয়া যেনতেন মুভি বানাইলেও পয়সা ফেরত আসতেছে...বিগ হিট হয়ত হচ্ছেনা...কিন্তু লসে পড়তে হচ্ছেনা খুব একটা!
নতুন কাউকে নিয়ে মুভি বানালেই কি দর্শক গ্রহন করবে?
ষ্টার হওয়া কি এত সহজ?
শাকিব খান ষ্টার হইছে ২০০৭ এ এসে...আগের ৮ বছর টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে...শাবনুর পপি থেকে ময়ূরী মুনমুন পলি কেউ বাদ যায়নাই...সবার সাথে অবভিনয় করছে টিকে থাকার জন্য...এর ফল ৮ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর সে পেয়েছে...
মান্না ছিল সামাজিক একশন মুভির নায়ক...শাকিব রোমান্টিক একশন মুভির...মান্না মারা যাওয়াতে সব ধরনের মুভি সে একাই করতেছে...মান্না মারা যাওয়াতে তার রাস্তা একটু ক্লিয়ার হয়েছে এই যা...এর বেশী কিছু না!!!
সিনেমাহলে গিয়ে মুভি দেখেছি ১৯৯৩ থেকে ২০০৫/৬ পর্যন্ত...ভাল খারাপ সব মুভি ইদেখেছি...কে কতটুকু ভালো সে ধারনা আছে...কারন সিনেমা হলে বাংলা মুভি ই ছিল আমাদের বিনোদনের প্রধান মাধ্যম...এখন ইন্টারনেটের জমানায় বিনোদনের হয়ত অভাব নাই...তাই পাবলিক বাংলা সিনেমা...বাংলা সিনেমার দর্শক...আর শাকিব খানদের নিয়ে নাক সিটকানোর উপলক্ষ্য পেয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের সিনেমা না বলে সিনেমাহল যে কয়টা বাইচা আছে সে কয়টা শাকিব খানের জন্য বাইচা আছে বলা যাইতে পারে...কারন ইম্প্রেসের সিনেমা সিনেমা হলের জন্য বানায়না...তাই তারা সিনেমাহল আছে কি বন্ধ হচ্ছে সেদিকে নজর না দিয়ে নিজেদের চ্যানেলে রিলিজ দিয়ে বিজ্ঞাপনের টাকা দিয়ে মুভির খরচ উঠায়া নিতাছে...এইটারে সিনেমা ব্যাবসা বলেনা...সিনেমাহল ছাড়া সিনেমা...শুনতেই তো অড লাগে!!!
শাকিব খানের সুভা মুভিও ইম্প্রেসের ছিল...সেখানে তার অভিনয় জাতীয় পুরস্কারে পাওয়ার দাবিদার ছিল...কিন্তু কেন পাইলোনা?কারন তখন তার এরকম ষ্টারডম আছিলনা...এখন ও যদি শাকিব এরকম দুই চারটা মুভি করে বছরে তাহলে জাতীয় পুরষ্কার তার থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবোনা...”
যে দেশে গুনি লোকের সমাদর নেই, সেই দেশে গুনি লোক জন্মায় না। কে বলছিল জানেন?? ড হুমায়ুন আজাদ। কেন জানেন?? নাই বা বললাম। পরিশেষে বলি, বাংলা সিনেমা নামে যে বস্তুটা টিকে আছে, তাতে এখন কয়টা লোক অভিনয় করে?? আমি শাকিব খানকে বাইরের কারো সাথে তুলনা করতে চাই নি। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য শাকিবের অবদান অস্বীকার করার মত না।
হোক না নিচু জাতের!! আপনি কলকাতার আর্ট ফিল্ম বা কিছু কিছু ছবি বাদে আগের ছবি গুলার দিকে তাকান, সব কু খাদ্য। তাও ওদের দর্শক খাইছে। আপনি আমি চলেন সবাই হল মুখি হই, দেখেন কত নতুন অ্যাক্টর বের হয়। কত ভালো মানের মুভি হয়। আপনি আমি কিন্তু গতানুগতিক ধারার সিনেমার টাকা উঠায় দিয়ে আসি না।
যারা উঠায়, গতানুগতিক ছবি তাদের জন্যই নির্মিত হয়। আপনি আমি চলেন হলে যাই, ঠিকই আমাদের জন্যেও সিনেমা তৈরি হবে।
এই পোস্টটির জন্য অনেকের অনেক ওয়েব সাইট ঘাটাঘাটি করেছি। লিঙ্ক দিলাম না। তবে কারও যদি প্রয়োজন হয় আমাকে বলবেন।
আমি লিংক দিব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।